ওয়েব ডেস্কঃ ” ঘুম “ শব্দটা শুনলেই মনে হয়, দীর্ঘকর্মক্লান্তির পর বিছানা যেন টানছে। কারণ এখন ব্যস্ত সবাই। আর তাই সবাই রাতে একটু নিশিন্ত হয়ে ঘুমাব, এটা আর বেশী কি চাওয়া, তাই না। কিন্তু এখানেও অস্বস্তি। কারণ ঘুমের মধ্যে অনেকেই বাজে স্বপ্ন দেখেন, ভয় পান, আবার অনেকে হাঁটেন। এ সংখ্যা প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৭ জন। কিন্তু অনেক সময় মনে হয় এই বুঝি পড়ে গেলাম। কিন্তু গভীর ঘুমে যদি এমন হয়, যে নিজের চোখেই দেখতে পারছি যে দূর থেকে ঝাঁপ দিয়ে পড়ছি, তবে আপনারাই ভাবুন একটু শ্বাস বন্ধতো হয়ে যাবেই। উদ্বেগে তো অনেকে ঘাম ঝড়িয়ে ফেলে। তবে সকলের অনুভূতি এক নয়। কারণ কেউ সেটা সহ্য করতে সিদ্ধহস্ত আবার কেউ উদ্বগে ঘুম থেকে জেগে উঠেন। এমনকথা নতুন নয় কিন্তু, তবে প্রশ্ন কেন হয় এমন? কেনই বা এতো অনুপাতে মানুষ মানুষিক কষ্টে ভোগে। এ প্রশ্ন চিহ্ন যেন অধিকাংশের।
কিন্তু কেন হয় এমন, শূণ্যে ঝাঁপ দেবার মতো মানসিক ভীতি, কি কারণ তার? নিশ্চয় বলব, মানসিক উদ্বিগ্নতা। তবে কেন? হতে পারে এটা আসছে ব্যস্ততাময় জীবনে নিজের অসফলতা। আবার দেখা যায়, চাহিদা প্রচুর, তাই মনের যুদ্ধ শেষ নেই। না পাওয়ার দু:খ, চাহিদা অগাধ, তাই ছুটিছে মানুষ- আর ব্যার্থতা, অপূর্ণতা। যেখানে সাফল্যের যখন লড়াই, তীরে গিয়ে তরী ডুবল। এটা শুধুমাত্র ব্যার্থতা নয়, পদ হারানো, হারানো ব্যক্তিত্ব, তা থেকেও হয়। কারণ স্বপ্ন অবচেতন মনের ফল। তাই সেই অপ্রাপ্তি বোধ নিজের মধ্যেই লুকানো। আর এমন ভাবে নিজের ভারসাম্য হারায় মন। এমন অনেকবার হয়েছে নিজের জীবনের প্রিয় পাত্র কে হারানো, আর নিরাপত্তা হারানো। কারণ এখানে নিজেই মানুষ তার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। এছাড়া এমন হয় যে এই স্বপ্ন দেহগত ভাবে মানুষকে সচেতন করে যে, সে এমন এক মানসিক রোগের মুখোমুখি হতে চলেছে। আর তাই সেক্ষেত্রে ডাক্তারের সাহায্য নেওয়া জরুরী।
আসলে এটি একটি মানসিক ক্রিয়া। আমরা যখন ঘুমাই তখন কয়েকটি ঘুম চক্র পার করি। আর প্রতিটি চক্রে থাকে ৪ টি ধাপ। এর সবথেকে প্রথম ধাপের নাম হলো NREM। সাধারণভাবে আমরা যখন ঘুমাই, তখন আমাদের পেশীগুলো অনেক বেশী সাবলীল হয়, মানে এককথায় আমরা যাকে বলি ” রিল্যাক্সড” হওয়া। কিন্তু মস্তিষ্ক বিভ্রান্ত বোধ করে, মনে হয় ঘুমের মধ্যে পড়ে যাচ্ছি। আর তার সাথে মাসেলগুলো সজাগ হয়ে ওঠে। বিজ্ঞানবিদরা বলছেন এটা মনের স্বাভাবিক ক্রিয়া, হতেই পারে। কিন্তু এটা যদি চরম অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিতেই হবে। আর এটাকে রোগ ভেবে সময় নষ্ট করা বোকামি।তাই রিল্যাক্সডে থাকুন, আর সুস্থ থাকুন।