দেশ জুড়ে ক্রমবর্ধমান যৌন নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন সর্বচ্চ আদালত। বিচারকালীন দীর্ঘ সময়ের জন্য অনেক সময়েই নির্যাতিতা ও তার পরিবার বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখীন হন।
দেশের আদালতগুলিতে বিচারাধীন যৌন নির্যাতনের মামলাগুলির দ্রুত বিচারের জন্য বিশেষ তৎপর হলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে। এই জন্য দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন তিনি। সোমবার রাতে এই খবর জানা গিয়েছে। হায়দরবাদের পশু চিকিৎসক গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ৪ অভিযুক্তে পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনার এক সপ্তাহ যেতে না যেতে এই বিশেষ বিচারবিভাগীয় কমিটি গঠন করা হল।
দেশের প্রধান বিচারপতি বোবদে গঠিত বিচার বিভাগীয় কমিটির সদস্যরা হলেন বিচারপতি সুভাষ রেড্ডি এবং বিচারপতি এমআর শাহ। তাঁরা বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন ধর্ষণের মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য নজরদারি চালাবেন। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট হাইকোর্টের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে কাজ করবে সুপ্রিম কোর্টের এই কমিটি। ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলার শ্লথ বিচার প্রক্রিয়ার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিচার বিভাগের প্রতি অনাস্থা সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এমন একটি সময়ে এই কমিটি গঠনের খবর সামনে এল।
ভোররাতের তেলঙ্গানা এনকাউন্টারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেশজুড়ে পুলিশের জন্য প্রশংসার বন্যা বয়ে গিয়েছিল। এই ঘটনা সাতসকালে শোনার পর নিজের স্বস্তি চেপে রাখতে পারেননি নির্যাতিতার পরিবারও। অনেকেই এনকাউন্টারের বিরোধিতা করেছেন। তবে বেশিরভাগ সাধারণ মানুষই তেলেঙ্গানা পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সাধারণ মানুষের এই মনোভাব দেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের হতাশার বহিপ্রকাশ বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল।
দেশের বিচার ব্য়বস্থায় যে কিছু ত্রূটি আছে, তা গত সপ্তাহেই স্বীকার করে নিয়েছিলেন স্বয়ং সুপ্ৰিম কোৰ্টের প্রধান বিচারপতি বোবদে। এবং অবিলম্বে এই ত্রূটি কাটিয়ে ওঠার উপর জোর দিয়েছিলেন তিনি। যার রেশ ধরে এ ই বিচারবিভাগীয় কমিটি গঠন।