Home বিদেশ ইজরায়েল-আমেরিকার বড় অশান্তি ফাঁস! গাজায় আসলে কোন গুপ্তধন লুকিয়ে আছে ?

ইজরায়েল-আমেরিকার বড় অশান্তি ফাঁস! গাজায় আসলে কোন গুপ্তধন লুকিয়ে আছে ?

ইজরায়েল-আমেরিকার বড় অশান্তি ফাঁস! গাজায় আসলে কোন গুপ্তধন লুকিয়ে আছে ?

[ad_1]

গাজার প্রাণকেন্দ্রে দাঁড়িয়ে ইজরায়েল দেখালো ভয়ঙ্কর রূপ। গাজা ভুখন্ডে এমন কী আছে? কেন গাজাকে পুর্নদখল করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন নেতানইয়াহু? যুক্তরাষ্ট্র কড়া ওয়ার্নিং দিল ইজরায়েলকে। নেতানইয়াহু না থামলে অ্যাকশন হবে অন্য পথে। এক টুকরো ভুখন্ডে তাণ্ডব চলছে ২৪ ঘন্টা। তবে এবার যা হল তা আরও ভয়ানক ইজরায়েল যা করছে তাতে নরক আর গাজার মধ্যে পার্থক্য কম। গাজা হাতিয়ে নিতে পারলে কি লাভ ইজরায়েলের? আমেরিকা কেন হঠাত বিরুদ্ধে চলে গেল নেতানইয়াহুর? ইসরায়েলে হামাসের হামলার এক মাস পূর্তির দিনে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত বলেছেন তাদের সৈন্যরা এখন গাজা শহরের প্রাণকেন্দ্রে এবার ঘটে যেতে পারে এমন কিছু তা ভাবতেও ভয় লাগছে অনেকের।

অনেকেই বলছেন ইজরায়েলকে সিড়ি দিয়ে ওপরে তো যুক্তরাষ্ট্রই উঠিয়েছে। এখন তারাই আবার বিশ্বের সামনে সাধু সাজার চেষ্টা করছে। জো বাইডেন হুঙ্কার দিয়ে বলে দিয়েছেন ইজরায়েল এই একটা কাজ করলে এর ফল একেবারেই ভালো হবে না। সত্যি কি অসলো চুক্তির উলঙ্ঘন করে ইজরায়েলের টার্গেট গাজা দখল করা নাকি অন্য কিছু? ৪১ কিলোমিটারের এক চিলতে গাজায় এমন কি আছে যা এখন আবার দখল করতে উঠেপড়ে লাগতে হয়েছে নেতানইয়াহুকে বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এবং দরিদ্র একটি অঞ্চল গাজা। একে আন্তর্জাতিক মহলে বলা হয় উন্মুক্ত কারাগার। নেতানিয়াহু সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেছিলেন গাজায় তাদেরই শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়া উচিত। যারা এই দেশের শাসন হামাসের পথে চালিত করবে না। সেই সঙ্গে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী এ-ও বলেন যে, তার মনে হয় ইজরায়েলই একমাত্র পারবে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সেখানকার সামগ্রিক নিরাপত্তার দায়-দায়িত্ব নিতে।

আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন আসলে গাজা হল ভোগ দখলের একটা ভূখন্ড। চার হাজার বছরের অবরোধ এবং ভোগ দখলের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধে ইজরায়েল দখল করেছিল গাজা উপত্যকা। ২০০৫ সালে ইজরায়েল তা প্রত্যাহার করে নেয়। তবে পরে ওই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হামাসের হাতে চলে আসার পরে সেখানে অবরোধ জারি করে তারা। ১৯৯২ সালে, তৎকালীন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিন এক মার্কিন প্রতিনিধিকে বলেছিলেন আমি চাই গাজা সমুদ্রে ডুবে যাক, কিন্তু তা হবে না, তাই আমাদের একটি সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। গাজা উপত্যকা ৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১০ কিলোমিটার প্রশস্ত একটি অঞ্চল যা ইসরায়েল, মিশর এবং ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থিত। এখানে প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বসবাস করে যা বিশ্বের সর্বোচ্চ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মধ্যে একটি।

আমেরিকা এই প্রথম ইজরায়েলকে সতর্ক করছে
কার্যত একে আপনি ওয়ার্নিংও বলতে পারেন। জো বাইডেন বলছেন গাজা ইজরায়েল পুনর্দখল করলে তা কোনওদিনই ভালো হবে না তাদের জন্য। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি ইজরায়েল গাজাকে
এজন্যই পুনর্দখল করতে চাইছে যাতে পুরোপুরি হামাসকে শেষ করে দেওয়া যায়। সেইসঙ্গে আগের ক্ষমতা ফিরে পেতে চায় ইজরায়েল। হোয়াইট হাউজ ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কার্বি বলছেন সেক্রেটারি (অ্যান্টনি) ব্লিঙ্কেন ওই অঞ্চলে যে আলাপ-আলোচনা করেছেন তার মধ্যে অন্যতম হল যুদ্ধের পরে গাজার অবস্থা কেমন থাকবে। আর ওই সময় গাজার শাসনব্যবস্থাই বা কেমন থাকবে? এবার সত্যিই দেখার ইজরায়েলকে গাজা পুনর্দখল করার থেকে কেউ বা কারা আটকাতে পারে কিনা!

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here