Home বিদেশ আনসার বাহিনীর হাতে ক্ষমতা গেলে বাংলাদেশের নির্বাচনে কি গন্ডগোল হতে পারে ?

আনসার বাহিনীর হাতে ক্ষমতা গেলে বাংলাদেশের নির্বাচনে কি গন্ডগোল হতে পারে ?

আনসার বাহিনীর হাতে ক্ষমতা গেলে বাংলাদেশের নির্বাচনে কি গন্ডগোল হতে পারে ?

[ad_1]

বাংলাদেশের নির্বাচনে আটকের ক্ষমতা পাবে আনসাররা। সত্যি কি তাই? তাহলে কি পুলিশ আর আনসার সমান সমান? গোটা বিশ্বে এমন বাহিনী দুটো নেই। বাংলাদেশের আনসার বাহিনী কি? দেশ রক্ষায় এদের ক্ষমতা ঠিক কতটুকু? এদের ক্ষমতা নিয়ে বাংলাদেশ জুড়ে এত বিরোধিতা কেন? তাহলে কি নির্বাচনের মাঝেই ঘটে যেতে পারে বড় গন্ডগোল? আশঙ্কা অনেকের।

বাংলাদেশে অপরাধীকে আটক করার ক্ষমতা যাবে আনসারদের হাতে‌। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না হতেই দেশ জুড়ে চরম উত্তেজনা। বিল সংসদে উঠতেই সমালোচনার ঝড়। সামনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি প্রয়োজন আনসারদের। মূলত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সাহায্য করার জন্যই আনসার। কিন্তু সেই আনসার যদি গ্রেফতার করার ক্ষমতা পায় তাহলে পুলিশ আর আনসারের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? প্রশ্ন বহু সমালোচকদের। অপরদিকে একাংশ মনে করছে, যে কোনো বড় দুর্যোগ পরিস্থিতিতে আনসারদের দরকার। বিশেষ করে নির্বাচনের সময় বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে পরিমাণ সদস্য প্রয়োজন পুলিশ বাহিনীতে কিন্তু নেই। তার মেকাপ দেবে এই আনসাররা।

কিন্তু এই আনসারদের কাজটা কি? বহুবার অভিযোগ উঠেছে, এদের কাজ বেশি অথচ বেতন ও সুযোগ কম। বাংলাদেশের পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলস হবে কাজ করে যান আনসার সদস্যরা। সাধারণ মানুষ আনসার বলতে বোঝেন সাধারণ আনসারদেরই। অথচ এদের হাতেই থাকে পুলিশের সঙ্গে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার গুরু দায়িত্ব। বাংলাদেশের বিমান বন্দর, সমুদ্র বন্দর, স্থলবন্দর সব জায়গাতেই এদের দেখা মেলে। বড় বড় উৎসব পার্বণ থেকে শুরু করে রেলপথ সড়কপথের নিরাপত্তায়ও আনসারদের গুরুত্ব কিন্তু কম নয়।

বিল পাস হলেই ব্যাটেলিয়ান আনসার পুলিশের মতই ক্ষমতা পাবেন। এই প্রথম নয়, ২০১৭ সালেও এই আইনের খসড়া প্রস্তাব করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, পুলিশের মতো তদন্তের ক্ষমতা পাবে আনসাররা। তখনো বিষয়টা গুরুত্ব পায়নি। বর্তমানে বাংলাদেশে আনসার এবং ভিডিপি-র মোট সদস্য সংখ্যা প্রায় ৬১ লক্ষ। যার মধ্যে অন্তত কুড়ি হাজার ব্যাটালিয়ান আনসারের সদস্য। বাংলাদেশের আইন বলছে, এই বাহিনী একটি সাহায্যকারী বাহিনী। এটি পৃথিবীর অন্যতম বড় অক্সিলারি ফোর্স। দেশটার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, ২০১৩ আর ২০১৪ সালে যখন অগ্নিসন্ত্রাসের মতো ঘটনা ঘটেছিল তখন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে আনসার বাহিনী। কিন্তু পুলিশের সমান্তরাল বাহিনী হিসেবে আনসারকে গঠন করার কোন প্ল্যানিং আপাতত বাংলাদেশ সরকারের নেই।

বাংলাদেশে মূলত আনসার এবং গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে তিন ধরনের সদস্য যুক্ত রয়েছে। ব্যাটালিয়ান আনসার, আনসার বাহিনী এবং গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। ১৯৯৫ সালের আইন দ্বারা পরিচালিত হয় ব্যাটেলিয়ান আনসার। নির্বাচনে আনসার বাহিনী কাজ করবে সহায়ক ফোর্স হিসেবে। অনেকেই মনে করছেন, আনসার আটকের ক্ষমতা পেলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি তৈরি হবে। কাজ করবে আতঙ্ক। আপাতত বিষয়টা রয়েছে আলোচনাস্তরে। আপনার কি মনে হয়? আনসাররা ক্ষমতা পেলে কি ক্ষমতার অপব্যবহার করবে? আরো গন্ডগোল বাড়বে নির্বাচনে? জানান আমাদের।

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here