[ad_1]
ইস্টবেঙ্গল -৪
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ – ২
নৈহাটি: অবশেষে জিতল ইস্টবেঙ্গল। সোমবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ল লাল হলুদ।১৭ মিনিটে এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। তবে গোলটি লাল-হলুদের কেউ করেনি। ইস্টবেঙ্গল আক্রমণ তৈরি করেছিল। ফাঁকা গোলে শট নেওয়া হলেও, সেটা ক্লিয়ার করতে গিয়ে পুলিশের প্লেয়ার তপেন্দু ঘোষের পায়ে লেগে বল গোলে ঢুকে যায়। ২৩ মিনিটে ডি-বক্সের ভিতর লাল-হলুদের বুনান্দোকে ফাউল করে পুলিশের প্লেয়ার।
পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। পেনাল্টি শট নেন সার্থক গলুই। কিন্তু পুলিশের কিপার তনবীর পেনাল্টি বাঁচিয়ে দেন। ফিরতি বলে গোল করেন সার্থক। পেনাল্টি পায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। আর পেনাল্টি থেকে আত্মবিশ্বাসী গোল করেন সুব্রত বিশ্বাস। প্রথম ম্যাচে রেনবোর বিরুদ্ধে সঞ্জিব ঘোষ, নসিব রহমানরাও সমর্থকদের আস্থা অর্জনের মতো কিছুই করতে পারেননি। তবে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সোমবার ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ছিল ইস্টবেঙ্গল।
ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে রবিবার অনুশীলনের আগে সাজঘরে প্রায় আধঘণ্টা ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন কোচ বিনো জর্জ। এরপর ঘণ্টা দেড়েকের অনুশীলন। শুরুতে সামান্য হ্যান্ডবল খেলে বল পায়ে প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছিলেন কুশ ছেত্রী, তন্ময় দাসরা। সিচুয়েশন প্র্যাকটিসে মাটিতে বল রেখে পাস খেলার প্রশিক্ষণ চলেছিল প্রায় ৪৫ মিনিট।বিরতির ঠিক পরেই ম্যাচের ৪৭ মিনিটে ২-২ করে ফেলল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।
অনুপম দত্তের ফ্রি-কিক ক্রসবারে লেগে ফিরে এলে, ফিরতি বলে গোল করেন রাজীব। ৭০ মিনিটে দীপ সাহা পেনাল্টি থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি। ৩-২ করে ফেলল ইস্টবেঙ্গল। ৭৪ মিনিটে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ রক্ষণের ভুলে ৪-২ করে ফেলল লাল-হলুদ। অভিষেক কুঞ্জম সতর্ক ছিলেন এবং তিনি সেই বল ধরে জালে জড়ান!
সব মিলিয়ে ইস্টবেঙ্গল জিতলেও তাদের খেলায় এখনও উন্নতি প্রয়োজন মেনে নিয়েছেন কোচ বিনো জর্জ। বিশেষ করে প্রতিপক্ষ চাপ দিলে ডিফেন্স ভুল করছে। তবে প্রথম জয় এবং তিন পয়েন্ট দলের মনোবল বাড়াবে তাতে সন্দেহ নেই।
Tags: East Bengal