[ad_1]
ভারতের প্রথম স্টেপ কাতারে আটকে থাকা ৮ অফিসারকে মুক্ত করার। আন্তর্জাতিক আদালত নাকি চরম কূটনীতি? মাথা একেবারে ঠান্ডা করে পা ফেলছে অতি সতর্ক দিল্লি। কনস্যুলার অ্যাক্সেস পেল ভারত এটা কী জানা আছে? ভারত প্রসেস শুরু করল। ভারতের বিদেশমন্ত্রক একেবারে স্পষ্ট ভাষায় সেটাই জানিয়ে দিল দিল্লি বুঝতে পারছে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের মধ্যে এমূহুর্তে কাতারে আটকে থাকা ৮ ভারতীয় অফিসারকে মুক্ত করার গোটা বিষয়টাই মারাত্মক স্পর্শকাতর। একটা ভুল সিদ্ধান্ত একটা ভুল স্টেপ খোলা প্ল্যানে জল ঢেলে দিতে পারে। তাই ভারত কোনও ধরণের আগ বাড়িয়ে স্টেপ নিচ্ছে না। এমনটাই এমূহুর্তে দাঁড়িয়ে মনে করছে দেশের তাবড় তাবড় আইনজ্ঞরা। সময় যেভাবে এগোচ্ছে তাতে টেনশন উদ্বেগ বাড়ছে ভারতের প্রাক্তন ৮ নেভি অফিসারের পরিবারের।ভারতের বিদেশমন্ত্রী প্রত্যেকটা মূহুর্তে তাদের আশ্বাস দিচ্ছেন।
একটা খবর ইন্টারনেটে বেশ ঘুরছে কাতারে নাকি ওষুধ পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। তবে এধরণের কোনও খবর কিন্তু দেশের বিশ্বস্ত মিডিয়াগুলোয় বের হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই সেনসেটিভ মূহুর্তে এমন কোনও ধরণের সাপ্লাই দিল্লি রুখে দেবে এতটা মূর্খের স্বর্গে ভারত বসবাস করে না। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে ওই প্রাক্তন সেনা কর্তাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য কাতারের কাছ থেকে দ্বিতীয় কনস্যুলার অ্যাক্সেস পেয়েছে ভারত। কনস্যুলার অ্যাক্সেস মানে সহজ ভাষায় একটি দেশের নাগরিকদের একটি বিদেশী দেশে বন্দি অবস্থায় থাকাকালীন তাদের নিজ দেশের কনস্যুলার কর্মকর্তাদের সাথে শারীরিক বা যোগাযোগের মাধ্যমে অ্যাক্সেস করার ক্ষমতা। ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী এই কনস্যুলার অ্যাক্সেস দেওয়া হয়। এর মানে ভারতের আইনজীবীরা কাতারে আটকে থাকা ৮ অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ ও তাদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবে।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানান এই বিষয়ে কাতারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলেছে ভারত সরকার। কাতারের এক ফার্স্ট ইনস্ট্যান্স আদালত আট ভারতীয় কর্মচারীর বিষয়ে রায় দিয়েছে। রায়টি গোপনীয় এবং শুধুমাত্র আমাদের আইনি দলের সঙ্গে ভাগ করা হয়েছে। এই বিষয়ে একটি ভারত সরকার একটি আবেদন দায়ের করেছে আমরা কাতারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছি। একইসঙ্গে তিনি এটাও বলেন দোহায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের কর্তারা মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত প্রাক্তন ভারতীয় নৌসেনা অফিসারদের সঙ্গে দেখা করেছেন। ওই আট প্রাক্তন নৌসেনা অফিসারের পরিবারবর্গের সঙ্গেও ভারত সরকারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন ভারত তাঁদেরকে আইনি সহায়তা দিয়ে যাবে। এর থেকে বেশি কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়নি তবে ভারত যে বেশ ঠান্ডা মাথায় অর্গানাইজড পথেই এগোচ্ছে সেটা বেশ স্পষ্ট এবার দেখার এই কেস কোন দিকে এগোয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়