Home পাঁচমিশালি আশ্চর্য, তবু সত্যঃ যুগ যুগ ধরে ভক্তদের পুজো গ্রহণে গভীর সমুদ্রে জেগে ওঠেন স্বয়ং মহাদেব……

আশ্চর্য, তবু সত্যঃ যুগ যুগ ধরে ভক্তদের পুজো গ্রহণে গভীর সমুদ্রে জেগে ওঠেন স্বয়ং মহাদেব……

আশ্চর্য, তবু সত্যঃ যুগ যুগ ধরে ভক্তদের পুজো গ্রহণে গভীর সমুদ্রে জেগে ওঠেন স্বয়ং মহাদেব……

 

ওঁ নমস্তভ্যঃ বিরূপাক্ষ নমস্তে দিব্যচক্ষুসে নমঃ ।
পিণাকহস্তায় বজ্রহস্তায় বৈ নমঃ ।।
নমত্রিশূলহস্তায় দন্ড পাশাংসিপাণয়ে ।
নমঃ স্ত্রৈলোক্যনাথায় ভূতানাং পতয়ে নমঃ ।।
ওঁ বানেশ্বরায় নরকার্ণবতারনায় , জ্ঞানপ্রদায় করুণাময়সাগরায় ।
কর্পূরকুন্ডবলেন্দুজটাধরায় , দারিদ্রদুঃখদহনায় নমঃ শিবায় ।।

 
হিন্দু ধর্মের প্রধান তিন দেবতা ব্রক্ষ্মা , বিষ্ণু , মহেশ্বর । ব্রহ্মা সৃষ্টির দেবতা , বিষ্ণু স্থিতি ও মহাদেব লয়ের দেবতা। শিব অর্থে পরমাত্মা , যিনি পরম পুরুষের সঙ্গে যুক্ত এবং সতী হলেন প্রকৃতি । আর সেই অনন্ত পুরুষ হলেন মহাদেব ।

তবে আজ অল্প কিছু জনশ্রুতি বলি , সাধারণ ভাবে আমরা মহাদেবের পূজো সোমবার করে থাকি । জনশ্রতি আছে যে , যারা সোমবার করেন তাঁদের কোন রকম মনোবাঞ্ছা অপূর্ণ থাকে না । আবার কুমারী মেয়েরা সু স্বামী পাওয়ার জন্য শিব পূজা করে। শিবের মন্ত্র জপে নাকি শাপ দূর হয় । এই গেলো শিবের মাহাত্ব আলোচনা  ।কিন্তু যদি সত্যি তিনি আমদের সামনে আসেন , আমাদের অনের কামনা পূরণ করেন , এ আশা যেন কম বেশী সকলের । যা চাই তাই যেন পাই , এই পাবার আশায় আমরা ছুটে চলেছি ।আর এমন তো হতেই পারে যে আশ্চর্যের মতো করে সে ঘটনা সত্যি হল , ঠিক আজ এমনই সেই রকম এক ঘটনার মুখোমুখি আমরা ।

এবার আমরা বলব এক আশ্চর্য ঘটনার কথা । ভারতের বেশ কিছু জায়গায় আমরা নান রকমের আশ্চর্যপূর্ণ ঘটনা দেখে থাকি ।কিছুটা ভ্রান্ত হলেও আমরা অজানা বিষয়ের জানার আগ্রহ নিয়ে জানবার চেষ্টা করি । তবে আজ সত্য অন্বেষনে  তারই সন্ধানে আমরা ।আমরা অনেকেই কন্যকুমারীর কথা শুনেছি ।  জায়গাটির কথা ভাবলেই মনে হয় যে , সেই বিবেকানন্দ , সেই  “জীব জ্ঞানে শিব সেবা “। তবে সমুদ্রের সেই শত ঢেউয়ের মধ্যে একবারে মাঝ সমুদ্রের মন্দিরের কথা হয়ত অনেকের অজানা ।এটি একটি শিব মন্দির । আর আরব সাগরের মধ্যে থাকা গুজরাট থেকে এর দূরত্ব ১ কিলোমিটার । স্থানীয় মানুষের মুখে এই মন্দির নিশকলঙ্গেশ্বর মন্দির হিসাবে পরিচিত । এখানে মন্দিরে যদি কিছু চাওয়া যায় , তবে তা পাওয়া যায় , একথাও লোকমুখে শোনা যায়। আর ফলের আশায় মানুষের ভিড় , সেটাকে অগ্রাহ্য করাই যায় না ।তাই পর্যটকের ভিড় বেড়েই চলেছে , তার সাথে মন্দিরের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে ।

You-tube থেকে সংগৃহীত মন্দিরের একটি ভিডিও……

 

চারদিকে জল আর মাঝখানে মহাদেব , একটু জমির উপর তৈরি মন্দির । এই মন্দিরে ৫ টি শিবলিঙ্গ আছে ।আর চারদিকে জলের জন্য সকল যাত্রী সহজেই সেখানে পৌঁছাতে পারেন না। তবে সেখানে শিব দর্শন করতে হলে বেলা ১ টা থেকে ১০ টার মধ্যে । অন্য সময় জলের তলায় থাকে মন্দিরের প্রবেশ পথ । কি আশ্চর্য তাই না ? জোয়ারের সময় মন্দির জলের নীচে থাকে । উপরে থাকে  কেবল মাত্র ২০ ফুট লম্বা  পাথরের তৈরি  থামটি আর ধ্বজাটি ছাড়া। দুপুর ১ টার পর মন্দিরের উপর থেকে জল নেমে যায় , কেমন আশ্চর্য বিষয় ।

Image result for Miraculous The Lord Shiva Temple in the Sea | Gujarat Shiva Temple

এই মন্দির নিয়ে অনেক মত আছে । কেউ বলেন নিশকলঙ্গেশ্বর মন্দিরের শিব, বাবা ভোলানাথ নাকি কারোর ইচ্ছা অপূর্ণ রাখেন না ।আবার অনেকে বলেন বাবাকে দেখতে পাওয়া নাকি সৌভাগ্যের বিষয় । অনেকে বলেন যে ,পাণ্ডবদের কালে ,

এই মন্দির নাকি তৈরি হয় ।তবে নানা মুনির নানা মত । আনেকের মতে তারকাসুর কে হত্যার পর কার্তিকের খুব অনুশোচনা হয় , কারণ তারকাসুর শিবের ভক্ত ছিলেন । তাই কার্তিক তখন ,পিতা শিবের আরাধনা করতে শুরু করেন । এ ঘটনাও লোকমুখে শোনা ঘটনা ।এর বিশেষত হলো এটি জোয়ারের সময় এই মন্দির অদৃশ্য ,আর

ভাটার সময় কেবল এই মন্দিরটি দেখা যায় ।তাই মন্দিরটি “ মহাদেবের অদৃশ্যমন্দির “ নামে খ্যাত ।

Image result for Miraculous The Lord Shiva Temple in the Sea | Gujarat Shiva Temple

 

 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here