আজ ৮ই সেপ্টেম্বর ~ “বিশ্ব স্বাক্ষরতা দিবস “ :

0
আজ ৮ই সেপ্টেম্বর ~ “বিশ্ব স্বাক্ষরতা দিবস “ :

“স্বাক্ষরতা” – “অতীতকে জানবো আর আগামীকে গড়বো “

স্বাক্ষরতা কেবলমাত্র  অক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন নয়- তার সাথে সংযোজন হয় ,জীবন নির্বাহী দক্ষতা, ক্ষমতায়নের দক্ষতা , যোগাযোগের দক্ষতা ও সাংগঠনিক দক্ষতা ।

১৯৪০-এর দিকে পড়াশোনার দক্ষতা কে স্বাক্ষরতা হিসাবে ধরা হত। ষাটের দশকে পড়া ও লেখার দক্ষতার সাথে হিসাব নিকাশের দক্ষতাকে স্বাক্ষরতা বলে ধরা হত। আশির দশকে এই ধারণা সম্পূর্ণ পালটে যায় ।কারণ সমাজ সচেতনতা ও দৃশ্যমান বস্তুসামগ্রী গঠনের ক্ষমতাকে স্বাক্ষরতা হিসাবে ধরা হয় । শিক্ষা বলতে বোঝায় সামগ্রিক শিক্ষা ,আর স্বাক্ষরতা তাই  আনুষ্ঠানিক , উপানুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক এর সমন্বয়ের ফসল ।

১৯৯৬ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘের শিক্ষাবিষয়ক সহযোগী সংস্থা ইউনেস্কো ৮ সেপ্টম্বরকে আন্তজার্তিক স্বাক্ষরতা দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

দারিদ্র হাস ,শিশু মৃত্যু রোধ , শান্তি – সম্বৃদ্ধির জন্য স্বাক্ষরতা  বিশেষ পন্থা হিসাবে স্বীকৃত ।তাই আগে শিক্ষা , আর এই মৌলিক শিক্ষাই যথার্থ সাক্ষর এবং দক্ষ করতে সহায়তা করে ।

উদ্দেশ্যঃ

১) সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করা

২) সচেতনতা সৃষ্টি করা ।

৩) শিক্ষার আবশ্যিক প্রয়োগ সম্পর্কে সচেতন করা।

৪) যথার্থ সম্বন্বয়ী ফসল ।

এককথায় শিক্ষা হল সামগ্রিক কর্মসূচী ,যা একস্থানে বিধিবদ্ধ নয় । তাই শতাংশের পরিমাণ বাড়লেও স্বাক্ষরতা যে মানবিক চেতন তার উন্মেষ এখনো যথার্থ রূপে সম্ভব হয়ে ওঠে নি ।

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড , তাই কেবলমাত্র আনুষ্ঠানিক নয় , শিক্ষাকে যথাযথ মানবিক চেতনে নিয়োগ করে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠা দেওয়াই সার্থকতা ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here