Home আপডেট আবার নতুন বছরে আর্থিক বঞ্চনা কেন্দ্রের, স্বাস্থ্য মিশনে ১৩০০ কোটি দিল রাজ্য সরকার

আবার নতুন বছরে আর্থিক বঞ্চনা কেন্দ্রের, স্বাস্থ্য মিশনে ১৩০০ কোটি দিল রাজ্য সরকার

আবার নতুন বছরে আর্থিক বঞ্চনা কেন্দ্রের, স্বাস্থ্য মিশনে ১৩০০ কোটি দিল রাজ্য সরকার

[ad_1]

একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার বলে অভিযোগ। তার উপর চলছে মিথ্যা ভাষণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বলে অভিযোগ বাংলার মন্ত্রীদের। এই আবহে এবার অভিযোগ, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের প্রাপ্য কয়েক কোটি টাকা আটকে রেখেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই টাকা আটকে রাখার জেরে কোথাও বাল্ব কেটে গিয়েছে। নতুন করে লাগাতে হবে। চেয়ারের হাতল ভেঙেছে। কমোড ভেঙে পড়েছে। দ্রুত সেসব মেরামতি করতে হবে। কিন্তু টাকা কোথা থেকে মিলবে?‌ এই প্রশ্নই দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি নানা জেলা থেকে এমন অভিযোগ এসেছে নবান্নে। একইসঙ্গে জানা যাচ্ছে, রাজ্য সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করে সম্পূর্ণ নিজস্ব খরচে এই সমস্যাগুলির সুরাহা করছে ধীরে ধীরে। তাতে কিছুটা স্বস্তি মিলছে।

এদিকে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পে ৬০:৪০ অনুপাতে টাকা মিটিয়ে দেওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার পর্যাপ্ত টাকা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। নানা ফ্যাঁকড়া বের করে টাকা আটকে রাখার অভিযোগ তোলা হয়েছে রাজ্যের তরফে। এই অর্থবর্ষে রাজ্যে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১৬০০ কোটি টাকা। নবান্ন সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে ২৮০ কোটি এবং ১৩০০ কোটি টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। তার জেরে ১১ কোটি বাংলার মানুষ যাঁদের স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল সেটা আর হচ্ছে না।

অন্যদিকে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে আবার কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। ১৬০০ কোটি টাকার মধ্যে কেন্দ্র–রাজ্যের দেওয়ার কথা যথাক্রমে ৯৬০ এবং ৬৪০ কোটি টাকা। সেখানে নথিতে দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার তিনভাগের একভাগ টাকাও দেয়নি। আর রাজ্য সরকার তাদের নির্ধারিত অর্থের দ্বিগুণেরও বেশি টাকা খরচ করেছে। তার জেরে চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে সুবিধা থাকছে। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের টাকা আটকে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তি খারাপ করতে চেয়েছিল কেন্দ্র বলে অভিযোগ। তা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার যতটা সম্ভব টাকা দিয়েছে। যদিও এই যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।

আরও পড়ুন:‌ ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করা যাবে না, পথে নেমে কড়া পদক্ষেপ করল কলকাতা পুরসভা

এছাড়া রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ২০১১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৩ বছরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশংসা এনে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের একের পর এক উন্নয়নমূলক কাজ। সেখানে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান, ফ্রি মেডিসিন, অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিকু ও পিকু তৈরি, স্বাস্থ্য শিক্ষার উন্নতিতে একের পর মেডিক্যাল কলেজ গড়ে তোলা, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে মানুষের চিকিৎসা করানো–সহ অসংখ্য উদ্যোগ আছে তালিকায়। রাজ্য বাড়তি অর্থ বরাদ্দ করার ফলে চিকিৎসার নানা সরঞ্জাম কেনা সম্ভব হয়েছে। তবে আরও কিনতে হবে।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here