Home আপডেট Sandeshkhali: ‘১০০ দিনের কাজ না করেও টাকা পেয়েছে TMC নেতাদের আত্মীয়রা’ বিক্ষোভ সন্দেশখালিতে

Sandeshkhali: ‘১০০ দিনের কাজ না করেও টাকা পেয়েছে TMC নেতাদের আত্মীয়রা’ বিক্ষোভ সন্দেশখালিতে

Sandeshkhali: ‘১০০ দিনের কাজ না করেও টাকা পেয়েছে TMC নেতাদের আত্মীয়রা’ বিক্ষোভ সন্দেশখালিতে

[ad_1]

ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলা, জমি দখল, নারী নির্যাতনের মতো অভিযোগকে কেন্দ্র করে একসময় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি। সেই সন্দেশখালিতে আবারও বিক্ষোভ দেখা গেল। এবার ১০০ দিনের বকেয়া মেটানোয় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় সন্দেশখালিতে। এদিন ঘটনাটি ঘটেছে সন্দেশখালির ন্যাজাট থানার অন্তগত নিত্যবেরিয়া এলাকায় । এলাকার ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজার বরুণ দাসের বাড়ির সামনে গিয়ে এদিন তারা বিক্ষোভ দেখান।

আরও পড়ুনঃ সন্দেশখালি নিয়ে নালিশ জানাতে ইমেল আইডি দিল সিবিআই, লিখে নিন, কাজে লাগতে পারে

জব কার্ড হোল্ডাররা ১০০ দিনের বকেয়া পাওয়ার ক্ষেত্রে স্বজন পোষণের অভিযোগ তুলেছেন। তাদের বক্তব্য, যে জীবনে ১০০ দিনের কাজ করেনি সেও ১০০ দিনের টাকা পেয়েছে। এমনকী ১৬ দিন কাজ করা সত্ত্বেও ১০০ দিনের টাকা পেয়েছেন অনেকেই। স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের পরিজনদের অনেকে যেমন ১০০ দিনের টাকা পেয়েছে, আবার এই কাজের সুপারভাইজারের দায়িত্বে থাকা বরুণ দাসের স্ত্রীও ১০০ দিনের টাকা পেয়েছেন। তাদের দাবি, ২০২২ সালে মাত্র ১৬ দিনের কাজ হয়েছিল। কিন্তু, সেক্ষেত্রে ১০০ দিনের কাজ হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। অথচ জব কার্ড হোল্ডাররা কাজ করেও বকেয়া পাননি বলে অভিযোগ। 

প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের বকেয়া না মেটানোর জন্য কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর তিনি শ্রমিকদের টাকা মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি মতো গত ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসে শ্রমিকদের ১০০ দিনের টাকা মিটিয়ে ছিল রাজ্য সরকার। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বরুণ দাস গ্রামের মানুষকে দিয়ে ১০০ দিনের কাজ করিয়ে কোনও  টাকা দেননি । তার পরিবর্তে বরুণ দাস তার ভাই দাদা সহ আত্মীয়-স্বজনদের কাজ না করিয়ে ১০০ দিনের কাজের টাকা পাইয়ে দিয়েছেন। আর এই কারণে এদিন বরুণ দাসের বাড়ির সামনে এলাকার মানুষ, জব কার্ড হালদাররা বিক্ষোভ দেখান। তবে বরুণ দাস বাড়িতে ছিলেন না। তার ঘর তালা বন্ধ ছিল।  গ্রামবাসীদের দাবি, বিক্ষোভের আগাম খবর পেয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন বরুণ। তিনি এলাকা ছাড়া হয়েছেন বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।

তাদের আরও অভিযোগ, তারা বিক্ষোভ দেখালে তাই ন্যাজাট থানার ওসি তাদের হুমকি দেন। জগদীশ দাস নামে এক বিক্ষোভকারীর অভিযোগ, ১৬ দিনের কাজে স্বজনদের ১০০ দিনের টাকা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেল পুলিশ তাদের অভিযোগ নিচ্ছে না। যদিও শেষমেষ বরুণ দাসের নামে ন্যাজাট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তবে এ ধরনের অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, সব অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে। এতে বিজেপি ইন্ধন দিচ্ছে।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here