[ad_1]
সর্ষের মধ্যেই ভূত, জোটের ভিতরেই গোপন জোট! শাহের প্রেডিকশন অক্ষরে অক্ষরে মিলছে। কংগ্রেসকে গিলে খেতে পারে কোন কোন দল? রাহুল-সনিয়া যা ভাবতে পারছেন না সেটাও হতে পারে। কংগ্রেস এবার আর ছড়ি ঘোরাতে পারবে না সব প্ল্যান ঘেঁটে ঘ মাথা নীচু করে শুনতে হবে যা বলবে বাকীরা। ১৯ ডিসেম্বরের আগেই প্যারালালি তৈরি হচ্ছে কংগ্রেস বাদের বাকী বিরোধীদের বড় প্ল্যান। এর মানে জোটের ভিতরে থাকছে আরেক জোট? পুরোনো প্রেডিকশন মিলে যাচ্ছে ১০০য় ১০০। ২০১৯ সালের আগে থেকেই যখন বিভিন্ন রাজ্য থেকে অকংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীরা জোট গড়ার ডাক দিচ্ছিলেন তখনই অনেকে বলছিলেন বিজেপি নাকি কংগ্রেস? কাকে আসলে রুখতে চাইছে বাকী বিরোধীরা?
দিল্লির সূত্র বলছে ১৯ ডিসেম্বর ইন্ডিয়া জোটের বড় বৈঠকের আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আপ নেতা কেজরিওয়ালের মধ্যে বৈঠক হতে পারে দিল্লির বুকেই কিন্তু কেন? ঠিক কোন প্রয়োজনে এই বৈঠক? অমিত শাহর যুক্তি কিছুদিন আগেই বলেছিলেন ‘দয়া করে বুঝুন, বিরোধী ঐক্য হলো শুধুই দৃষ্টিবিভ্রম (ইলিউশন)’। শাহের প্রশ্ন ছিল তেলঙ্গানা ও কেরালায় বিরোধী ঐক্য কি সম্ভব? এটা কোনওদিনই সম্ভব নয়। তাহলে কোন একতার কথা বলা হচ্ছে? বিরোধী শিবিরের প্রভাবশালী নেতাদের কথার সঙ্গে বাস্তবের ফারাক প্রবল’ তাহলে শাহ যেটা বুঝেছিলেন বা বলেছিলেন সেটাই সত্যি হওয়ার পথে। একেবারে নয়াদিল্লির সাউথ আভেনিউতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার কথা আছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। মঙ্গলবার ১৯ ডিসেম্বরের আগে আসন বন্টন নিয়ে আলোচনা শুরুর আগে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে একে ‘প্রেসার গ্রুপ’ বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনুমান তৃণমূল ও আম আদমি পার্টি এদের দুজনেরই লক্ষ্য হল কংগ্রেসকে নামমাত্র আসন ছেড়ে বাকি সব আসনে প্রার্থী দেওয়া। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসকে যেমন বহরমপুর ও মালদহ (দক্ষিণ) ছাড়া আর কোনও আসন ছাড়তে রাজি নয় তৃণমূল। তেমনই আম আদমি পার্টি পাঞ্জাবে একটি ও দিল্লিতে দুটির বেশি আসন ছাড়তে প্রস্তুত নয় কংগ্রেসকে। লোকসভা নির্বাচনে আর সম্ভবত ১৯ ডিসেম্বরের বৈঠকে এই প্রস্তাবটা তুলে ধরতে পারে এই দুই দল। এর মানে জোটের মধ্যেই তৈরি হচ্ছে প্রেসার গ্রুপ। তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে বৈঠকটা কেন দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যেই হচ্ছে শুধু বাকী অকংগ্রেসী দলগুলো কি আগ্রহী নয় এক্ষেত্রে? এটা জানতে হলে কয়েক মাস পিছিয়ে যেতে হবে। পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগেই তৃণমূল ও আম আদমি পার্টি কংগ্রেসের সঙ্গে এই আসন সমঝোতা চাইছিল তারা চাইছিল, অক্টোবরের মধ্যে আসন রফা ফাইনাল হয়ে যাক কিন্তু কংগ্রেস তখন রাজি হয়নি কারণ, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেদের ধারণা ছিল হিন্দিবলয়ে অন্তত দুটি রাজ্যে তো তারা জিতবেনই জিতবেন আর সেটা হলেই আসন রফার ক্ষেত্রে কংগ্রেস দরকষাকষির ক্ষমতা বাড়বে, কিন্তু পোড়া কপাল এমন হলটা কৈ? হিন্দিবলয়ের তিন রাজ্যেই হেরে এখন উল্টো চাপের মুখে কংগ্রেস।
রাজনৈতিক মহলের দাবি কংগ্রেসকে বাস্তবতাটাও মানতে হবে। যে প্রতিটা শরিক দল যতবেশি সম্ভব আসনে লড়তে চাইবে বিশেষ করে আঞ্চলিক দলগুলি কারণ, জোট করেও নরেন্দ্র মোদীকে হারানো যাবে কিনা তা নিশ্চিত নয় তাই আঞ্চলিক দলগুলি চাইবে তারা যতবেশি সম্ভব আসনে লড়ুক যাতে কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় থেকে গেলেও রাজ্যস্তরে তাদের শক্তি যেন অটুট থাকে, কিন্তু কংগ্রেস তাদের অহংকার অটুট রাখতে পারবে তো এরপরও একটা সু্ক্ষ্ম চির কিন্তু ভেঙে খানখান করে দিতে পারে গোটা জোটকে। শরিক দলগুলির মধ্যে থেকে কংগ্রেসের উপর যে চাপ আসবে তা নিশ্চয় সনিয়া-রাহুলও আন্দাজ করতে পারছেন এবার দেখার সমঝোতা কোন পথে হয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়