Home আপডেট Wall collapsed: ভেঙে পড়ল স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাঁচিল, চাপা পড়ে মৃত্যু আদিবাসী যুবকের

Wall collapsed: ভেঙে পড়ল স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাঁচিল, চাপা পড়ে মৃত্যু আদিবাসী যুবকের

Wall collapsed: ভেঙে পড়ল স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাঁচিল, চাপা পড়ে মৃত্যু আদিবাসী যুবকের

[ad_1]

সুস্থ হওয়ার আশায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে ছুটে যান রোগীরা। সেখানেই ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাঁচিল ভেঙে তাতে চাপও পড়ে মৃত্যু হল এক আদিবাসী যুবকের। মৃত যুবকের নাম সোম কিসকু। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মোল্লাপুর থানার তালোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই গার্ডেনরিচে ভেঙে পড়েছিল নির্মীয়মাণ বহুতল। তার ফলে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ভেঙে পড়ল স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাঁচিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এর তীব্র প্রতিবাদ জানান আদিবাসী জন-জনতা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুনঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল গার্ডেনরিচের ‘সরু বাড়ি’ কার? এখনও জানে না কলকাতা পুরসভা!

জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশেই ওই যুবক থাকতেন। রবিবার সকালে তিনি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঠিক পাঁচিলের পাশেই অবস্থিত শৌচালয়ে শৌচ কর্ম করতে গিয়েছিলেন। তখনই ওই পাঁচিল ভেঙে পড়ে। ঘটনায় তিনি পাঁচিলের ভগ্নস্তূপের নিচে চাপা পড়েন। তড়িঘড়ি গ্রামবাসীরা তাকে উদ্ধার করে মল্লারপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি তৈরি হয়েছে বাম আমলে। তবে দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থা ছিল স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির। তারজেরেই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, তারা সকাল সকাল কিছু ভেঙে পড়ার প্রচন্ড শব্দ শুনতে পেয়ে সেখানে ছুটে যান। গিয়ে দেখেন, পাঁচিল ভেঙে পড়েছে আর তার নিচে চাপা পড়ে রয়েছে সোম। জানা গিয়েছে, সোম পেশায় রাজমিস্ত্রি। তিনি কাটিহারের বাসিন্দা। তবে তালোয়ায় শ্বশুরবাড়িতে তিনি থাকতেন। পাচিলটি দুর্বল থাকায় আজ সেটি সোমের উপর ভেঙে পড়ে।

এদিকে, এই দুর্ঘটনার পরেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে বিরোধী শিবির। তাদের বক্তব্য, ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। এ নিয়ে প্রশাসনকে বারবার মেরামত করার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু, তারপরেও মেরামত করা হয়নি। শুধু তাই নয়, ওই হাসপাতালে কখনও চিকিৎসক থাকে না আবার কখনও ওষুধ থাকে না। ফলে সেখান থেকে ঠিকমতো স্বাস্থ্য পরিষেবা পাচ্ছেন না স্থানীয়রা। এ বিষয়ে রামপুরহাট জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক শোভন দে জানান, এই ঘটনাটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আদিবাসীদের পাড়ার মধ্যেই ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি অবস্থিত। তবে বিষয়টি জানার পরে প্রশাসনিকভাবে পদক্ষেপ করা হয়েছে।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here