Home আপডেট আবাস যোজনা নতুন ফতোয়া জারি, শহরে প্রকল্পের অধীনে গৃহ নির্মাণ করতে মানতে হবে নির্দেশ

আবাস যোজনা নতুন ফতোয়া জারি, শহরে প্রকল্পের অধীনে গৃহ নির্মাণ করতে মানতে হবে নির্দেশ

আবাস যোজনা নতুন ফতোয়া জারি, শহরে প্রকল্পের অধীনে গৃহ নির্মাণ করতে মানতে হবে নির্দেশ

[ad_1]

একদিকে বলা হচ্ছে কেন্দ্রের ফতোয়া মানা হবে না। অপরদিকে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে নয়াদিল্লির ফরমান কার্যত মেনেই নিচ্ছে রাজ্য সরকার। যেমন গ্রামীণ এলাকায় সরকারি প্রকল্পে নির্মিত বাড়িতে ‘বাংলা আবাস যোজনা’ লেখা হয়েছিল। সেটা পাল্টে এখন লেখা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)। আবার, শহরাঞ্চলে সরকারি আবাস প্রকল্পে নির্মিত বাড়ির ফলকে লেখা হচ্ছিল, ‘হাউস ফর অল’। এখন সেখানে বদল আনা হয়েছে। ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (শহর)’ লেখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। এই খবর সামনে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। আসলে টাকা আটকে রেখে কেন্দ্র এসব করতে বাধ্য করাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে সামনে লোকসভা নির্বাচন। তা নিয়ে নানা নেতিবাচক প্রচার করা হচ্ছে বাংলার সরকারের বিরুদ্ধে। আবার ইডি–সিবিআই লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের। এই আবহে আবার শহরাঞ্চলে কেন্দ্রীয় আবাস প্রকল্প পরিদর্শনে আসতে পারে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। গ্রামীণ এলাকায় সেটা দেখা গিয়েছিল। তাই এসব বিতর্ক এড়াতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকী প্রকল্পের টাকা পেয়েও যে সমস্ত উপভোক্তারা বাড়ি করেননি, তাঁদেরকে নোটিশ দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

অন্যদিকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের ‘স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি’র (সুডার) অধিকর্তা সমস্ত পুরসভাকে চিঠি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (শহর) প্রকল্পে নির্মিত বাড়ির দেওয়ালে ‘লোগো’ লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তার জেরে ইতিমধ্যেই বর্ধমান, কাটোয়া, কালনা, মেমারি, গুসকরা এবং দাঁইহাট পুরসভা এলাকায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পে নির্মিত বাড়ির দেওয়ালে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (শহর)’ লেখা হয়েছে। বাড়ি তৈরির খরচ পর্যন্ত লিখতে হবে বলে জারি হয়েছে নির্দেশ। সেখানে বাড়ি নির্মাণে কেন্দ্র, রাজ্য সরকার এবং উপভোক্তার দেওয়া টাকার অঙ্ক লিখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে অবশ্যই লিখতে হবে কোন বছরে বাড়ি তৈরির অনুমোদন মিলেছে। প্রকল্পের টাকা আটকে দিতে কেন্দ্রীয় সরকার ছক করতে পারে। তাই এমন উদ্যোগ।

আরও পড়ুন:‌ জোট জটিলতা কাটাতে এগিয়ে আসতে হবে সোনিয়াকে, বার্তা দিল তৃণমূল নেতৃত্ব

এছাড়া দেখা গিয়েছে, গ্রামবাংলায় টাকা নরেন্দ্র মোদী সরকার আটকে রাখার জন্য বাড়ি গড়ে ওঠেনি। সেটা শহরে হোক চায় না রাজ্য সরকার। তাই ২০২০–২১ অর্থবর্ষে অনুমোদিত বাড়িগুলির জন্য এই নির্দেশ পালন করা বাধ্যতামূলক বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। গ্রামে বাড়ি তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে। আর শহরে গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কেন্দ্রের এই শর্ত মেনে নিয়ে যখন কাজ শুরু হয়েছে তখন বিরোধীরা নতুন অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে। বিরোধীরা অভিযোগ তুলছে, শাসকদল নিজেদের পছন্দের লোকজনকে বাড়ি পাইয়ে দিয়েছে। এই বিষয়ে দাঁইহাটের পুরপ্রধান প্রদীপ রায়, মেমারির উপ–পুরপ্রধান সুপ্রিয় সামন্তরা বলেছেন, ‘‌আগের দেওয়াল মুছে এখনের নির্দেশ মেনে লেখার কাজ শুরু হয়েছে।’‌

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here