Home আপডেট উচ্চমাধ্যমিকের টেস্টে পাশ করেননি, ফর্ম-ফিলআপের টাকায় বিরিয়ানি আত্মঘাতী ছাত্রী

উচ্চমাধ্যমিকের টেস্টে পাশ করেননি, ফর্ম-ফিলআপের টাকায় বিরিয়ানি আত্মঘাতী ছাত্রী

উচ্চমাধ্যমিকের টেস্টে পাশ করেননি, ফর্ম-ফিলআপের টাকায় বিরিয়ানি আত্মঘাতী ছাত্রী

[ad_1]

উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি ছাত্রী। বাড়িতে জানিয়েছিল পাশ করেছে। তাই নিয়ে মানসিক চাপে আত্মঘাতী হল ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা গড়িয়ায়। মৃত ছাত্রীর নাম স্নেহা মুন্ডা। গড়িয়ার ফ্ল্যাট থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ওই পড়ুয়া যাদবপুর বিদ্যাপীঠের ছাত্রী।

আরও পড়ুন: বাতিল মাধ্যমিক, বাবার সব ইচ্ছা পূরণ হল না! অবসাদে আত্মঘাতী পরীক্ষার্থী

জানা গিয়েছে, স্নেহার মা রেলে কাজ করেন। তার বাবা আগেই মারা গিয়েছেন। সে মা ও দুই বোনের সঙ্গে থাকত। তার স্কুলে টেস্টের ফল প্রকাশ হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার। তাতে তিনি জানতে পারেন যে পাশ করতে পারেননি। কিন্তু, ভয়ে মাকে সেই কথা জানাতে পারেননি স্নেহা। তাই মাকে মিথ্যা কথা বলেছিলেন। তবে মা  রেজাল্টের ছবি তুলে আনতে বলেছিলেন। 

কিন্তু, স্কুলে পড়ুয়াদের মোবাইল নিষিদ্ধ হওয়ায় আর সেই ছবি তোলা যায়নি। এদিকে, টেস্ট পরীক্ষার পরেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য ফর্ম-ফিলআপ শুরু হয় স্কুলে। তাই পরীক্ষার ফর্ম-ফিলআপ করার কথা জানিয়ে মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন স্নেহা। আর সেই টাকায় ফর্ম-ফিলআপ না করে বিরিয়ানি কিনে আনেন স্নেহা। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, স্নেহা বিরিয়ানি খেতে ভালোবাসতেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, স্নেহার মা এদিন কাজে চলে যাওযার পর বাড়ি ফাঁকা ছিল। মাকে ফোনও করেছিলেন। কাজ সেরে মা বাড়িতে ঢোকার সময় দেখেন ফ্ল্যাটের দরজা খোলা। এরপর ঘরে ঢুকেই তিনি মেয়ের দেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার করতে শুরু করেন। খরব পেয়ে সেখানে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়। 

স্নেহাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঝন্টু বিশ্বাস নামে স্নেহার এক আত্মীয় জানান, ‘ও খুব ভালো মেয়ে ছিল। টেস্টে ও পাশ করেনি, তা আমরা জানতাম না। আমাদেরকে ও জানিয়েছিল পাশ করেছে। ওর মা বাড়িতে ছিল না। মাকে ফোন করে পাশ করার কথা জানিয়েছিল। ফর্ম-ফিলআপের জন্য টাকাও নিয়েছিল। পাশ করতে না পারার কারণেই ও এমনকাণ্ড ঘটিয়েছে।’ এই ঘটনায় স্নেহার পরিবারে শোকের ছায়া নেমেছে। এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

(সুইসাইড প্রিভেনশনস ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন: 8047096367)

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here