Home বিদেশ আরবের তেলে মোদীর ছক্কা! রাশিয়া যা দিতে পারেনি দিল্লিকে দিল আমিরাত

আরবের তেলে মোদীর ছক্কা! রাশিয়া যা দিতে পারেনি দিল্লিকে দিল আমিরাত

আরবের তেলে মোদীর ছক্কা! রাশিয়া যা দিতে পারেনি দিল্লিকে দিল আমিরাত

[ad_1]

মোদীর মাস্টারস্ট্রোক জ্বালানি তেল নিয়ে। রাশিয়ার বিকল্প হল আরব। পাকিস্তানের মতো পুতিনের কড়া নজর ছিল মোদীর আরব যাত্রায়। আরব-ভারতের ব্যবসার স্পিড দেখে হতবাক চীন-যুক্তরাষ্ট্র। কীভাবে সম্ভব হল তেল নিয়েই নয়া গেম ভারতের জেনে নিন। রাশিয়া ভারতের সঙ্গে আর একটাও চালাকি করলে। মুখ থুবড়ে পড়তে পারে মস্কোর বিজনেস। দিল্লি মস্কো থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে না ঠিকই কিন্তু আরবের সঙ্গে মোদীর নয়া ডিল কিছুটা হলেই অস্বস্তি বাড়াল পুতিনের।

৮ বছরে পঞ্চমবার আরব আমিরাতের সফরে নরেন্দ্র মোদী৷ কেন বারবার আরবে যান প্রধানমন্ত্রী? জ্বালানি তেল নিয়ে আন্তঃসীমান্ত লেনদেনের জন্য ভারতীয় টাকা (INR) এবং UAE দিরহাম (AED) ব্যবহার হবে এমনই ডিল ফাইনাল করে এলেন প্রধানমন্ত্রী নমো। খবরটা অনেকেই জানেন কিন্তু এর ফায়দা জানেন কি? ঠিক এটাই অর্থাত পেট্রোরূপি। রাশিয়ার কাছ থেকে পাওয়ার আশা করেছিল ভারত। এর মানে যে তেল রাশিয়ার থেকে কিনবে ভারত তা হল রূপি দিয়ে লেনদেন। আর অবশিষ্ট রূপি মস্কো যাতে ভারতের ওপরই বিনিয়োগ করে। বিশেষজ্ঞদের দাবি মস্কো চেষ্টা করেছিল কিন্তু করতে পারেনি। এই চুক্তি আরব ও ভারত দুদেশের মুদ্রার ব্যবহারকে আরও উৎসাহিত করবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বিনিয়োগ টানতে সক্ষম হবে।

আরবে গিয়ে মোদী সেই ম্যাজিকটাই দেখিয়ে দিলেন৷ যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের পরে ২০২১-২২ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। গত অর্থ বছরে (২০২২-২৩) ইউএই ভারতে অপরিশোধিত তেল সরবরাহকারী তৃতীয় বৃহত্তম দেশ ছিল। ভারতের তেল আমদানিতে এর ১০ শতাংশ শেয়ার ছিল। ভারতে সঙ্গে এত বড় ডিল করে আরব কতটা ফায়দা তুলবে জানেন? ভারত জানত আরবের দুর্বলতা ঠিক কী? ভারত এখন ২০৩০ সালের মধ্যে ইউএই থেকে তেলের বাইরে অন্যান্য ব্যবসা ১০০ বিলিয়ন ডলারে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১০০ বিলিয়ন ডলারের ডিল মোদী দিয়ে এসেছেন আরবকে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন আসলেভারত এবং আরব আমিরাত সম্পর্কে তিনটে ই হল এনার্জি, ইকোনমি, এক্সপ্যাট্রিয়েট অর্থাৎ জ্বালানি। আরব আমিরাত চায় তেলভিত্তিক অর্থনীতির ওপর নির্ভরতা কমাতে। সে কারণেই দেশটি বিশ্বজুড়ে নতুন বিনিয়োগের জায়গা খুঁজছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত তার ‘সার্কুলার ইকোনমিক পলিসি’ নিয়ে কাজ করছে। ২০৩১ সালের মধ্যে দেশটি তাদের উৎপাদন খাত দ্বিগুণ করতে চায়। এ জন্য তারা ২.৭ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে।

ভারত ঝোপ বুঝে কোপটা মারল ব্যবসার জন্য আরব এখন ভারতকে একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসাবে দেখছে। তারা ভারতে বিনিয়োগ করতে চায় এবং এই খাতগুলোয় ভারতের দক্ষতার সুবিধা নিতে চায়। কারণ ইউএই এখন পশ্চিমের ব্যয়বহুল বিশেষজ্ঞদের তুলনায় ভারতের পেশাদার এবং প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের গুরুত্ব দিচ্ছে অনেকটাই বেশি। এই টাকা পয়সার লাভ লোকসান ছাড়াও চরমপন্থার বিরুদ্ধে ভারতের যেভাবে সোচ্চার আরব আমিরাত তাতে ফুল সাপোর্ট করে। আরবের কাছে চরমপন্থার কোনও ভাল বা খারাপ হয় না তাই ভারতের সঙ্গে প্রায় অনেকগুলো দিক থেকে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হচ্ছে ভারতের। অবশ্য ভারতের এমন কূটনৈতিক বাড়বাড়ন্ত কাঁটার মতো বিঁধছে পাকিস্তানকে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here