Home আপডেট এক্স হ্যান্ডেলের বায়ো থেকে কুণাল মুছলেন তৃণমূল মুখপাত্রের পরিচয়, অভিমানের জের!

এক্স হ্যান্ডেলের বায়ো থেকে কুণাল মুছলেন তৃণমূল মুখপাত্রের পরিচয়, অভিমানের জের!

এক্স হ্যান্ডেলের বায়ো থেকে কুণাল মুছলেন তৃণমূল মুখপাত্রের পরিচয়, অভিমানের জের!

[ad_1]

কুণাল ঘোষের এক্স হ্যান্ডেল থেকে গতকাল বিস্ফোরক পোস্ট করা হয় রাতে। তখন এটা বোঝা যাচ্ছিল একটা কিছু চলছে দলের অন্দরে। তারপরই আজ, শুক্রবার সকালে দেখা গেল সেই পোস্টটি উধাও হয়ে গিয়েছে এক্স হ্যান্ডেল থেকে। এমনকী এক্স হ্যান্ডলের বায়ো থেকে রাজনীতিবিদ ও তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্রের পরিচয়ও মুছে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। এখন তাঁর পরিচয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সাংবাদিক ও সমাজকর্মী। এই পর পর দুটি ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে নানা গুঞ্জন এবং আলোচনা দানা বেঁধেছে। কেন এমন করলেন কুণাল?‌ প্রশ্ন উঠছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ পোস্ট করেছিলেন, ‘নেতা অযোগ্য গ্রুপবাজ স্বার্থপর। সারা বছর ছ্যাঁচড়ামি করবে আর ভোটের মুখে দিদি, অভিষেক, তৃণমূল দলের প্রতি কর্মীদের আবেগের উপর ভর করে জিতে যাবে, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করবে, সেটা বারবার হতে পারে না।’ এই পোস্টে কুণাল কারও নাম করেননি। অনেকের ব্যাখ্যা এই পোস্ট সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে। যদিও সত্যতা জানা যায়নি। কুণাল ঘনিষ্ঠরা বলছেন, ‘গত একসপ্তাহে কুণালের কানে বেশ কিছু কথা এসেছে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু কথা বলে বেড়াচ্ছেন। দাদা চুপ করে থাকবেন না’। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এমন অশান্ত বাতাবরণ তৈরি হওয়ায় বাড়ছে অস্বস্তি।

আরও পড়ুন:‌ পুরুলিয়া পাহাড়ে মিলেছে ডাইনোসরের জীবাশ্ম!‌ খবর চাউর হতেই আলোড়ন তুঙ্গে

অন্যদিকে আগামী ১০ মার্চ তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর কলকাতার নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন সুদীপবাবু। সেখানে ডাক পাননি কুণাল ঘোষ। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে রাতে বিস্ফোরক পোস্ট করেন কুণাল ঘোষ বলে সূত্রের খবর। তবে শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলের বায়ো বদলের পিছনে আরও বড় কারণ আছে বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতের পোস্ট নিয়ে যথেষ্ট জলঘোলা হয়েছে দলের অন্দরে। হতেই পারে দলের অন্দরে এমন কিছু কথা হয়েছে যা নিয়ে অভিমান করে নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে দলের পরিচয়ই মুছে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ।

এছাড়া কুণাল বরাবরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন বলে পরিচিত। সেখানে এমন ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তার উপর আজ সকাল থেকে কুণাল ঘোষের ফোনটি বন্ধ রয়েছে। সুতরাং যোগাযোগের রাস্তা নেই। দলের মুখপাত্রের পাশাপাশি কুণাল ঘোষ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদেও আছেন। এখন দেখার এইসব পদও তিনি ছেড়ে দেন কি না। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকে কুণাল ঘোষ বারবার দলের বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর চাঁচাছোলা বক্তব্যে চাপে পড়ে যান বিজেপির নেতারা। পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্ব পাওয়ার পর সেখানেও সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেন কুণাল ঘোষ। তাহলে এখন কী হল?‌ সেটাই জানতে চায় সকলে।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here