বাংলার অতীত ঐতিহ্য স্মরণ করে বর্তমানের ‘করুণ দশা’ নিয়ে সরব হলেন নরেন্দ্র মোদী। রবিবার হলদিয়ায় বিজেপির নির্বাচনী সভা থেকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “১০ বছরে বাংলায় হিংসা-দুর্নীতি বেড়েছে”।বাম আমলের থেকে এখন বাংলার অবস্থা আরও খারাপ উল্লেখ করে মোদী বলেন, “২০১১ সালে পুরো দেশের নজর ছিল বাংলার উপর। বামেদের অত্যাচার ছিল চর্চার বিষয়। ওই সময় মমতাদিদি বাংলায় পরিবর্তনের স্লোগান তুলেছিলেন। পুরো দেশের ধ্যান ছিল সেখানেই। মানুষ মমতার উপর ভরসা করেছিলেন। কিন্তু মমতা চেয়ে বাংলার মানুষ নির্মমতার শিকার হয়ে গেলেন মানুষ”।পরিবর্তনের পর কী হল? মোদীর কথায়, “এক বছরেই বাংলার মানুষ বুঝে গেলেন, তাঁরা পরিবর্তন পাননি, পেয়েছেন বামেদের পুনর্জীবন। সেটাও সুদ সমেত। বামেদের পুনর্জীবনের অর্থ দুর্নীতি, অপরাধ, অপরাধী আর হিংসার পুনর্জীবন। যে কারণে বাংলা গরিবি বেড়ে গেল কয়েকগুণ”।তিনি আরও বলেন, “দিদিকে উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন করলে রেগে যান। দুর্নীতি এখন প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেয়েছে। বাংলায় রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে। বাংলায় পরিবর্তন হয়নি। বাম আমলের থেকেও খারাপ হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসনের রাজনীতিকরণ হয়েছে”।দিল্লিতে কৃষি আইন বাতিলের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটিরা। যে ঘটনার মধ্যে ভারতকে খাটো করার ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করে মোদী বলেন, “মা-মাটি-মানুষের ভারত মাতাকে শক্তিশালী করার সাহস নেই। ভারতের ভাবমূর্তি নষ্টের পরিকল্পনা চলছে। আন্তর্জাতিক শক্তি দেশের উপর হামলা করলে নীরব থাকেন দিদি”।পরিবর্তনের সপক্ষে জোর সওয়াল করে মোদী বলেন, “বাংলার মানুষ ফুটবলপ্রেমী। সেই ভাষাতেই বলি, তৃণমূল একের পর এক ‘ফাউল’ করেছেন, অপশাসন, বিরোধীদের উপর হিংসা, বাংলার মানুষের টাকা লুঠ এবং বিশ্বাসের উপর ‘ফাউল’। খুব শীঘ্র বাংলার মানুষ তৃণমূলকে ‘রামকার্ড’ দেখাতে চলেছেন। পিসি-ভাইপোর সরকারকে উৎখাত করার পরিকল্পনা নিয়ে ফেলেছেন বাংলার মানুষ”।প্রথমত, রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নরেন্দ্র মোদীর অভিযোগে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস।এ দিন বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ করেন মোদী। এ ব্যাপারে দলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “আমরা তো উল্টোটাই জানি, লোকসভা ভোটে টাকা দিয়ে সিপিএমের ভোট টেনেছিল। আমরা শুনেছি, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে বুথ থেকে তৃণমূলের এজেন্টকে বের করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন মোদী”।কৃষকদের প্রতি রাজ্য সরকারের বঞ্চনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় কৃষকদের পাশেই রয়েছেন। কেন্দ্র যদি কৃষকদের কথা ভাবত, তা হলে দিল্লিতে এত দিন ধরে কৃষকদের বিক্ষোভ চলত না”।
সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে গরু পাচার বা সোনা পাচারের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এবার সীমান্তে প্রচুর…
টাকা বা সোনা নয়, এসির রিমোট, চাবি চুরির চেষ্টা, তাও আবার একটি হোটেল থেকে। আর…
ডেস্ক: দিনপঁচিশেক ‘বেপাত্তা’ পর বাড়ি ফিরে এলেন হিন্দি সিরিয়ালের অভিনেতা গুরুচরণ সিং। জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘তারক…
গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পরে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কলকাতা পুরসভা। তবে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ শুধু…
এই বছর প্রবল গরম পড়েছে। সেই গরম থেকে এখনও পুরোপুরি নিস্তার মেলেনি। তখন পরিবেশবিদ থেকে…
পিনাকী ভট্টাচার্যরাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ যখন মধ্যগগনে তখন বঙ্গোপসাগরে ঘনাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়। মে মাসের শেষে এই…