বোধি ও ধর্মের সারমর্মার্থ সন্ধানে সারনাথ ~ সমিত চক্রবর্তী

0
বোধি ও ধর্মের সারমর্মার্থ সন্ধানে সারনাথ ~ সমিত চক্রবর্তী

হে আলোর পথযাত্রী

ভোরের বেশি দেরী নেই। অদূরে নৈরঞ্জনা নদী থেকে মৃদুমন্দ হাওয়া বইছে, উরুবিল্ব নগরীর এই স্থানটি বড় মনোরম। মাথার উপরে ভাস্বর বিশাখ পূর্ণিমার পূর্ণশশী, উজ্জ্বল চন্দ্রালোকে উদ্ভাসিত আদিগন্ত। অদ্ভুত নিটোল এক শান্তি বিরাজিত চারিদিকে। সেই অতি আশ্চর্য মানুষটি একটু আগেই পৌঁছে গেছেন তাঁর অভীপ্স লক্ষ্যে। দীর্ঘ ছয় বছরের কঠোর, অসম্ভব কঠিন দুস্করচর্য্যার পর তাঁর সম্বোধিলাভ ঘটেছে, বোধিসত্ত্ব এখন সম্যক সম্বুদ্ধ। অর্হৎ প্রাপ্তির পরম তৃপ্তিতে ভরে উঠেছে তাঁর সমস্ত অন্ত:করণ। পরিনির্বাণ লাভের ধাপে ধাপে গত রজনীর প্রথম যামে পেয়েছেন দিব্যচক্ষু, চাক্ষুষ করলেন সমস্ত পুর্ব জন্মের ঘটনাবলী। মধ্যযামে দিব্যদৃষ্টিতে নিখিল জীবজগতের সৃষ্টি, বিনাশ এবং পুর্নজন্ম লক্ষ্য করলেন আর শেষযামে পেলেন তাঁর দীর্ঘদিনের প্রশ্নের উত্তর – দুঃখ কি, কেন এবং দুঃখের চিরবিনাশের উপায়। মাটির চেনা পৃথিবী যখন ভেসে যাচ্ছে দিগন্তের উজ্জ্বল শশীকিরণে, তাঁর অন্তঃকরণের অজ্ঞানতার অন্ধকারও আজ বিলীন সদ্য প্রাপ্ত দিব্যজ্ঞানের আলোকে সন্ধান পেয়েছেন অমরত্বের, আজ তিনি উদ্ভাসিতমোক্ষলাভের তৃপ্তিতে তিনি আজ পরিতৃপ্ত, পরিপূর্ণ।

“অনেক জাতি সংসারং সন্ধাবিসং অনিব্বিস

গহকারং গবেসন্তো দুকথা জাতি পুণপ্পুনং

গহকারোকো দিটঠোসি পুণ গেহং ন কাহসি

সব্বাতে ফাসুক ভজ্ঞা গহকূটং বিসঙ্খিতং

বিসংখার গতং চিত্তং তণহানং খযমজ্ঝাগা’তি।”

“জন্মচক্রে বহুবার সংসারে এসেছি ঘুরে ঘুরে, খুঁজেছি তোমায়, জাতি-জরা দুঃখ তাপে জর্জরিত হয়ে

অবশেষে আমি তোমায় পেয়েছি আজ আমার চিত্ত তৃষ্ণাশূন্য, আধিষ্ঠান মুক্ত, আমি আর জন্ম নেব না। সকল বন্ধনের থেকে, ক্লেশ থেকে আমি ছিন্ন হলাম।”

সেদিনের সেই বিশাখ মাসের শুক্লপূর্ণিমার শেষরাতের চন্দ্রকিরণ আর ঊষার শুকতারাটি সাক্ষী রয়ে গেল এক মহামানবের বোধিসত্ত্ব থেকে বুদ্ধে রূপান্তরের। আর, রাত পোহানো ভোরের প্রথম অরুনকিরণটি প্রত্যক্ষ করল এক মৃত্যুঞ্জয়ী যুগপুরুষের আগমনবার্তার মুহুর্তটি। এক নতুন ধর্মচেতনার ভুমিষ্ঠ হবার অনাস্বাদিত ক্ষণটি। সেই মুহুর্তটি থেকে সেই অত্যাশ্চর্য ভিক্ষু যে পথ চলা শুরু করবেন, যে চতুরার্য সত্য আর অষ্টাঙ্গিক মার্গ দর্শন করাবেন সারা বিশ্বকে, সেই দর্শনের আলোয় আলোকিত হতে থাকবে আগামী কয়েক হাজার বছর।

ইপ্সিত ফললাভের ইঙ্গিত ঠিক আগের রাতেই স্পষ্ট পেয়েছিলেন গোতম। শুক্লা চতুর্দশীর চন্দ্রালোকে তখন ভেসে যায় নিখিল বিশ্বচরাচর, ন্যগ্রোধ বৃক্ষতলে বসে মধ্যভাগ থেকে শেষরাতের মধ্যে অদ্ভুত কিছু স্বপ্ন দেখলেন বোধিসত্ত্ব। প্রথমে দেখলেন, সসাগরা পৃথিবীকে শয্যা করে তিনি শয়ানমান, তাঁর মাথার উপাধান হয়েছেন স্বয়ং নগধিরাজ হিমালয়, তাঁর বাম হাতটি বিশ্রাম করছে পূর্ব সমুদ্রে, দক্ষিণ হস্ত পশ্চিম সমুদ্রে এবং পদদ্বয় দক্ষিণ সমুদ্রে। দ্বিতীয়টিতে দেখলেন তাঁর নাভিমূল থেকে আকাশছোঁয়া প্রকান্ড এক অরণ্যময় দ্রাক্ষালতার জন্ম হয়েছে। তৃতীয় স্বপ্নে দেখলেন অজস্র কালো মাথাওয়ালা সাদা কীটের দল তাঁর পা বেয়ে উঠে আসছে, তারা প্রায় তাঁর হাঁটু ঢেকে দিয়েছে। চতুর্থ স্বপ্নে দেখা গেল চারটি দিকে থেকে চার রকম রঙের অজস্র পাখি এসে তাঁর পায়ে আছড়ে পড়ছে এবং তাঁকে স্পর্শ করামাত্র  তাদের রঙ সব সাদা হয়ে যাচ্ছে। শেষটিতে তিনি নিজেকে দেখলেন অতি পুতিগন্ধময় পর্বতসমান পুরীষের মধ্যে কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে তাঁর দেহে সেই পঙ্কিলতার লেশমাত্র নেই। পরবর্তীকালে এই সমস্ত স্বপ্নগুলির অর্থ তিনি নিজে “সুপিনা সুত্র”-তে ব্যাখ্যা করেছিলেন (Supina Sutta: Dreams” (Anguttara Nikaya, Book of Fives, 196)

সম্বোধিলাভের পর আরও প্রায় সাত সপ্তাহ সেই উরুবিল্ব নগরীতে কাটান বুদ্ধদেব। নবলব্ধ এই ধর্মচেতনা, তার প্রসার এবং মানবকল্যাণে তার ভূমিকা কী হবে এই নিয়ে দ্বিধান্বিত ছিলেন তিনি নিজেই। অবশেষে সহাম্পতি মহাব্রহ্মা’র  নির্দেশ এসে পৌঁছায় তাঁর কাছেঃ

“পাতুরহোসি মগধেসু পুবে্‌ব

ধম্মো অসুদ্ধো সমলেহি চিন্তিতো।

অপাপুর এতম্‌ অমতসস্‌ দ্বারম্‌

সুন্নতু ধম্মম্‌ বিমলেনানুবুদ্ধম্‌।।”

“এখন পঙ্কিলহৃদয় শিক্ষকগণের উদ্ভাবিত ধর্ম মগধে প্রচলিত আছে; তুমি অমরত্বের দ্বার খুলে দাও। লোকে নির্মলহৃদয় বুদ্ধ কর্তৃক উদ্ভাবিত ধর্ম শ্রবণ করুক।”

সুতরাং, যত শীঘ্র সম্ভব এই নতুন ধর্মচেতনাকে ছড়িয়ে দিতে হবে মানুষের মধ্যে। কিন্তু, ক’জন বুঝবে এর তাৎপর্য? তাছাড়া, অজ্ঞাতকুলশীল একজন নবীন তপস্বীকে(মনে রাখা প্রয়োজন সেই সময় তাঁর বয়স মাত্র ৩৫-এর আশেপাশে)ধর্মপ্রচারক হিসাবে মানুষ কতটা মেনে নেবে সে ব্যাপারে তিনি নিজেও সন্দিহান ছিলেন। তার ওপর, তপস্যালব্ধ জ্ঞানের যে স্তরে আজ তাঁর বিচরণ, সাধারণ মানুষের বোধবুদ্ধি থেকে তা যোজন দূরের। অতএব, এমন কিছু জ্ঞানী মনন তাঁর আশু প্রয়োজন যারা তাঁর এই নবলব্ধ ধর্মচেতনা এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধের কাজ করবে। সাধারণ মানুষকে যাঁরা বোঝাবেন দুঃখের কারণ ও তার নিবৃত্তির উপায়, দেখাবেন মোক্ষর পথ, অষ্টাঙ্গিক মার্গের আলোয় চিনিয়ে দেবেন সঠিক জীবন পথের দিশা। উন্মোচিত হোক অমরত্বের দ্বার।

প্রথমেই তাঁর মনে পড়ল তাঁর সাধনজীবনের প্রথম দুই গুরু আলারা কালাম ও উদ্দক রামপুত্তের কথা। কিন্তু জানতে পারলেন যে তাঁরা দু’জনেই প্রয়াত হয়েছেন। অকষ্মাৎ তাঁর মনে পড়ে গেল সেই পাঁচজনের কথা যাঁরা বুদ্ধদেবের সাথে সাধনার প্রথম জীবনে অনেকটা সময় অতিবাহিত করেছিলেন। কঠিন দুস্করচর্য্যার সেই দিনগুলিতে এই পাঁচজন  তাঁর যথেষ্ট সেবাযত্ন করতেন এবং গোতমের সাধনায় সাফল্য নিয়ে এই পাঁচজন অত্যন্ত আশাবাদীও ছিলেন। কিন্তু পরে গোতমকে সুজাতার হাতে পায়সান্ন গ্রহণ করতে দেখে তাঁর আদর্শচ্যুতি ঘটেছে ধারণা করে তাঁকে পরিত্যাগ করেন। বুদ্ধদেব জানতে পারলেন যে কৌন্ডিন্য, বপ্প, ভদ্রিয়, অস্মজিৎ এবং মহানাম এই পাঁচজন (এঁরা বৌদ্ধ গ্রন্থগুলিতে পঞ্চভদ্রবর্গীয় বলেও পরিচিত) সেই সময় অবস্থান করছেন ঋষিপতন(পালিভাষায় ইসিপাতন, যা এখন আমরা চিনি সারনাথ নামে) এর নিকটে কোন এক মৃগ উদ্যানে।

সারঙ্গনাথ বা সারনাথ। সম্ভবতঃ সারঙ্গনাথ শিবের নাম থেকেই সারনাথ নামের উৎপত্তি। বোধিগয়া থেকে বুদ্ধদেব রওনা হলেন তাদের খোঁজে। বহু ক্রোশ পথ অতিক্রম করে অবশেষে পৌঁছলেন ঋষিপতন নগরীর মৃগদাবে। দেখা পেলেন সেই পঞ্চ সহচরের। প্রথম দর্শনেই তাঁরা বুদ্ধদেবকে মেনে নিতে না পারলেও পরে তাঁদের সমস্ত জিজ্ঞাসার উত্তর পেয়ে যখন নিশ্চিত হন যে প্রকৃতই তিনি সেই পরম জ্ঞানের অধিকারী হয়েছেন তখন সেই মুহুর্তে তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। যদিও বোধিগয়া থেকে সারনাথ আসার পথে দু’জন বণিক তাঁর প্রথম শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন, কিন্তু সেই দু’জন ছিলেন সাধারণ শিষ্য। ওই পাঁচ শিষ্যকে নিয়েই সেই আষাঢ় পূর্ণিমায় প্রথম ধর্মশিক্ষা(Dhammacakkappavattana Sutta) দিলেন বুদ্ধদেব। ধর্মচক্রপ্রবর্তনের সেই হল শুরু। ধীরে ধীরে ৬০ জন শ্রমণকে নিয়ে শুরু হল প্রথম সংঘের পথ চলা। বুদ্ধের বাণী নিয়ে তাঁরা ছড়িয়ে পড়লেন দিকে দিকে। পথ চলা শুরু হল এক নতুন ধর্মমতের যা ক্রমে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে গোটা বিশ্বকে তার নিজস্ব যুক্তিসিদ্ধ স্বতন্ত্রতায়। আড়াই হাজার বছর ধরে পথ চলার পরেও আজও যে আবেদন একই রকম অমলিন।

বিভিন্ন স্তুপ, মন্দির আর বিদেশী আক্রমণের ক্ষত বয়ে নিয়ে বেড়ানো হাজার ধ্বংসস্তুপের হাহাকারের ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে মন চলে শুন্যপথ বেয়ে। কেবলই দৃশ্যের জন্ম হয়……

পুব আকাশে সূর্যোদয় হচ্ছে। অন্ধকার থেকে আলোর পিপাসা নিয়ে যাত্রা শুরু করতে চলেছে আরও একটি দিন। নগরীর পথ বেয়ে ভিক্ষাপাত্র হাতে কৃশ কিন্তু দীপ্তিময়, ঋজু, শাণিত অথচ মুখে শিশুর সারল্য নিয়ে এক তেজোময় পুরুষ এগিয়ে চলেছেন দৃঢ় পদক্ষেপে। তাঁকে ঘিরে রয়েছেন আরও কিছু অনুচর শ্রমণেরা। নগরপথের দু’পাশেই অগণিত সাধারণ মানুষ ভিড় করেছে এই দৃশ্য প্রত্যক্ষ করবার জন্য। তাঁর একটু আশিষ পাবার অভিলাষে।  অস্ফুট গুঞ্জন আর আকুল নয়নে তারা দেখছে পার্থিব সব দুঃখ, ক্লেশ, জরা, ব্যধি জয় করে, মানবকল্যাণের উদ্দেশ্যে সর্বত্যাগী, মৃত্যুঞ্জয়ী এক যুগপুরুষের অন্ধকার থেকে অলোর পথে উত্তরণের যাত্রা। বাতাসে ভেসে আসছে তাঁর জয়ধ্বনি। সেই জ্যোর্তিময় অনিঃশেষ ভিক্ষু এগিয়ে গেলেন তাঁর উপাসনা বেদীর দিকে। নরম সূর্যের সোনালী অলোয় প্লাবিত বিশ্বচরাচর। ত্রিশরণ অভয় মন্ত্রের মন্দ্রস্বর একটু একটু করে ছেয়ে ফেলছে তখন নগরীর পথঘাট, জনপদ, গোটা আকাশ। একটি অমোঘ বিশ্বপ্লাবনের আগাম ইঙ্গিত ছড়িয়ে পড়ছে সেই সুর বেয়েঃ

“বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি

ধর্মং শরণং গচ্ছামি

  সঙ্ঘং শরণং গচ্ছামি”।।

ছবির কথাঃ-

প্রথম ছবিঃ প্রথমটি চৌখন্ডী স্তুপের। সারনাথ শহরে ঢুকতেই চোখে পড়ে। এখানেই বুদ্ধদেব প্রথম মিলিত হয়েছিলেন তাঁর প্রথম সেই পাঁচ শিষ্যের সঙ্গে। এটি ইঁট নির্মিত একটি অষ্টকোণাকৃতি স্তম্ভ। স্তুপটির মির্মাণকাল গুপ্তযুগে আনুমানিক ৪০০ থেকে ৬০০ মধ্যবর্তী কোন সময়ে। পরে মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের সারনাথ আগমনকে স্মরণীয় করে রাখতে রাজা তোডরমলের পুত্র রাজা গোবর্ধন এই স্তুপটিকে বর্তমান রূপ প্রদান করেন।

দ্বিতীয় ছবিঃ ধামেক স্তুপের। আনুমানিক ২৪৯ খ্রী; পূর্বাব্দে এই ৩১.৩ মিটার উঁচু এবং ২৮.৩ মিটার প্রস্থবিশিষ্ট(বর্তমান) স্তুপটি নির্মাণ করিয়েছিলেন সম্রাট অশোক। স্তুপটির উপরিভাগ নির্মিত হয়েছে ইঁট দিয়ে। নীচের অংশ পাথরের। নীচের সমস্ত অংশটিই পাথরের এবং তাতে ফুল, বিভিন্ন রকম জ্যামিতিক নকশা, মানুষ এবং বিভিন্ন রকম প্রাণীর ছবি অত্যন্ত দক্ষতায় খোদাই করা। বুদ্ধের পঞ্চ সহচর এখানে পর্ণকুটীরে বাস করতেন এবং এখানেই বুদ্ধদেব তাঁদের প্রথম জ্ঞানদান করেন(ধর্মচক্রপ্রবর্তন সূত্র)।

তৃতীয় ছবিঃ শুধু ধ্বংসের। বিভিন্ন সময়ে মোঘল, তুর্কী এবং অন্যান্য আরও আক্রমণের শিকার হয়েছে বারাণসী এবং সারনাথ।

চতুর্থ ছবিঃ সারনাথের থাই বুদ্ধ মন্দিরের। সারনাথের এই বুদ্ধ মন্দিরের পরিবেশ অতি চমৎকার। রয়েছে দেশের সবচেয়ে উঁচু বুদ্ধদেবের (৮০ ফুট)মুর্তি। মুর্তিটি উন্মোচিত হয় ১৪ই মার্চ, ২০১১ তে। আফগানিস্তানের বামিয়ানে বুদ্ধের মুর্তি ধ্বংস হওয়ার পর প্রায় ১৪ বছর সময় ধরে আনুমানিক ২ কোটি টাকা ব্যয়ে মুর্তিটি তৈরী করা হয়।

পঞ্চম ছবিঃ থাই বুদ্ধ মন্দির, সারনাথ

ষষ্ঠ ছবিঃ বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়। অতি বিখ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি নতুন পরিচিতির অপেক্ষা রাখ না। প্রায় ১৩০০ হেক্টর জমির ওপর ১৯১৫ সালে পন্ডিত মদন মোহন মালব্য এবং অ্যানি বেসান্তের মত আরও বেশ কিছু শিক্ষা ব্যক্তিত্ত্বের সাহায্য গড়ে তোলেন এই শিক্ষাঙ্গন। বহু দিকপাল ব্যক্তিত্ত্বের বিকাশভূমি  এই প্রতিষ্ঠানের সাথে বর্তমানে প্রায় ১৫০০০ শিক্ষার্থী এবং প্রায় ৮০০০ কর্মী অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে আছেন।

সপ্তম ছবি:- বারাণসীতে এসে আর কিছু দেখুন বা নাই দেখুন গঙ্গার ঘাট আর সন্ধ্যাবেলা সেখানে গঙ্গা আরতি অতি অবশ্য দ্রষ্টব্য। বিশেষতঃ দশাশ্বমেধ ঘাটে সন্ধ্যাবেলা আরতি দর্শনের জন্য তিল ধারণের জায়গা থাকে না। সব মিলিয়ে ১০৮ টি ঘাট রয়েছে বারাণসীতে। সকালে কিংবা বিকেল বেলায় নৌকা করে ঘাটগুলি ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখা, তাদের অতীতে’র গল্পগাথা, অস্ত গৌরবের কাহিনীর স্পর্শ পাওয়ার অভিজ্ঞতা কিন্তু চিরদিন মনে রেখে দেবার মত।  

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here