[ad_1]
আদালতে বিভ্রান্তিমূলক রিপোর্ট জমা দেওয়ায় মুর্শিদাবাদের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে অন্য চাকরিতে বদলির নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এক শিক্ষিকার বদলি সংক্রান্ত মামলায় এই নির্দেশ দেন বিচারপতি। সঙ্গে ৩ সপ্তাহের মধ্যে ওই শিক্ষিকাকে বাড়ির কাছের কোনও স্কুলে বদলির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মুর্শিদাবাদের একটি স্কুলের ওই শিক্ষিকা নদিয়ার বাসিন্দা। স্বামী প্রতিবন্ধী ও সন্তান অসুস্থ বলে জানিয়ে ২০২২ সালে বাড়ির কাছের স্কুলে বদলির আবেদন করেন তিনি। কিন্তু তাঁকে বদলি করতে অস্বীকার করেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক। সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শিক্ষিকা।
শিক্ষিকার আবেদনের প্রেক্ষিতে মুর্শিদাবাদের ডিআইয়ের কাছে ওই স্কুলে কতজন শিক্ষক রয়েছেন তা জানতে চান বিচারপতি। আদালতে রিপোর্ট জমা দেন DI. সেই রিপোর্টে দেখা যায় শিক্ষকের সঙ্গে পার্শ্বশিক্ষকের সংখ্যাও যোগ করেছেন তিনি। এই রিপোর্ট দেখে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। শিক্ষক ও পার্শ্বশিক্ষকের সংখ্যা একসঙ্গে লেখা যায় না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই ব্যক্তি জেলা স্কুল পরিদর্শকের পদে থাকার অযোগ্য। একে ২ সপ্তাহের মধ্যে অন্য কোনও দফতরে বদলি করা হোক। শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে নির্দেশ কার্যকর করার দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।
একই সঙ্গে ওই শিক্ষিকাকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে বাড়ির কাছের কোনও স্কুলে বদলি করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। ৫ ডিসেম্বর এব্যাপারে শিক্ষা দফতরকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই দিনই মামলার পরবর্তী শুনানি।