Home পাঁচমিশালি প্রকৃতির কোলে সুন্দর একটি মন্দির, তাও ভয়ে ভিতরে যাননা কেউই ~ কিন্তু কেন?

প্রকৃতির কোলে সুন্দর একটি মন্দির, তাও ভয়ে ভিতরে যাননা কেউই ~ কিন্তু কেন?

প্রকৃতির কোলে সুন্দর একটি মন্দির, তাও ভয়ে ভিতরে যাননা কেউই ~ কিন্তু কেন?

পুজোতে যাবেন নাকি সুন্দর মন্দিরটিতে, লোকে কিন্তু ভয় পান

মন্দির দেখলেই আমরা প্রণাম করি। আমাদের চারপাশের সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য মন্দির, মসজিদ, গীর্জা। ভক্তদের সমাগম সেখানে লেগেই থাকে।কিন্তু এমন একটা মন্দির এখনও আছে এই ভারতেই যেখানে কেউ ঢুকতেই চান না, সত্যিই যদি প্রাণটাই চলে যায়! অবাক হচ্ছেন? মন্দিরে যাওয়ার সঙ্গে প্রাণ যাওয়ার কী সম্পর্ক?

ভারতে সব সম্ভব। আজ পর্যন্ত অল্প কয়েকজন মানুষ ছাড়া কেউ পা দেননি অপূর্ব সুন্দর এই মন্দিরটিতে। আসলে পাহাড় ঘেরা এই মন্দির যার আরধনা করা হয়, তিনি হলেন মৃত্যু দেবতা যম রাজ! তাই ভয়ে কারও সাহসই হয় না এই মন্দিরে যাওয়ার। সবাই বিশ্বাস করেন কেবল মৃত্যুর পরেই যম রাজের সম্মুখীন হতে হয়। তার আগে হওয়া মানেই হাজারো বিপদকে ডেকে নিয়ে আসা। কিন্তু প্রশ্নটা হল, তাহলে কেন এত সুন্দরভাবে যম রাজের এই মন্দিরটি স্থাপন করা হয়েছিল? এই উত্তর অজানা। এই মন্দির সম্বন্ধে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য আপনারাও জেনে নিন।

Image result for varmor in himachal pradesh

সারা ভারতবর্ষে মৃত্যুর দেবতার কেবলমাত্র এই একটিই মন্দির রয়েছে। সেটির অবস্থান হিমাচল প্রদেশের চম্বা জেলার ভারমর নামক স্থানে।

সাধারণ মানুষ ভয়ে সিঁটিয়ে থাকেন –

মৃত্যুর সম্মুখীন কেউ কী হতে চায়? কখনই নয়সে কারণে কোনও মানুষকে এই মন্দিরে দেখা যায় না। কারণ তাদের বিশ্বাস মৃত্যুর দেবতার সামনে গেলে কিছু একটা ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই বাইরে থেকেই সবাই প্রণাম সেরে নিজ নিজ কাজে চলে যান। কেউই ভিতরে যাওয়ার ইচ্ছাটুকুও প্রকাশ করেন না।
তিনি একা থাকেন না! স্থানীয় মানুষজন বিশ্বাস করেন এই মন্দিরে যম রাজ একা থাকেন না। তার সঙ্গে থাকেন চিত্রগুপ্ত। এই মন্দিরের এক গোপন কুটুরিতেই নাকি যম রাজের সহায়কের নিজস্ব ঘর রয়েছে। সেখানে বসেই নাকি তিনি আমাদের সবার ভাল-মন্দের হিসেব করে যান। যখন আমাদের মৃত্যু ঘটে, তখন সেই ফাইল পৌঁছে যায় যম রাজের দরবারে।

Image result for varmor in himachal pradesh

গোপন দরজা আছে নাকি! এই মন্দিরে নাকি চারটি অদৃশ্য দরজা রয়েছে। যার কোনওটা সোনা, কোনওটা রুপো, কোনওটা ব্রোঞ্জ এবং লোহা দিয়ে তৈরি। পুরাণেও এমন চারটি দরজার বিষয়ে লেখা রয়েছে। বলা হয়েছে যম রাজের মর্জি মতো আত্মারা মৃত্যুর পর এই দরজাগুলির কোনওটা পেরিয়েই স্বর্গ অথবা নরকে প্রবেশ করে থাকে।

এমনও বিশ্বাস করে লোকে! সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করেন মৃত্যুর পরেই আত্মার ঠাঁই হয় যম রাজের দরবারে। সেখানে চিত্রগুপ্ত সেই আত্মার ভাল-মন্দের হিসেব পেশ করেন মৃত্যুর দেবতার সামনে। তারপর তিনি সিদ্ধান্ত নেন, কোন দরজা খোলা হবে। এবার বুঝলেন তো এই মন্দিরে কেন পা পরে না সাধারণ মানুষের। তবু বলছি স্থানটি খুবই সুন্দর। যদি আপনি ভীতু না হন এই পুজোতে আপনিও এই মন্দিরে একবার ঘুরে আসতেই পারেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here