বছরের বিভিন্ন সময়ে নানান জায়গায় ঘুরে বেড়াতে আমরা কে না ভালোবাসি| কেউ ভালোবাসি পাহাড়, কেউ জঙ্গল, কেউ সমুদ্র আবার কেউ বা ইতিহাস প্রসিদ্ধ পর্যটনকেন্দ্র| এসব কিছুর মধ্যে পাহাড়ের আকর্ষণ যেন একটু আলাদা| বিশেষত শীতকালে তো পাহাড়ের একেবারে অন্য রূপ| পাহাড়ের গা বেয়ে তৈরি হওয়া রাস্তা দিয়ে গাড়ি নিয়ে একা বা সঙ্গীসাথী নিয়ে দলবদ্ধভাবে অনেকেই চলে যান একেবারে চূড়ায় যেখান থেকে নিচের পুরো অঞ্চলটাকে দেখা যায় এবং সেই সঙ্গে উপভোগ করতে থাকেন আশেপাশের মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য | নিজেদের ক্যামেরায় বন্দি করতে থাকেন তাদের অভিজ্ঞতার বিভিন্ন মুহূর্ত| সারা দেশ জুড়েই নানান জায়গায় আছে পাহাড়ি সৌন্দর্য| কোথাও বরফে ঢাকা, কোথাও জঙ্গলে ঘেরা| কোথাও বা সারা পাহাড় জুড়ে চেয়ে আছে নানা রঙের মরসুমি ফুল| এর মধ্যে থেকে কোনো একটাকে বেঁচে নেওয়া হয়তো সত্যিই কঠিন| তাই বেশি ভাবনা চিন্তা না করে চোখ রাখুন আমাদের পাতায় আর জেনে নিন দেশের ৭টি দুঃসাহসে ভরা এবং খানিকটা off Beat পাহাড়ি যাত্রার হদিশ |
১~ ইরাকুদ (Yercaud): তামিলনাড়ুর সালেম জেলার একটি পাহাড়ি বা হিল স্টেশন যা সমুদ্র থেকে ১৫১৫ মিটার (৪৯৭০ ফিট) উচ্চতায় অবস্থিত| এখানকার সবথেকে উঁচু স্থানটির নাম শেভরোয় মন্দির| তামিল ভাষায় ইরা মানে হ্রদ এবং কুদ মানে জঙ্গল| ভীষণভাবে জনপ্রিয় এই স্থানটি দক্ষিণের রত্ন হিসেবেও পরিচিত|
আবহাওয়া : এখানকার তাপমাত্রা মাঝারি মাপের| ডিসেম্বরের শেষ থেকে ফেব্রুয়ারীর শুরু পর্যন্ত শীতকাল থাকে এবং সেইসময় হালকা ঠান্ডা পরে মোটামুটি 12 ডিগ্রি
থেকে ২৪ ডিগ্রি এবং গরমকালে প্রায় ১৬ ডিগ্রি থেকে ৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াস | সারা বছরে বৃষ্টি হয় প্রায় ১৫০০-২০০০ মিলিমিটার|
দর্শনীয় স্থান: এখানে গেলে অবশ্যই দেখবেন ইরাকুদ হ্রদ, শেভরোয় মন্দির, মন্টফোর্ট বিদ্যালয়, ৩২ কিলোমিটার লুপ রাস্তা, শ্রী রাজা রাজেস্বরী মন্দির, প্যাগোডা পয়েন্ট, কিলিয়ুর ঝর্ণা , বোটানিক্যাল গার্ডেন, আন্না পার্ক |
কিভাবে যাবেন: আপনি যদি ট্রেনে যান তাহলে সবচেয়ে কাছের স্টেশন সালেম junction থেকে তিরুচিরাপল্লী রড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের বাস বা ট্যাক্সি করে যেতে পারেন ,দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার| এই রাস্তায় ২ ০ টি Hairpin bends অর্থাৎ মাথার চুলের কাঁটার মতো সরু বাঁক পাবেন| আর যদি প্লেনে আসার পরিকল্পনা থাকে তাহলে বিমানে করে তিরুচিরাপল্লী বিমানবন্দরে পৌঁছে সেখান থেকে বাস বা ট্যাক্সি করে নিন|
কখন যাবেন: ইরাকুদ এ যাওয়ার আদর্শ সময় হলো মার্চ – জুন এবং অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারী|
২~ ভালপারাই (Valparai) : তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুর জেলার একটি ছোট্ট সুন্দর হিল বা পাহাড়ি স্টেশন যার উচ্চতা সমুদ্র থেকে ৩৫০০ ফিট (১১০০ মিটার)| এটি পশ্চিমঘাট পর্বত মালার আন্নামালায় পর্বতশৃঙ্গে অবস্থিত| কোয়েম্বাটুর এবং পোল্লাচি শহর থেকে ভালপারাই এর দূরত্ব যথাক্রমে ১০০ কিলোমিটার এবং ৬৫ কিলোমিটার | সমগ্র পাহাড়ি রাস্তা জুড়েই কফির চাষ দেখতে পাবেন| দুজনে মিলে যান বা পরিবারের সকলে মাইল , ঘোড়ার জন্য ভালপারাই খুব ই মনোরম জায়গা|
আবহাওয়া : এখানকার আবহাওয়া খুব সুন্দর| শীতকালের সর্বনিম্ন্ন তাপমাত্রা থাকে ১৫ ডিগ্রী এবং গরমকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকে 34 ডিগ্রী সেলসিয়াস|
দর্শনীয় স্থান: এখানে গেলে অবশ্যই দেখবেন সোলায়ার ড্যাম, চিন্নাকালার ঝর্ণা, বালাজি মন্দির, কারমালাই এয়ানাই ভেলানকাননি গির্জা, বানর জলপ্রাপ্ত, নীরার বাঁধ, টাটা কফি বাগান ইত্যাদি|
কিভাবে যাবেন: কোয়েম্বাটুর স্টেশন বা বিমানবন্দর (১০৭ কিলোমিটার) থেকে পোল্লাচি হয়ে ভালপারাই যেতে পারেন| এই রাস্তায় পাবেন ৪০ টি Hairpin Bend| যাত্রার সময় নির্ভর করে রাস্তায় থাকা ভিড়ের উপর| তবে স্টেশন থেকে ২ ঘন্টা এবং বিমানবন্দর থেকে প্রায় ৪ ঘন্টার মতো লাগে|
কখন যাবেন: ভালপারাই যাওয়ার আদর্শ সময় হলো সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত|
৩~ কলি পাহাড় (Kolli Hills): এটি তামিলনাড়ুর নামাক্কল জেলায় অবস্থিত| ভ্রমণকারীদের মতে বাইকে করে দুদিনের ছোট্ট যাত্রার এর জন্য কলি হিলস আদর্শ জায়গা| শুধু তাই নয় প্রকৃতি প্রেমী, ট্রেকিং এ আগ্রহী, এবং সর্বোপরি ধ্যান অনুশীলনকারীরা অবশ্যই আসবেন কলি হিলসে| এর পাদদেশে অনেক ছোট বড় শহর আছে| এই সমস্ত শহরগুলির আবহাওয়া কলি হিলসের আবহাওয়া দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে| কলি হিলের মানুষেরা পায়ে হেঁটে পাহাড়ের নিচের শহরগুলিতে এসে নিজের উৎপাদন করা জিনিসগুলি বিক্রি করে এবং নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি কিনে নিয়ে যায়| পাহাড়ের উপর দিকটা ঘন সবুজ জঙ্গলে ঘেরা | এখানকার চিরসবুজ শোলা বনভূমি খুব ই বিখ্যাত | এছাড়াও প্রচুর কফি, ওক এবং ফলের চাষ ও দেখতে পাওয়া যায়|
আবহাওয়া : এখানকার সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যথাক্রমে ১৮ ডিগ্রী এবং ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস|
দর্শনীয় স্থান: এখানকার বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্রগুলি হলো, আগায়া গঙ্গা জলপ্রপাত, আপালপালেশ্বর মন্দির, নৌকা হাউস,বোটানিক্যাল গার্ডেন, দেখুন পয়েন্ট, সিদ্ধার গুহা ইত্যাদি|
কিভাবে যাবেন: সালেম হলো সবচেয়ে কাছের স্টেশন| এখন থেকে গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন| অথবা চেন্নাই বিমানবন্দরে এসে সেখান থেকেও যেতে পারেন| প্রসঙ্গত পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার জন্য ৭০ টি মাথার চুলের কাটার বাঁক পার করতে হয়|
কখন যাবেন: কলি হিলস যাওয়ার আদর্শ সময় হলো মার্চ মাস থেকে জুন মাস|
৪~ জুলুক (Zuluk) : একদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা আর এক দিকে আঁকা বাঁকা পাহাড়ি রাস্তা| মাঝে মাঝে টিপ্ টিপ্ করে বৃষ্টি পড়ছে| একটু ওঠার পর ই সেই বৃষ্টি তুষারপাতে পরিণত হলো| ভাবতে পারছেন সেই অসম্ভব সুন্দর দৃশ্যটি? হাঁ লাল পান্ডারদেশ জুলুক যাওয়ার পথে আপনিও হতে পারেন এই স্বর্গীয় প্রকৃতির অধিকারী| প্রসঙ্গত জুলুক যাওয়ার রাস্তায় ৩২ টি মাথার চুলের কাঁটার মতো বাঁক আছে | হিমালয়ের কোলে প্রায় ১০১০০ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত পূর্ব সিকিমের একটি ছোট গ্রাম জুলুক একসময় ছিল পুরানো সিল্ক রুটের মাধ্যমে তিব্বত থেকে ভারতে যাওয়ার রাস্তা| পারিবারিক ভ্রমণের জন্য একদম আদর্শ| মনোরম কাঞ্চনজগা ছাড়াও এখানে আছে কিছু দর্শনীয় স্থান যেগুলি দেখার জন্য আপনাকে ২ থেকে ৩ দিন থাকতে হতে পারে| ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য বর্তমানে এই স্থানটি খুলে দেওয়া হয়েছে| তবে তিব্বত ও চীনের আন্তর্জাতিক সীমারেখার দরুন এখনো অনেক জায়গায় নিরাপত্তারক্ষহীদের অধীনস্ত|
আবহাওয়া : শীতকালে জুলুকে প্রচুর পরিমানে তুষারপাত হয়ে থাকে| গরমকাল তুলনামূলকভাবে কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে|
দর্শনীয় স্থান: জুলুকের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে থামবি ভিউ পয়েন্ট, গোনাথং উপত্যকা,লুংথুঙ, আদিবাবা মন্দির, কল্পকহরি হ্রদ, গোঙটোক,টুকলা ভ্যালি, সানরাইজ পয়েন্ট, সর্প মন্দির ইত্যাদি বিখ্যাত|
কিভাবে যাবেন: নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন অথবা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে গ্যাংটক বা কালিংপং হয়ে জুলুক যাওয়া যায়| গ্যাংটক থেকে ৪ ঘন্টার রাস্তা| পথে পর্বে তসমগো হ্রদ, বাবা মন্দির, কুপুপ, নাথাং ভ্যালি| আর কালিংপং হয়ে গেলে পথে পড়বে পেডং, রেনসিক, আরিতার, রংলি, ফাদমছেন তারপর জুলুক|
কখন যাবেন: জুলুক যাওয়ার সবথেকে ভালো সময় হলো অগাস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত| এ সময় সারা জুলুক বাহারি রোডোডেন্ড্রনে ভোরে যায়| মে মাস থেকে জুলাই মাস এখানে বর্ষা কাল থাকে | ডিসেম্বর থেকে তুষারপাত শুরু হয় এবং জানুয়ারির পর রাস্তা বুন্ধ হয়ে যায়|
৫~ এলিগিরি পাহাড় ( Yelagiri Hills): তামিলনাড়ুর ভেল্লোর জেলায় অবস্থিত ছোট্ট একটি পাহাড়ি স্টেশন এই এলিগিরি| সমগ্র এলিগিরি অরচার্ড ও গোলাপের বাগান এবং সবুজ উপত্যকায় ঘেরা| সমুদ্র থেকে ১৪১০ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত এই পাহাড়ি স্টেশনটি ট্রেককিঙের জন্য খুব ই বিখ্যাত| মাঙ্গালাম, একটি ছোট গ্রামকে ভিত্তি করে এখানকার বিখ্যাত ট্রেককিং পয়েন্টগুলি হলো স্বামীমালায় পর্বত, জাভাদি পর্বত, পালামঠি পর্বত| পুরো জায়গাটা একসময় এলাগীরির জমিদার বাড়ির ব্যক্তিগত সম্পত্তি ছিল | তামিলনাড়ুর অন্যানো পাহাড়ি স্টেশনের মতো এটি বিখ্যাত নয়| তবে বর্তমানে এটিকে একটি সফল পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে পরে তোলার উদ্দেশ্যে সরকার থেকে বিভিন্ন দুঃসাহসিক খেলাধুলার যেমন প্যারাগ্লাইডিং, রক ক্লাইম্বিং ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়েছে| প্রসঙ্গত এই রাস্তায় ১৪টি চুলের কাটার বাঁক পড়বে|
আবহাওয়া : বর্ষার সময় এখানে খুব ই ঠান্ডা থাকে| এছাড়া অন্য সময় ভালো আবহাওয়া থাকে|
দর্শনীয় স্থান: এখানে এলে অবশ্যই দেখবেন প্রকৃতি পার্ক, পুঙ্গানুর লেক পার্ক, জলগাম্পারাই জলপ্রপাত ,স্বামীমালায় পাহাড় ইত্যাদি|
কিভাবে যাবেন: বেঙ্গালুরু বিমাবন্দর থেকে ট্যাক্সি বা বাসে করে যেতে পারেন| অথবা সবথেকে কাছের স্টেশন জলারপেট্টাই থেকে ট্যাক্সি করেও যেতে পারেন| ভেল্লোর বাস স্ট্যান্ড থেকেও রোজ বাস ছারে|
কখন যাবেন: এলিগিরি যাওয়ার সবথেকে ভালো সময় হলো নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী|
৬~ মূদুমালাই (Mudumalai – Masinagudi) : এটি একটি বন্যপ্রাণী সরক্ষন এলাকা | তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুর শহর থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে নীলগিরি পাহাড়ের উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত | কোয়েম্বাটুর থেকে একদিনের দলগত যারা হিসেবে মন্দ নয় | এটি একটি খোলা জঙ্গল যেখানে ভাগ্য ভালো থাকলে দিনের বেলাতেই দেখা পেতে পারেন বন্য জীব জন্তুর| এই পার্কটি অন্য এবং মিসরের রাস্তায় পরে এবং দুদিক থেকেই যাওয়া যায়| এটি বর্তমানে বাঘ সরক্ষন হিসাবে ঘোষিত হয়েছে এবং এখানে বর্তমানে বাঘের সংখ্যা ৫০| যাত্রাপথটি কোনো সমতল ছাড়াই ক্রমাগত উঁচুর দিকে উঠেছে এবং ৩২টি চুলের কাটার বাঁক আছে |
আবহাওয়া : আবহাওয়া মোটামুটি ভালো|
দর্শনীয় স্থান: এখানে এলে অবশ্যই দেখবেন মূদুমালাই পার্ক,কালিহাতি ঝর্ণা, থিপ্পাকাদু এলিফ্যান্ট ক্যাম্প ইত্যাদি|
কিভাবে যাবেন: কোয়েম্বাটুর বিমাবন্দরটি থেকে পার্কটি ১৬০ কিলোমিটার দূরে| আর ট্রেনে যেতে হলে উটি যাওয়ার রেল রাস্তায় উদ্যোগমান্দালাম স্টেশনে নেমে যেতে হবে|
কখন যাবেন: মূদুমালাই যাওয়ার আদর্শ সময় হলো শীতকাল বিশেষত অক্টোবর থেকে মে মাস পর্যন্ত|
৭~ পঁমুদি (Ponmudi): ত্রিভান্দ্রাম থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত| এই যাত্রা পথে ২২টি চুলের কাঁটার বাঁক দেখা যায়| ট্রেককিং করার জন্য এটি ভিত্তি হিসাবে নির্বাচন করা হয়| এখানে হোটেলের সংখ্যা কম আছে তাই আগে থেকে বুকিং করে
যাওয়াই ভালো|
আবহাওয়া : মনোরম আবহাওয়া পাওয়া যায় |
দর্শনীয় স্থান: এখানে এলে অবশ্যই দেখবেন মেনমুত্তি জলপ্রপাত, পেপার বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, কেল্লার ইত্যাদি|
কিভাবে যাবেন: ত্রিভান্দ্রাম রেল স্টেশন বা বিমানবন্দর থেকে গাড়ি করে যাওয়া যায়|
কখন যাবেন: পঁমুদি যাওয়ার ভালো সময় হলো ফেব্রুয়ারী থেকে মার্চ মাস এবং অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস|
পাহাড়ি রাস্তা কোথাও ঢালু, কোথাও খাড়াই, কোথাও বা একেবারে সংকীর্ণ| একটু অসতর্ক হলেই একেবারে খাদের অতল গভীরে| গাড়ির চালক ভালো না হলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে চরম বিপদ. এর উপর ট্রেককিং করা জন্য চাই কিছুটা অভিজ্ঞতা এবং অনুশীলন. তাই সৌন্দর্য উপভোগের সাথে সাথে ভয় ও বিস্ময়ের মিশ্র অনুভূতিটাও কিন্তু এই যাত্রার একটা অংশ| চিন্তা করবেন না. উপযুক্ত সাবধানতা অবলম্বন করুন এ সাক্ষী থাকুন এক রোমাঞ্চকর এবং দুঃশাসসিক পাহাড়ি অভিযানের.