Home বিদেশ কাস্পিয়ান সাগরে ইরানের অগ্নিবলয়! হাঙ্গরের থেকেও বেশি ভয়ঙ্কর দেইলামান ? ১০০ শত্রু ধুলিস্মাৎ

কাস্পিয়ান সাগরে ইরানের অগ্নিবলয়! হাঙ্গরের থেকেও বেশি ভয়ঙ্কর দেইলামান ? ১০০ শত্রু ধুলিস্মাৎ

কাস্পিয়ান সাগরে ইরানের অগ্নিবলয়! হাঙ্গরের থেকেও বেশি ভয়ঙ্কর দেইলামান ? ১০০ শত্রু ধুলিস্মাৎ

[ad_1]

কাস্পিয়ান সাগরে ঝড় তুলবে এই অগ্নিবলয়, জলের তলায় দানবাকৃতির এটা কি নামিয়ে দিল ইরান? হাঙ্গর এর থেকেও বেশি ভয়ঙ্কর? “দেইলামান” ৩ সেকেন্ডেই ধুলোয় মিশিয়ে দেবে ১০০ টা শত্রু দেশকে? ডিরেক্ট রাশিয়ার সঙ্গে টেক্কা? কাস্পিয়ান ফুটছে, ইরানের রহস্যময় জাহাজ বহরের নেটওয়ার্ক কত দূর ছড়ালো তলে তলে? এবার ছুঁলেই বিপদ, ধেয়ে যাবে ঝাঁক ঝাঁক ক্রুজ, টর্পেডো। শত্রু দেশকে ঘিরে গোলক ধাঁধা বানাচ্ছে ইরান? ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস এর অধীনে থাকা নৌবাহিনীর ক্ষমতা সম্পর্কে কোনও আন্দাজ আছে? এবার জলের তলায় ইরানের খতরনাক শার্ক ছুটে গিয়ে অ্যাটাক করবে শত্রুকে। ইরানের নৌবাহিনীর কাস্পিয়ান নৌবহরের নতুন সদস্য। আরও একটি অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ। ক্রুজ মিসাইল উৎক্ষেপণে সক্ষম যুদ্ধজাহাজটি কাস্পিয়ান সাগরে তেহরানের নৌশক্তি ও সামর্থ্যকে আরও জোরদার করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এর ক্ষমতা জানলে শঙ্কায় কাঁপবে গোটা পৃথিবী। যুদ্ধজাহাজটির নাম দেইলামান ডেস্ট্রয়ার। ইরানের গিলান প্রদেশের প্রাকৃতিকভাবে সমৃদ্ধ ও অনিন্দ্য সুন্দর অঞ্চলের নাম দেইলামানের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি চলন্ত অবস্থায় একই সঙ্গে ক্রুজ ও টর্পেডো মিসাইল ছুড়তে পারে। এটা জাহাজ, ড্রোন, হেলিকপ্টার, সাবমেরিন এমনকি যুদ্ধবিমান সহ একই সঙ্গে ১০০টি টার্গেট শনাক্ত ও লক্ষ্য করে সেগুলোতে আঘাত হানতে পারে। দেইলামান লম্বায় ৩১২ ফুট, প্রস্থে ৩৬ ফুট। যুদ্ধজাহাজটির ওজন ১ হাজার ৪০০ টন। গতি ঘণ্টায় ৫৬ কিলোমিটার। বলতেই হচ্ছে ইরানের কাছে যেসব নৌযান আছে তা দিয়ে অত্যন্ত কার্যকর উপায়ে বড় আকারের যুদ্ধজাহাজকে পরাস্ত করতে পারে ইরানি নৌবাহিনী। এবার সেই নৌবাহিনীর পাওয়ার আরও বাড়লো।

কাস্পিয়ান সাগর আয়তনে অনুসারে পৃথিবীর বৃহত্তম হ্রদ। এর চারিপাশ ঘিরে রেখেছে রাশিয়া, আজারবাইজান, কাজাখস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও ইরানের অবস্থান। এই সাগরে ‘কাস্পিয়ান সী ফ্লিট’ নামে ইরানের যে নৌবহর রয়েছে তার ষষ্ঠ যুদ্ধজাহাজ হিসেবে যোগ হলো দেইলামান ডেস্ট্রয়ার যে কাস্পিয়ান সাগরের বৃহত্তম নৌশক্তি রাশিয়া। ইরান ১৯৬০-এর দশকের শেষের দিক থেকে এখানে নিজেদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং ১৯৯০-এর দশক থেকে নৌশক্তি বাড়াচ্ছে। কাস্পিয়ান সাগরের তীরে ইরানের তিনটি নৌঘাঁটিও রয়েছে। এই সাগরের বুকে রীতিমতো রাজত্ব বানাচ্ছে ইরান। দেইলামান ডেস্ট্রয়ার উদ্বোধনের দিন ইরানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হোসেন বাকেরি তো বলছেন, কাস্পিয়ান সাগর ‘শান্তি ও বন্ধুত্বের সাগর’। ইরানের নৌশক্তি ওই অঞ্চলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ও সন্ত্রাস মোকাবিলা করে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে কিন্তু শত্রু দেশের ওপর এতে কতটা চাপ বাড়লো সেটা তো বলবে সময়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here