[ad_1]
রাজ্যের নয়া স্বরাষ্ট্রসচিব পদে আসীন হয়েছেন নন্দিনী চক্রবর্তী। তাঁর এই নিয়োগকে ‘অবৈধ’ বলে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকী এটা নিয়ে তিনি আদালতের দরজায় কড়া নাড়বেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। আর এই কথা ছড়িয়ে পড়তেই পাল্টা ব্যাট ধরলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। আর তারপরই স্টেপ আউট করে যেভাবে ছক্কা হাঁকালেন তাতে বেশ রেগে গেলেও কোনও উত্তর দিতে পারেননি বিরোধী দলনেতা। বরং কুণালের কথায় এখন সবাই শুভেন্দুর দিকে চেয়ে হাসছেন।
ঠিক কী বলেছেন কুণাল? নন্দিনী চক্রবর্তী আগে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সচিব ছিলেন। কিন্তু আনন্দ–নন্দিনী বনিবনা না হওয়ায় রাজ্যপাল সরিয়ে দিয়েছিলেন সচিব নন্দিনীকে। সেখানে এভাবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে পুরষ্কৃত করবে তা ভাবতে পারেননি বিজেপি নেতারা। কারণ এই নন্দিনীর নামে অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু রাজ্যপালের কাছে। এবার রাজ্যপালকে আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে কথা বলতে হবে স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীর সঙ্গে। আপত্তি এখানেই। আর শুভেন্দুর দাবি নিয়ে মজা করার সুরে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘শীতকালে অনেকের ত্বকে সমস্যা হয়। শুভেন্দুরও তেমন হয়েছে। সারাক্ষণ চিড়বিড় করছে! ওঁকে বলব, উনি বরং ভাল করে ভেসলিন মাখুন, ভাল সাবান মেখে রোজ স্নান করুন।’
কেন এমন বললেন কুণাল? রাজ্য সরকারের সব কাজে বিরোধিতা করেন শুভেন্দু অধিকারী। মুখে দাবি করেন তাঁকে বৈঠকে ডাকা হয় না। আর ডাকলে শুভেন্দু আসেন না বলে অভিযোগ। সেখানে এমন অভিযোগ তোলায় জবাব দেন কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘যে তোলাবাজি করেছে, লুট করেছে, তাকে আবার সাবান–ভেসলিন উপহার দিতে হয় নাকি? ও নিজেই কিনতে পারবে। শুভেন্দু ‘লুটেরা’, ‘তোলাবাজ’।’ অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীর এই আইনি হুমকিতে পাত্তা দিচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘দলে প্রবীণ নবীন সবাই থাকবেন’, দ্বন্দ্বে ইতি টানতে ঐক্যবদ্ধের সুর শোনালেন কুণাল
আর কী জানা যাচ্ছে? রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব পদে নন্দিনী চক্রবর্তীর নিয়োগ নিয়ে আজ কড়া কথা বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য, ‘রাজ্য প্রশাসনের ১৩ জন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এবং ৫ জন প্রধানসচিবকে বাদ দিয়ে স্বরাষ্ট্র দফতর অবৈধ পথে স্বরাষ্ট্রসচিব নিয়োগ করেছে।’ যদিও এই নিয়োগের ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল নবান্ন। তখন কেন কিছু বললেন না? পরে এমন ভাবনা কেন? এইসব প্রশ্ন উঠতে সুরু করেছে। তাছাড়া অবৈধ নিয়োগের প্রমাণ কোথায়? জানতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। তাছাড়া রাজ্যপাল তো নন্দিনী চক্রবর্তীকে রিলিজ করে দেন। তারপর নন্দিনী চক্রবর্তীকে পর্যটন সচিব করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।