Home আপডেট ‘‌অনুব্রতই তৃণমূল কংগ্রেসের সফল জেলা সভাপতি’‌, নাম বাদ পড়া নিয়ে মন্তব্য দিলীপের

‘‌অনুব্রতই তৃণমূল কংগ্রেসের সফল জেলা সভাপতি’‌, নাম বাদ পড়া নিয়ে মন্তব্য দিলীপের

‘‌অনুব্রতই তৃণমূল কংগ্রেসের সফল জেলা সভাপতি’‌, নাম বাদ পড়া নিয়ে মন্তব্য দিলীপের

[ad_1]

কালীপুজো–দীপাবলি শেষ। আবার রাজনীতির ময়দানে স্বমেজাজে দিলীপ ঘোষ। রোজকার মতোই ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ করতে এসে একের পর এক রাজনৈতিক বিষয়ে মুখ খুললেন বিজেপি সাংসদ। জয়নগরে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা খুনের ঘটনা থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক রদবদল। সব নিয়েই মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ। আজ, মঙ্গলবার সকালে ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন।

এদিকে বীরভূম জেলা সভাপতির জায়গায় লেখা, কোর কমিটির কথা। বীরভূমের জেলা সভাপতি পদে কে?‌ সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। সুতরাং সব মিলিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। গরু ও কয়লা পাচার মামলায় অনুব্রত যুক্ত এই অভিযোগ তুলে তাঁকে তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে লোকসভা নির্বাচনের মুখে কেষ্টর নাম না রাখা নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তাহলে কি দূরত্ব বাড়াচ্ছে দল? এমন প্রশ্নও উঠছে। আর অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের এমন অবস্থান প্রসঙ্গে এদিন কার্যত বিস্ফোরক মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ।

ঠিক কী বলেছেন দিলীপ?‌ অনুব্রত মণ্ডলের সাংগঠনিক সাফল্য নিয়ে অনেকেই ঈর্ষা করেন। সেখানে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‌ওই একজনই তৃণমূল কংগ্রেসের সফল জেলা সভাপতি। বাকিরা যায় আসে। ওরাই ভোট করে। ওরাই সংগঠন করে। পার্থ, বালুর বিকল্প আছে।’‌ তাহলে কি অনুব্রতর বিকল্প নেই? দিলীপের স্পষ্ট জবাব, ‘‌উনি কয়লা, বালি, পাথর, গরু, চাকরি, সব জায়গায় লুঠ করেছেন। পার্টিকে সুবিধা দিয়েছে। তাই ওকে ঝেড়ে ফেলতে সময় লাগছে। বাকিরা দিদির নামে করে খেয়েছেন। অনুব্রত মণ্ডলের গুরুত্ব অনেক বেশি। তিনি দিদিকে বড় করেছেন।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌বিজেপিকে জেতান, রামমন্দির দর্শন করুন বিনামূল্যে’‌, নির্বাচনী প্রচারে প্রতিশ্রুতি অমিত শাহের

আর কী বলেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ?‌ ২০২২ সালের ১১ অগস্ট গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এখনও জেলবন্দি তিনি। জেল যাত্রার পরও তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতির পদে ছিলেন তিনি। তবে নামে। এরপর জেলার সংগঠনের দায়িত্ব সামলাতে বীরভূমে কোর কমিটি তৈরি করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটির সদস্য ৭। লোকসভা নির্বাচনের আগে সাংগঠনিক স্তরে ঘুটি সাজাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই নাম নেই কেষ্টর। আর জয়নগর কাণ্ড নিয়ে সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‌এই ধরনের হত্যাকাণ্ড ও ধংসলীলা আজ নয়। অনেকদিন ধরেই হচ্ছে। বগটুই, বীরভূমের একাধিক জায়গা। মূলত মুসলিম সমাজকে টার্গেট করা হচ্ছে। লড়াই হচ্ছে ওদের মধ্যে। আর সেটা নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। ওদের রাজনীতির বোরে হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের নেতা বানিয়ে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। তারা যা খুশি করে বেড়াচ্ছে। যারা সরকারি পার্টিতে আছে, তারা সংরক্ষণ পাচ্ছে। আর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এক জিনিস বগটুইতে হয়েছিল। সরকার কোথায়? মুখ্যমন্ত্রী কোথায়?’‌

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here