আর ধর্ষিতা হবে না :-- ওরা তুলে নিয়ে গেলো তাকে -- নগ্ন লজ্জা ছিঁড়ে খেলো শকুনের দল , আঁচড়ে ,কামড়ে বিবস্ত্র নারী --- ছুঁড়ে দিয়ে গেলো তাকে আবরন হীন শরীর জুড়ে -দানবের যত ক্ষত , ঐ গাছ থেকে দুটো পাতা ঝড়ে পরে , যেনো লজ্জা ঢাকতে চায় -- রক্তের স্রোতে আজ ধরিত্রী অবনত । এমন কি পেলি আমায় বল ? ওরে দানবের দল -আঁচড়ে ,কামড়ে, ছিঁড়ে খেয়ে পেট কি ভরেছে বল ? নাকি আরও.... ক্ষুধা আরও রয়ে গেলো বাকি , আরও কিছু পেলে আরও চুষে- ডলে - পিষে মেরে ফেল । শকুনের ক্ষিদে কখন মেটে না জানবি -----, তবুও তো তোরা নারীরই গর্ভজাত ---_ একটি নারীকে ছিঁড়ে খেতে গেলে -- বুঝিস নিজের মাকে নগ্ন করলি কত ? আমিও তো এক মা -নিজেও একটি নারী , শকুনের বেশে দানবের রূপ জন্ম দিতে কি পারি ? ধর্ষিতা নারী যে কান্না কাঁদে শুনেছিস কখনো কি ? ওরে দানবের দল ওই কান্নায় প্লাবন এলে বাঁচবি কি করে বল ? ওরে বিবস্ত্র নারী লজ্জা সে তো শরীরের --- উঠে দাঁড়া তুই ঝেড়ে ফেল যতো কালো , প্রসবের কালে সন্তান দেখে যেই পথ দিয়ে এই পৃথিবীর আলো -- সেই পথে তুই ধর্ষিতা আজ নারী --- তুই একা নোষ ধর্ষিতা গোটা নারী সমাজ , মায়ের জঠরে জ্বলছে আগুণ দহন জ্বালা , এমন দস্যু দানব রাখব না মোরা পৃথিবীর এই বুকে একটিও কালো থাকবে না সাদা নির্মল সুখে । মা হয়ে নিজেই জ্বালাবো আগুণ ওই দানবের মুখে --- ভস্ম চিতার যত ছাই উড়িয়ে দেবো অশ্রু স্নিগ্ধ চোখে , তবেই কোনো নারীর জঠরে দানবের ঔরস যাবে না -- কোনো নারী -কোনো মা আর ধর্ষিতা হবে না ॥ বৈশাখী চট্টোপাধ্যায় - ২৪শে মার্চ ২০১৭