Home আপডেট ইডি অফিসে থেকে টাকা তছরুপ করে চলে গেল কর্মী, পুলিশের দ্বারস্থ হলেন শীর্ষকর্তা

ইডি অফিসে থেকে টাকা তছরুপ করে চলে গেল কর্মী, পুলিশের দ্বারস্থ হলেন শীর্ষকর্তা

ইডি অফিসে থেকে টাকা তছরুপ করে চলে গেল কর্মী, পুলিশের দ্বারস্থ হলেন শীর্ষকর্তা

[ad_1]

ইডির এক শীর্ষকর্তা তাঁদেরই এক কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ঢিঢি পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। কারণ টাকা পাচার, অর্থ তছরুপ, বেআইনি লেনদেন নিয়ে তদন্ত করা যাদের কাজ, সেই ইডিরই এক কর্মীর বিরুদ্ধে জালিয়াতি করে টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠল। তার জন্য থানায় দৌড়াতে হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের শীর্ষকর্তাকে। ওই কর্মী ইডির অফিসে কিছুদিন আগে ডেপুটেশনে এসেছিলেন। তারপর ওই কর্মী ভুয়ো কাগজপত্র গুঁজে দিয়ে দেদার টাকা তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। ইডি অফিসেই সবার চোখে ধুলো দিয়ে এই কাজ করার জেরে এখন অফিসাররা দৌড়াচ্ছেন। শিক্ষা থেকে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি এবং গরু–কয়লা পাচার বা রেশন কেলেঙ্কারিতে কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির মামলায় তদন্ত করছে ইডি।

এদিকে বেশ ফাঁপরে পড়েছেন ইডি অফিসাররা। কারণ ভিতরে লোক না থাকলে এই জালিয়াতি করা সম্ভব নয়। এমনটাই মনে করছেন অনেকে। তাই তাদের কর্মীর বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক জালিয়াতির জন্য তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সি রাজ্য পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে। এই ঘটনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। যারা নিজেরাই তদন্ত করতে পারে তারা পুলিশের কাছে কেন এল?‌ উঠছে প্রশ্ন। ইডি সূত্রে খবর, জানুয়ারি মাসের গোড়ায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে কর্মরত ইডির অতিরিক্ত অধিকর্তা চন্দ্রমনীষী কুমার বিধাননগর উত্তর থানায় এফআইআর করেছেন। তাঁর অভিযোগ, সশস্ত্র সীমা বল থেকে ডেপুটেশনে ইডি দফতরে সিপাইয়ের কাজে যোগ দেন সুকুমার কামিল্যা নামে এক ব্যক্তি।

অন্যদিকে অভিযোগে লেখা হয়েছে, এই সুকুমার কামিল্যা নিজের স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ হিসাবে ভুয়ো মেডিক্যাল বিল জমা করেন। আর তা দেখিয়ে সিপাই সুকুমার রিইম্বার্সমেন্ট বাবদ দফতর থেকে প্রায় ৭ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা জালিয়াতি করে নিয়ে চলে গিয়েছেন। এই বিষয়টি এখন নজরে পড়েছে ইডি অফিসারদের। তারপরেই তাঁরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আহলে কি সরষের মধ্যে ভূত?‌ এই ধরনের আর্থিক জালিয়াতির ক্ষেত্রে ইডিকে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানাতেই হয়। পুলিশ যাতে মামলা দায়ের করে তদন্ত করে সেটার অনুরোধ করা হয়েছে। সিপাই সুকুমারের স্ত্রী অসুস্থ হয়ে মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর চিকিৎসায় আড়াই লাখ টাকা খরচ হয়েছিল। কিন্তু সুকুমার ভুয়ো নথি সুকৌশলে গুঁজে দিয়ে অফিস থেকে রিইম্বার্সমেন্ট বাবদ প্রায় ৭ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা তুলে নিয়েছেন। এটাই লেখা আছে অভিযোগে।

আরও পড়ুন:‌ তৃতীয়বারও পুত্রসন্তান হওয়ায় হতাশা, কন্যাসন্তান না মেলায় সদ্যজাতকে খুন করল বাবা মধ্যপ্রদেশে

পুলিশের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে তদন্তে নামতেই সেটা চাউর হয়ে যায়। এখন বিষয়টি নিয়ে অনেকে মজা করছেন। কেউ বলছেন, একেই বলে চোরের উপর বাটপারি। কেউ বলছেন সরষের মধ্যেই ভূত। তবে ইডি অফিসাররা সবটা হজম করছেন। কারণ তাঁদের চোখের উপর দিয়েই এমন ঘটনা ঘটে গিয়েছে। দায় অস্বীকার করতে পারবেন না কেউ। এই যদি হাল হয় তাহলে দুর্নীতির তদন্ত কেমন করে হবে?‌ উঠছে প্রশ্ন। ইডি তদন্তে নেমে হাসপাতাল থেকে সব তথ্য জোগাড় করেছে। তারপরই চোখ কপালে উঠেছে। আর সুকুমার কামিল্যা এখন এসএসবি’‌র হেড কনস্টেবল হিসাবে বারাসতের আমডাঙায় কর্মরত। সদ্য সন্দেশখালিতে গিয়ে ইডি অফিসাররা মারধর খেয়েছেন। সেখানেও এক অফিসারের বিরুদ্ধে সিবিআই এফআইআর করেছেন বলে খবর।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here