Home বিদেশ এভিয়েশন শিল্পে গেম চেঞ্জার বাংলাদেশ! দুবাই সিঙ্গাপুর নয়, তাক লাগাচ্ছে ঢাকার বিমানবন্দর

এভিয়েশন শিল্পে গেম চেঞ্জার বাংলাদেশ! দুবাই সিঙ্গাপুর নয়, তাক লাগাচ্ছে ঢাকার বিমানবন্দর

এভিয়েশন শিল্পে গেম চেঞ্জার বাংলাদেশ! দুবাই সিঙ্গাপুর নয়, তাক লাগাচ্ছে ঢাকার বিমানবন্দর

[ad_1]

এভিয়েশন শিল্পে গেম চেঞ্জার হবে বাংলাদেশ। তাক লেগে যাচ্ছে নির্মাণশৈলী দেখে। অবাক আকাশ পথের যাত্রী থেকে বিভিন্ন দেশের এয়ার লাইন্স। বাংলাদেশের বিমানবন্দরে চলছে মহাযজ্ঞ। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন শেখ হাসিনা। জোরকদমে চলছে কাজ। বিদেশের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সাজছে দেশটা। ভারতের মতো চাঁদে যাওয়ার পরিকল্পনা! দেখে গর্ব হচ্ছে বাংলাদেশিদের। একবার শুধু দেখুন, চোখ ধাঁধিয়ে যাবে।

এই যে দেখছেন ঝাঁ চকচকে অত্যাধুনিক বিমানবন্দর, এটা কিন্তু থাইল্যান্ড সিঙ্গাপুর কিংবা দুবাই নয়। এটা বাংলাদেশের বিমানবন্দর। তাই তো কয়েকদিন আগেই দেশটার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশ জোর গলায় বলেছেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ হবে আন্তর্জাতিক এভিয়েশন হাব। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এই দেশের দিকে তাকিয়ে থাকবে সবাই। কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কিংবা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ধীরে ধীরে প্রবেশ করছে অত্যাধুনিক জগতে। শেখ হাসিনার কথায়, একসময় আন্তর্জাতিক হাব ছিল হংকং। তারপর ধীরে ধীরে সেই তালিকায় যুক্ত হয় সিঙ্গাপুর থাইল্যান্ড দুবাই। তিনি বিশ্বাস করেন, সেখানেই নতুন সংযোজন ঘটাবে কক্সবাজার কিংবা শাহজালাল বিমানবন্দর। বিদেশ থেকে অনেকেই রিফুয়েলিং এর জন্য এখানে আসবে, থামবে এবং উপভোগ করবে বাংলাদেশের সৌন্দর্য।

বাংলাদেশ পিছনে ফেলে দিয়েছে সেই ঝরঝরে বিমানের যুগ। উপরন্তু বিমানবহরে যুক্ত হয়েছে আরো ২১ টি অত্যাধুনিক বিমান, যা গোটা পৃথিবীজুড়ে যাতায়াত করছে। শেখ হাসিনার কথায়, আশেপাশের দেশ চাঁদে চলে যাচ্ছে। কেনই বা বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকবে? বাংলাদেশও চাঁদে যাবে। সেভাবেই গড়ে উঠছে দেশটার স্মার্ট জনশক্তি। দৌড়াবে মহাকাশের রেসে। এই আশেপাশের দেশ বলতে কোন দেশ অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন। বলা হচ্ছে ভারতের কথা। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে এয়ারবাসের সঙ্গে এমওইউ সই করেছে। ঋণ নিয়ে কিনতে পারবে প্রচুর বিমান। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাওয়ার জন্য মিলবে বিমান পরিষেবা। কক্সবাজারে সমুদ্রের জল ছুঁয়ে ওঠানামা করবে যাত্রীরা।

বাংলাদেশের এত কদরের অন্যতম কারণ ভৌগলিক অবস্থান। এর একদিকে রয়েছে ভারত মহাসাগর, অপরদিকে প্রশান্ত মহাসাগর। সেই সঙ্গে রয়েছে বঙ্গোপসাগর। তিন রুটের মাঝে থাকায় সেই প্রাচীন যুগ থেকেই একটু স্পেশাল প্রায়োরিটি পাচ্ছে এই ভূখণ্ড। ইতি মধ্যেই দেশটার শাহজালাল বিমানবন্দরে থার্ড টার্মিনাল প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির প্রতীক।

আপাতত থার্ড টার্মিনালের সফট ওপেনিং করেছেন শেখ হাসিনা। তবে পুরোপুরি ব্যবহার শুরু হবে আগামী বছরের শেষের দিকে। এখন পুরোদমে কাজ চলছে। এটি যুক্ত হবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং মেট্রোরেলের রুটের সঙ্গে। যাত্রী ক্যাপাসিটি হবে প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ। হিসেবে বলছে টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হলে বছরে একসঙ্গে ২ কোটি ৪০ লক্ষ যাত্রীকে সেবা দেয়া সম্ভব। একসঙ্গে পার্কিং করা যাবে প্রায় ৩৭ বিমান। যুক্ত হয়েছে চেক ইন ১১৫টি চেক ইন কাউন্টার আর ১২৮ টি ইমিগ্রেশন কাউন্টার। ইমিগ্রেশনে কোন ঝামেলা নেই। পদ্ধতি সহজ। কম সময়েই মিটে যাচ্ছে কাজ। মুভি লাউঞ্জ, কিডস জোনসহ রয়েছে শিশুদের প্লে জোন এবং আকর্ষণীয় ফুড কোর্ট। রয়েছে আলাদা পার্কিং লট, যেখানে একসাথে পার্ক করা যাবে ১ হাজার ২৩০ টাকা গাড়ি। এক কথায় ভোগান্তির। আর এভাবেই ধীরে ধীরে অত্যাধুনিক যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here