অ্যাকশন আর গতিতে হুবহু মিল। তাই তার তুলনা টানা হয় কিংবদন্তি পেসার লাসিথ মালিঙ্গার সঙ্গে। তিনি শ্রীলঙ্কার ১৭ বছর বয়সী পেসার মাথিসা পাথিরানা। দক্ষিণ আফ্রিকায় চলতি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে তার একটি বলের গতি দেখিয়েছে ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার বা বলা ভাল ১০৮ মাইল!
এই ঘটনা ক্রিকেট বিশ্বে আলোড়নের সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন উঠেছে কীভাবে এত গতি তুলেছেন মাথিসা? এটা কি সম্ভব? প্রসঙ্গত ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয় দ্রুতগতির ডেলিভারিটি করেছিলেন পাকিস্তানের ‘পেসার শোয়েব আখতার। ২০০৩ সালে কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬১.৩ কিলোমিটার গতির বল করেছিলেন রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস , ব্যাটসম্যান ছিলেন নিক নাইট । সেটিই এখন পর্যন্ত বিশ্বরেকর্ড। অস্ট্রেলিয়ান শন টেইট ও ব্রেট লি ১৬০ কিলোমিটার ছুঁলেও শোয়েবকে স্পর্শ করতে পারেননি। পাথিরানার
স্পিড গানে দেখানো গতি যদি সত্যি হয়, তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যে কোনো লেভেলে এটি সবচেয়ে দ্রুতগতির ডেলিভারি। গত বছরও যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাজী অনিকের একটি ডেলিভারি ১৬০ কিলোমিটার দেখিয়েছিল স্পিড গানে। পরে জানা যায়, সেটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে। মাথিসা পাথিরানার ডেলিভারিটি নিয়ে এমনই কিছু হয়েছে বলে ধারণা ক্রিকেটবিশ্বের।