Home আপডেট আংশিক ভাবে চালু রেল পরিষেবা , রুটবদল উত্তরে

আংশিক ভাবে চালু রেল পরিষেবা , রুটবদল উত্তরে

আংশিক ভাবে চালু রেল পরিষেবা , রুটবদল উত্তরে

 

নির্ধারিত যাত্রাপথ ঘুরিয়ে আপ এবং ডাউন লাইনে ৯টি ট্রেন আপাতত চালু করছে পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব রেল। এর মধ্যে ডাউন লাইনে শিলচর-তিরুবনন্তপুরম এক্সপ্রেস এবং শিলঘাট-কলকাতা কাজিরাঙ্গা এক্সপ্রেস মঙ্গলবার থেকে চালু হয়েছে বলে রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। রবিবার থেকে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকলেও, আজ বুধবার তা আংশিক ভাবে চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ট্রেন মালদা টাউন-গুমানি-রামপুরহাট-বর্ধমান-ব্যান্ডেল-নৈহাটি রুটে যাতায়াত করবে বলে রেল এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে।

সোমবারের মতো মঙ্গলবারও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণের নিশানায় ছিল রেল পরিষেবা। গত চার দিন ধরে রাজ্যের বিস্তীর্ণ অংশে প্রতিবাদের ফলে যে ভাবে রেল পরিষেবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাকে অতিরঞ্জিত বলে উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দুটো ছোট ছোট ঘটনা ঘটেছে। দূরপাল্লার সব ট্রেন তিন দিন ধরে বন্ধ করে দিয়েছে। মানুষ কত সমস্যার মধ্যে রয়েছে।’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করব, ট্রেন সার্ভিস চালু করতে।’ একই সঙ্গে বিভিন্ন স্টেশনে প্রতিবাদকারীদের কাছে আক্রান্ত হওয়ার পর রেলকর্মীদের একটা বড় অংশ রেলরক্ষীবাহিনীর ‘অকর্মণ্যতা’ নিয়ে যে অভিযোগ তুলেছিলেন, তাকেই সমর্থন করে মমতা বলেন, ‘রেলস্টেশন রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের আওতায় পড়ে। আমাদের আন্ডারে পড়ে না। তোমার পুলিশ যদি প্রোটেকশন না-দেয়, সেটা তোমার দায়িত্ব, আমার দায়িত্ব নয়। তা-ও আমি সাহায্য করেছি। আমরা ইতিমধ্যেই ৬০০-৭০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। যারা আগুন লাগিয়েছে, যারা বিভিন্ন হিংসাত্মক কাজকর্ম করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।’

মুখ্যমন্ত্রীর কথায় প্রতিক্রিয়ায় দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘এতগুলো ঘটনা ঘটলেও ওঁর মন ভরেনি। তাই ছোট ঘটনা বলছেন।’

মঙ্গলবারই মালদার ডিআরএম যতীন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, ‘ট্রেন কবে থেকে পুরোপুরি চলবে সেটা নির্ভর করবে রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের অনুমোদনের উপর। ধুলিয়ান, সুজনিপাড়া, নিমতিতা স্টেশনে ক্ষতির পরিমাণ এতটাই যে, এই রুটে যাত্রী পরিষেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হতে সময় লাগবে অনেকটাই।’ উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আওতায় থাকা ভালুকা রোড ও হরিশচন্দ্রপুর স্টেশন দু’টোরই প্যানেল রুম পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন রেলকর্মীরা। তবে, এই দুই স্টেশনেই রেকের গতি নিয়ন্ত্রণ করে পেপার সিগন্যাল দিয়ে ট্রেন চালানো সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। হরিশচন্দ্রপুর স্টেশনের অবস্থা তুলনামূলক ভাবে কিছুটা ভালো। এই দুই স্টেশনের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হয়েছে। এই দুই স্টেশনের মধ্যে মঙ্গলবার মালগাড়ি চালানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আজ, বুধবার শিলিগুড়ি ও মালদার মধ্যে দু’টো ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস চালানো যাবে বলে আশা। শিয়ালদহ দক্ষিণে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া পরিষেবা মসৃণ ছিল। দক্ষিণ-পূর্ব রেলও তাই। উলুবেড়িয়া-সহ বিভিন্ন স্টেশনে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। উলুবেড়িয়ায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে কারা এই ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত।