Home পাঁচমিশালি বিজ্ঞানেও যার ব্যাখ্যা মেলেনি ~ জেনে নিন বিশ্বের এমন আশ্চর্য ও ভয়ঙ্কর কিছু জায়গা…..

বিজ্ঞানেও যার ব্যাখ্যা মেলেনি ~ জেনে নিন বিশ্বের এমন আশ্চর্য ও ভয়ঙ্কর কিছু জায়গা…..

বিজ্ঞানেও যার ব্যাখ্যা মেলেনি ~ জেনে নিন বিশ্বের এমন আশ্চর্য ও ভয়ঙ্কর কিছু জায়গা…..

ওয়েব ডেস্কঃ  আমাদের আশেপাশের চেনা গন্ডির বাইরেও রয়েছে কিছু বিশেষ রহস্যাবৃত কিছু বিশেষ জায়গা। এগুলোর অবস্থান প্রাকৃতিক পরিবেশ নিয়ে লোকমত এবং রহস্যের অন্ত নেই। যুগ যুগ ধরে একনিষ্ঠভাবে এই সকল স্থানের রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করেও আজ পর্যন্ত কোনো কূলকিুল-কিনার করতে পারেন নি বিজ্ঞানীরা। এমনকি বর্তমানের আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যুগেও  এই স্থানগুলো  তাদের চারপাশে এক ইন্দ্রজালময় ঘোর বজায় রেখে চলছে । তাই পৃথিবীর এমন কিছু স্থান রয়েছে যেগুলোর ইতিহাস বা কাহিনী আজও আমাদের কাছে অজানা ও রহস্যময়। জেনে নেয়া যাক সেই সব   রহস্যঘেরা স্থান সম্পর্কে…

Image result for mcmurdo dry valleys antarctica

১. ম্যাকমার্ডো ড্রাই ভ্যালী…

‘ম্যাকমার্ডো ড্রাই ভ্যালী ’ বরফের দেশ এন্টার্কটিকার মধ্যস্থলে অবস্থিত।  জনমানবহীন এই উপত্যকাটি বিশ্বের সবচাইতে শুষ্ক মরুভূমির মধ্যে একটি। প্রতিবছর গড়ে বৃষ্টির পরিমাণ খুবই নগণ্য। স্থানটি মেরুঅঞ্চলের বরফে ঢাকা। এখানে কিছু শৈবাল জাতীয় উদ্ভিদ দেখা গেলেও কোন বড় গাছপালা নেই। বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবী এই স্থানটির সাথে  অদ্ভূত ভাবে মিল রয়েছে মঙ্গল গ্রহের পরিবেশের।

Related image

২. মাউন্ট রোরাইমা…

মাউন্ট রোরাইমা সমতল শীর্ষ বিশিষ্ট পর্বতমালা যার স্থানীয় নাম টিপুই। ভেনিজুয়েলায় এটি অবস্থিত। খুবই দুর্গম আর মেঘে আবৃত-ভেজা রহস্যময় টিপুই। এমনকি শুকনো মরসুমে এটি মেঘে ঢাকা থাকে। ১৫৯৬ সালে  প্রথম ‘মাউন্ট রোরাইমা’ প্রথম  ভূ-বিজ্ঞানীদের নজর কাড়ে। ৩১ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থান আর চারদিক ৪০০ মিটার লম্বা ক্লিফ দ্বারা বেষ্টিত এই পর্বতমালার অবস্থান তিন দেশের সীমান্তে ভেনিজুয়েলা, ব্রাজিল আর গায়ানা। কিন্তু একমাত্র ভেনিজুয়েলা সীমান্ত দিয়েই এই দুর্গম পর্বতে প্রবেশ করা যায়।

Image result for racetrack playa rocks

৩. ক্যালিফোর্নিয়ার চলমান পাথর উপত্যকা…

পৃথিবীর আরও একটি বিস্ময়কারী স্থান হল ‘ক্যালিফোর্নিয়ার রেসট্র্যাক প্লায়া’ বা ‘চলমান পাথর’ উপত্যকা । এখানের পাথরগুলো আপাতদৃষ্টিতে দেখলে মনে হবে নিজে নিজেই স্থান পরিবর্তন করে। পাথরগুলিকে চলমান অবস্থায় কেউ কখনো দেখেনি, তবুও পাতলা কাদার স্তরেথেকে যাওয়া ছাপ থেকে পাথরগুলোর স্থান পরিবর্তন নিশ্চিত হওয়া যায়। কিছু কিছু পাথরের কয়েকশ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন হয়, এই ভারি ভারি পাথরগুলো কিভাবে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যায়, সে রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি।

Related image
পাথরের ট্রেইলে রেখে যাওয়া সূক্ষ্ম ছাপ থেকে বোঝা যায় পাথরগুলো এমন সময়ে স্থান পরিবর্তন করে যখন উপত্যকায় পাতলা কাদামাটির আস্তরণ রয়েছে । মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণীর দ্বারা পাথরের স্থান পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও আশেপাশের কাদায় তাদের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায় না। ক্যালিফোর্নিয়ার রেসট্র্যাক প্লায়া, ডেথ ভ্যালি-তে এমন বিশ্বয়কর ঘটনাটি বিশেষজ্ঞদের নজরে আসে ১৯৪৮ সালে। বিজ্ঞানীরা আজও পাথরের চলার ভিন্নতার কারণ রহস্য উম্মোচন করতে পারেন নি।

Image result for door of hell

৪. নরকের দরজা…

তুর্কেমেনিস্তানের ডারভায শহরে এটি রয়েছে। এটি একটি জ্বলন্ত গর্ত। জ্বলন্ত জায়গাটি ‘নরকের দরজা’ নামে পরিচিত। ১৯৭১ সাল থেকে জায়গাটি একটানা দাউ দাউ করে জ্বলছে। ১৯৭১ সালে এখানে গ্যাস খনির সন্ধান মেলে। প্রাথমিকভাবে গবেষণা করে বিষাক্ত গ্যাসের ব্যাপারে গবেষকরা নিশ্চিত হন যার পরিমাণ ছিল সীমিত। সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, এই গ্যাস জ্বালিয়ে শেষ করা হবে ফলে এর বিষাক্ততা ছড়ানোর সুযোগ পাবে না। এরপর এখানে গর্ত করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু গবেষকদের অবাক করে দিয়ে তা এখনও অর্থাৎ ৪০ বছর ধরে অবিরাম জ্বলছে।

Image result for bermuda triangle

৫. বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল…

পৃথিবীর সবচেয়ে আশ্চর্যজনক স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল। এটা শয়তানের ত্রিভূজ নামেও পরিচিত। আটলান্টিক মহাসাগরের একটি বিশেষ অঞ্চলে এটি অবস্থিত। যেখান বেশ কিছু জাহাজ ও বিমান রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গেছে। যার রহস্য আজও অজানা। অনেকে মনে করেন ঐ সকল অন্তর্ধানের কারণ নিছক দুর্ঘটনা। যার কারণ হতে পারে প্রাকৃতিক দূর্যোগ অথবা চালকের অসাবধানতা। আবার চলতি উপকথা অনুসারে এসবের পেছনে দায়ী হল কোন অতিপ্রকৃতিক শক্তি।

Image result for aokigahara

 

৬. আওকিঘারা…

আওকিঘারা জঙ্গল  টি জাপানের একটি রহস্যময় ভয়ংকর ভূখণ্ড। এটা জাপানের ফুজি পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত। সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর স্থানজুড়ে অবস্থিত এই জঙ্গলটি। কোঁকড়ানো ও মোচড়ানো গাছ পালায় পূর্ণ। গোটা এলাকাটি ভূতপ্রেতের অবাধ বিচরণ ভূমি বলে স্থানীয় জনগণের বিশ্বাস। দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্থানটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আত্মহত্যার স্থান হিসেবে পরিচিত। পঞ্চাশের দশক থেকে এ পর্যন্ত ৫ শতাধিক লোক এখানে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু কেউই জানেনা মানুষ আত্মহত্যার জন্য কেনইবা এই স্থানটিকেই বেছে নেয়।

Related image

৭. মগুইচেং…

চীনের ঝিনজিয়াং অঞ্চলের একটি মরুভূমি হচ্ছে মগুইচেং। এর আক্ষরিক অর্থ শয়তানের নগরী। স্থানটি সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত ও জনশূন্য। অনেক অদ্ভূত ঘটনা এখানে ঘটে বলে লোকজন জানিয়েছেন। দর্শনার্থীরা এই স্থানে রহস্যময় আওয়াজ, বিষন্ন সুর ও গিটারের মৃদু ধ্বনি, বাচ্চাদের কান্না এবং বাঘের গর্জন’ শুনতে পেয়েছেন বলে দাবি করেন। এসব শব্দের কোন উৎসের সন্ধান আজো কেউ পাননি।

Related image

৮. চুম্বক পাহাড়…

শুধু নামেই নয়, কাজেও এই পাহাড়টি চুম্বক শক্তির অধিকারী। নিউ বার্ণসউইকের মঞ্চটন এই চুম্বক পাহাড়টি নিজের যথার্থতার প্রমাণ দিয়েছে। ১৯৩০ সালে হঠাৎ করে আবিষ্কার করা হয় যে এই পাহাড়টির আশপাশ দিয়ে কোন গাড়ি গেলে সেটার সাথে  কিছু না কিছু অদ্ভুত ব্যপার ঘটছে। বিশেষ করে সেই গাড়িটা যদি এর ওপর দিয়ে পার হতে যায় তাহলে কোনরকম ধাক্কা ছাড়াই পেছনের দিকে কোন এক অদৃশ্য আকর্ষণে গড়িয়ে যেতে থাকে সেটি। প্রথমটায় বেশ অবাক হয়ে যায় সবাই এই অদ্ভূত ব্যাপার দেখে। তবে দ্রুতই গবেষণা শুরু হয়। নানা মানুষ নানারকম মতামত দিতে শুরু করে এবং একটা সময় গিয়ে সবাই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, এই পাহাড়ের আশেপাশে রয়েছে কোন বিশাল আকারের চুম্বক। লৌহ নির্মিত কোন পদার্থ এর পাশে থাকলেই তাই সেটাকে নিজের দিকে টেনে নেয় সে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here