Home আপডেট আলিপুরের হস্টেলে আত্মঘাতী খড়্গপুরের পড়ুয়া, ছাত্রীর সুইসাইড নোটে বিস্ফোরক তথ্য

আলিপুরের হস্টেলে আত্মঘাতী খড়্গপুরের পড়ুয়া, ছাত্রীর সুইসাইড নোটে বিস্ফোরক তথ্য

আলিপুরের হস্টেলে আত্মঘাতী খড়্গপুরের পড়ুয়া, ছাত্রীর সুইসাইড নোটে বিস্ফোরক তথ্য

[ad_1]

কবিতা লিখতেই তার ভাল লাগত। কিন্তু মেয়ে ইঞ্জিনিয়ার হোক এটাই চেয়েছিল বাবা– মা। যাতে রাজি ছিলেন না মেয়ে। যদিও তাঁর কথা কেউ শোনেনি। তাই বাবা–মায়ের জেদের কাছে হার মানতে হয়েছিল মেয়েটিকে। তবে সেটা বাস্তবায়িত হয়নি। বরং মর্মান্তিক পরিণতির সাক্ষী থাকতে হল সকলকে। বিষয়কে ভালবাসতে না পেরে তাঁর মধ্যে চলছিল মানসিক টানাপোড়েন। আর তার জেরেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন মেয়েটি। অভিভাবকদের ইচ্ছা পূরণ করতে না পেরে জীবন দিয়ে মাশুল দিলেন পড়ুয়া। যোধপুর পার্কের ওম্যান পলিটেকনিক কলেজের প্রথম বর্ষের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর মৃত্যু আলোড়ন ফেলে দিয়েছে।

এদিকে আলিপুর থানার হেস্টিংস হাউসের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শিউরে উঠল সকলে। হস্টেলের ৩৫ নম্বর রুম থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী অনিন্দিতা লাহাকে। ১৮ বছর বয়সের এই ছাত্রী পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা। আলিপুরের জাজেস কোর্ট রোডের ওম্যান ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেলে থাকতেন। পুলিশ সূত্রে খবর, সকালে রুমের মধ্যে উদ্ধার হয় অনিন্দিতার দেহ। হস্টেলের রুম থেকে একটি সুইসাইড নোট মিলেছে। দেহটি উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানেই চিকিৎসকরা ওই ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন:‌ রামেশ্বরম কাফে বিস্ফোরণে অভিযুক্ত দুই জঙ্গি বেঙ্গালুরু আনা হয়েছে, পেশ আদালতে

অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, খড়্গপুর লোকাল থানা এলাকার বাসিন্দা অনিন্দিতা কলকাতার যোধপুর পার্কের পলিটেকনিক কলেজে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছিলেন। কিন্তু এই বিষয় নিয়ে পড়াশোনায় তাঁর ভালবাসা তৈরি হচ্ছিল না। তাই মানসিক হতাশা গ্রাস করেছিল। জোর করে তাঁকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে বাধ্য করা নিয়ে বাবা–মায়ের সঙ্গে তাঁর বিবাদও চলছিল। কিন্তু তার পরিণতি যে এমন মর্মান্তিক হবে সেটা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অনিন্দিতার পরিবারের সদস্যরা। সুইসাইড নোটে লেখা আছে, ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ায় তাঁর রুচি ছিল না। রুচি ছিল সাহিত্যে। কবিতা লেখায়। সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী ছিলেন। ইঞ্জিনিয়ারিং নয়।

এছাড়া সুইসাইড নোটে অনিন্দিতা আরও লিখেছে, ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার ইচ্ছে আর নেই। পরিবারের যে চাপ সেটা মেনে নেওয়ার মতো মানসিক অবস্থাও নেই। তাই চললাম। ওই হস্টেলের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ একটি খাতা উদ্ধার করেছে। সেখানে অনিন্দিতা নিজের হাতে লিখে গিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া নিয়ে তাঁর অভিমান ও হতাশার কথা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ কোনও অসঙ্গতি পায়নি। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। অনিন্দিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। বন্ধুদের সঙ্গেও কথা বলে তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। কথা বলা হচ্ছে অনিন্দিতার অধ্যাপকদের সঙ্গেও। সবদিক খোলা রেখে তদন্ত চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here