Home আপডেট ইতিহাস বদলাতে পারবেন না, চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর, মমতা বললেন, কে মানল না আসে যায় না

ইতিহাস বদলাতে পারবেন না, চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর, মমতা বললেন, কে মানল না আসে যায় না

ইতিহাস বদলাতে পারবেন না, চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর, মমতা বললেন, কে মানল না আসে যায় না

[ad_1]

‘বাংলা দিবস’ পালনের প্রস্তাব পেশ হতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজ্য বিধানসভা। এদিন একযোগে ১ বৈশাখ ‘বাংলা দিবস’ পালনের বিরোধিতায় সরব হল বিজেপি ও ISF. বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বক্তব্য রাখার সময় বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিধানসভা। শুভেন্দুকে ‘হরিদাস পাল’ বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল বিধায়করা। পালটা শুভেন্দুবাবু বললেন, ‘ইতিহাস আপনারা বদলাতে পারবেন না।’

এদিন বক্তাদের মধ্যে প্রথমে ছিলেন বিজেপি সাংসদ শংকর ঘোষ। এর পর একে একে বক্তব্য রাখেন ISF বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি, বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শেষে জবাবি ভাষণ দেন মমতা।

এদিন শংকর ঘোষ বলেন, শ্যামাপ্রসাদ পশ্চিমবঙ্গকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত না করলে হিন্দু বাঙালিকে অন্য কোথাও চলে যেতে হত। তখন তৃণমূল কোথায় রাজনীতি করত? ISF বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি ১ বৈশাখের বদলে অন্য কোনও দিন বাংলা দিবস পালনের পক্ষে মত দেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলতে শুরু করলে বিধানসভায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় শুভেন্দুবাবুকে নানা কটাক্ষ করতে থাকেন সরকারপক্ষের বিধায়করা। জবাব দেন শুভেন্দুবাবুও। বাংলা দিবস পালন নিয়ে বলতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বারবার ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করেছেন। কখনও বলেছেন রাকেশ রোশন, ইন্দিরা গান্ধী চাঁদে গেছে। কখনও বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ১৯৪৭ সালে গান্ধীজিকে ফলের রস খাইয়ে অনশন ভেঙেছিলেন। কখনও বলেছেন, ডহরবাবু কোথায়? এখন উনি পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করছেন। ২০ জুন দিনটাকে মেনে নিতে সমস্যা কোথায়? ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করে উনি আগেও সফল হননি এবারেও সফল হবেন না’। শুভেন্দুবাবু আরও বলেন, ‘আমরা কিছুক্ষণ পর রাজভবনে যাব। সেখানে রাজ্যপালকে এই বিলে সই করতে নিষেধ করব।’

জবাবি ভাষণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসাবে একটি দিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করেই। তাই আমরাও আমাদের মতো করে একটা দিন নির্ধারণ করেছি। আমরা চাই না, এই দিনটার সঙ্গে কোনও হানাহানির ইতিহাস থাক। তাই ১ বৈশাখ বাংলা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কে মানল, কে মানল না তাতে কিছু যায় আসে না। আমরা দিনটা পালন করব। অনেক রাজ্যের রাজ্য সংগীত আছে। আমরা বাংলার মাটি, বাংলার জলকে রাজ্য সংগীত হিসাবে গ্রহণ করব।’

এর পর প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি করান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে ১৬৭ – ৬২ ভোটে প্রস্তাব গৃহীত হয়। এর পর স্লোগান দিতে দিতে বিধানসভা কক্ষ ছাড়ে বিজেপি।

 

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here