web Desk: “ভূতচতুর্দশী ” নাম শুনলেই মনে হয় যে আমরা আলো জ্বালিয়ে ভূত তাড়াব, তাই তো? কারণ আমরা মুখে না বললেও এ কথা সত্য একটু ভয় আছেই। মেয়েদের বলা হয় এই অমাবস্যাতিথিতে চুল খুলে বাইরে বেরোতে নেই, ঠিক বলছি আমি? একদম সত্যিকথা। কিন্তু এ হলো আমাদের ভয়, তবে শুধুই কি ভয়, না এর পিছনে কারণ তো অবশ্যই আছে। তাই তো কালীপূজোর আগেরদিন এই ভূতচতুর্দশী দিনটি পালন করা হয়।
আর আরো জানেন কি, মিষ্টিকুমড়োর মধ্যে হাত পা এঁকে যে মোমবাতি জ্বালানো হয়, তাকে এই হ্যালুইন “উৎসব বলা হয়।আর হিন্দু রীতিতে চৌদ্দ শাক খেয়ে পবিত্র থেকে সাত পুরুষদের উদ্দেশ্য প্রদীপ দেওয়া হয়। তবে হ্যালুইন কিন্তু বিদেশে পালন করা হয়।
এই দেশের মাটতে আরো রীতি, প্রাচীন মত জানা বাকি তো, তবে আসুন এমন কথা জানব আর পুরাণ পড়বো না তা কি হয়?
ঘটনাটি হলো, পুরাণকালে দানবরাজ বলির ভীষণ অহংকার ছিল। আর তার নিশ্চয় কারণ আছে। কারণ তিনি যে স্বর্গ, মর্ত্য, পাতালের অধীশ্বর হয়েছিলেন।কিন্তু কথায় আছে, “অহংকার পতনের মূল “।তাই সে যে পতন ঘটবেই তা নিশ্চিত ছিল। তার ভয়ে দেবতারা সন্ত্রস্থ হয়ে পড়ে। শেষে বৃহস্পতির নির্দেশে বালি কাছে ভগবান বিষ্ণু বামনরূপে এসে তাঁর পা রাখার জন্য তিন পা পরিমাণ জমি ভিক্ষা চাইলেন রাজা বলির কাছে।
আর বলি জেনেও পা রাক্ষার জমি ভিক্ষা দিলেন। বিষ্ণু এক পা রাখলেন স্বর্গে, আর এক মর্ত্যে। এরপর বিষ্ণুর নাভি থেকে বের হল আর একটা পা। এই পা রাখলেন রাজা বলির মাথায় আর নিজে ঢুকে গেলেন পাতালে। বালি নিজে জেনেও দান রক্ষা করেন বলে ভগবান বিষ্ণু রাজা বলির নরকাসুর রূপের পুজোর প্রবর্তন করেন মর্ত্যলোকে।
নরকাসুররূপী বালি এই দিন মর্তে আসেন তার সাথে তাঁর সহচর।তাই প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে এই অশরীরী দের তাড়ানো হয়। প্রদীপগুলি মূলত নিবেদিত হয় স্বর্গত পিতৃপুরুষ, প্রেতাত্মা, ধর্ম, রুদ্র, বিষ্ণু, কান্তারপতি বা অরণ্যে অধিষ্ঠিত দেবতাদের উদ্দেশ্যে।
পুরাণ বলে পরলোকবাসীর উদ্দেশ্যে ফল কখনও
বৃথা যায় না। আর এই ফলও কখনও বৃথা যায় না।
তবে যদিও পুরাণ আমাদের বোধের বাইরে। কারণ শুধু যুক্তি নয়, প্রত্যক্ষ ছাড়াও অনেক বিষয় আছে যা এই বাস্তব জগতের ঊর্ধে, তবুও ভূতচতুর্দশীর মূল্য অপরিসীম।
বৃথা যায় না। আর এই ফলও কখনও বৃথা যায় না।
তবে যদিও পুরাণ আমাদের বোধের বাইরে। কারণ শুধু যুক্তি নয়, প্রত্যক্ষ ছাড়াও অনেক বিষয় আছে যা এই বাস্তব জগতের ঊর্ধে, তবুও ভূতচতুর্দশীর মূল্য অপরিসীম।