Home আপডেট আবেদন করেও মেলেনি প্রকল্পের সুবিধা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পেতে অপেক্ষায় লক্ষ্মীরা

আবেদন করেও মেলেনি প্রকল্পের সুবিধা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পেতে অপেক্ষায় লক্ষ্মীরা

আবেদন করেও মেলেনি প্রকল্পের সুবিধা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পেতে অপেক্ষায় লক্ষ্মীরা

[ad_1]

‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প চালু করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। এই প্রকল্প অনেকে নকলও করেছেন। আবার এই প্রকল্পই হয়ে উঠেছিল একুশের নির্বাচনের টার্নিং পয়েন্ট। বিরোধীরা এই প্রকল্পের কটাক্ষ করলেও সাফল্য এসেছে এটা অস্বীকার করেন না। তাই এখন বাংলার মহিলারা এই প্রকল্প পেতে দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে ফর্ম পূরণ করছেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে এক মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে গিয়ে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তিন মাস কেটে গেলে টাকা পাননি বলে অভিযোগ। কবে মিলবে টাকা?‌ এই প্রশ্নের উত্তর জানতে কয়েকদিন আগে মেদিনীপুরে কালেক্টরেট অফিসে এসেছিলেন ওই মহিলা। সেখানে গিয়ে বলেন, ‘একা থাকি স্যার। টাকাটা পেলে খুব উপকার হতো।’ ওখানের এক অফিসার তাঁকে আশ্বাস দেন, ‘বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখা হবে।’

এদিকে কালের গতিতে দিন কেটে চলেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, এমন আরও বেশ কয়েকজন মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে এবং গত ডিসেম্বর মাসের শিবিরে যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের কেউই এখনও ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের টাকা পাননি বলে সূত্রের খবর। শুধু ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের শিবিরে এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন করেছেন জেলার প্রায় ১০ হাজার মহিলা। কিন্তু এই মহিলারা টাকা পাননি বলেই অভিযোগ। যদিও প্রশাসন সূত্রে খবর, কাগজ খতিয়ে দেখা এবং তারপর সেটা প্রস্তুত করতে একটু সময় তো লাগেই। এই মহিলারা কেউ বঞ্চিত হবে না। কাগজপত্র ঠিক থাকলে প্রকল্পের টাকা পাবেনই।

অন্যদিকে আগে এত সময় লাগত না। এখন লাগছে কেন?‌ এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এখন তো বেশিরভাগ মহিলাই প্রত্যেক মাসের শুরুতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পেয়ে যান। নতুন আবেদনে কেন দেরি হচ্ছে? প্রশাসনের এক অফিসার জানান, নথি ঠিক আছে কিনা দেখতে একটা সময় লাগেই। আগেও তা লেগেছে। কিন্তু সরকারি কর্মীদের একাংশ ডিএ বা মহার্ঘভাতার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই সরকারের সামাজিক প্রকল্প সঠিক সময়ে মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে না। এটা একরকম চক্রান্ত।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌তাঁর মানসিক অশান্তি হওয়া স্বাভাবিক’‌, রাজ্যপালকে তীব্র কটাক্ষ করলেন কুণাল

এছাড়া এখন পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রায় ১০ লক্ষ মহিলা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। নতুন করে জেলার আরও ১,১২,১৪৩ জন মহিলা প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। তাই এই প্রকল্পের উপভোক্তা সংখ্যা এই জেলায় বেড়ে হয় ৯,৮৯,০০৫ জন। এই প্রকল্পে সাধারণ পরিবারের মেয়েরা মাসে ৫০০ টাকা এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণিভুক্তরা পান মাসে এক হাজার টাকা। এই না পাওয়া মহিলার সংখ্যা নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করতে শুরু করেছে। জবাবে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক প্রদ্যোত ঘোষ বলেন, ‘জেলার প্রায় দশ লক্ষ মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন। আবেদন খতিয়ে দেখতে সময় লাগে। যাঁরা আবেদন করেছেন নিশ্চিতভাবে তাঁরা প্রকল্পের টাকা পাবেন।’‌

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here