Home বিদেশ কীসের এত জোর বাংলাদেশের? দক্ষিণ এশিয়ার ছোটো দেশটা তলে তলে যা করছে

কীসের এত জোর বাংলাদেশের? দক্ষিণ এশিয়ার ছোটো দেশটা তলে তলে যা করছে

কীসের এত জোর বাংলাদেশের? দক্ষিণ এশিয়ার ছোটো দেশটা তলে তলে যা করছে

[ad_1]

যুক্তরাষ্ট্রকে সামনাসামনি হুঁশিয়ারি। চোখে চোখ রেখে কথা বলছে বাংলাদেশ। আচ্ছা, দক্ষিণ এশিয়ার এই ছোট্ট দেশটা এত সাহস কোথায় পায়? কিসের এত জোর? জানেন? তলে তলে দেশটা সাজছে মারাত্মক ক্ষেপণাস্ত্র আর ড্রোনে। ভাঁড়ারে জমাচ্ছে অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র। কিন্তু উদ্দেশ্যটাই বা কি? কাকে জবাব দিতে চলেছে বাংলাদেশ?

যদি পাঁচ বছর আগে তাকান, দেখবেন বাংলাদেশ সামরিক শক্তিতে বিশ্বে ছিল ৫৬ তম। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে ততই উন্নতি হচ্ছে। সেই সময়, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে বিমানের সংখ্যা ছিল ১৭৩ টি, যার মধ্যে ৪৫টি ফাইটার এয়ারক্রাফট, ৪৫ টি অ্যাটাক এয়ারক্রাফট, আর ৫৭ টি ট্রান্সপন্ডার। কিন্তু গত ৫ বছরে আমুল বদলে গেছে সেই চিত্র। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে ২৩ ধরনের নতুন যুদ্ধ সরঞ্জাম। যা দেশটার সক্ষমতা বাড়িয়েছে দ্বিগুণ। সেনাবাহিনীতে সংযুক্ত হয়েছে ১১ ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম। নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে ৮ ধরনের এবং বিমান বাহিনীতে ৪ ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম। এই সমস্ত সরঞ্জাম এসেছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় বারোটা দেশ থেকে। যার অধিকাংশ দিয়েছে চীন। তবে দেশটা যে শুধুমাত্র অপরের উপর নির্ভরশীল, এ কথা বলা একদম ভুল। বাংলাদেশও কিন্তু দুই ধরনের সরঞ্জাম তৈরি করেছে। বোঝাই যায়, দেশটার সক্ষমতা বাড়ছে।

এই ২৩ ধরনের বিশেষ সরঞ্জামকে কেন এত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে? কেনই বা এত আলোচনা? আসলে এতেই বেড়েছে বাংলাদেশের ক্ষমতা। কোন দেশ শত্রুতা করলে মোক্ষম জবাব দিতে পারে দেশটা। সরঞ্জামের তালিকায় রয়েছে লাইট ট্যাঙ্ক, আমার্ড পার্সোনাল ক্যারিয়ার , মাল্টিপল লাঞ্চ রকেট সিস্টেম, অটোমেটিক গ্রেনেড লঞ্চার, রেজিমেন্ট ফিল্ড আর্টিলারি উইপন সিস্টেম, সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম, ব্যাটারি রাডার কন্ট্রোল এয়ার ডিফেন্স গান সহ বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র। যা এসেছে চীন, সার্বিয়া, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি থেকে। বাংলাদেশের বিমান বাহিনী পেয়েছে যুক্তরাজ্যের এমকে ৫ এয়ারক্রাফট, ফ্রান্সের এয়ার ডিফেন্স এবং জার্মানির প্রাইমারি ট্রেইনার এয়ারক্র্যাফট।

খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন, মিয়ানমারের সঙ্গে চরম উত্তেজনা থাকা সত্ত্বেও কিন্তু মিয়ানমার এখনো পর্যন্ত সরাসরি বাংলাদেশকে অ্যাটাক করার সাহস দেখায়নি। সত্যি কথা বলতে, বাংলাদেশ কখনো যুদ্ধ চায় না। সব সময় চেয়েছে শান্তিপূর্ণ ভাবে সমস্যার সমাধান করতে। বাংলাদেশের সামনে এখন টার্গেট ফোর্সেস গোল ২০৩০। মাঝে আর মাত্র ৭ টা বছর। তার মধ্যেই ফুলফিল করতে হবে টার্গেট। সেই উদ্যোগেই উঠে পড়ে লেগেছে দেশটা। শক্তিশালী, দৃঢ়, অপ্রতিরোধ্য করে সাজাচ্ছে সশস্ত্র বাহিনীকে। কিন্তু কিসের এত আয়োজন? কেনই বা বাংলাদেশ উঠে পড়ে লেগেছে সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করতে? দেশটা চাইছে যে কোনো পরিস্থিতিতে যাতে মোকাবিলা করতে পারে। যুদ্ধের আগেই বাংলাদেশ কিন্তু বিষয়টা অবশ্যই বিবেচনা করবে। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হলে প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে যা যা প্রয়োজন তাই তাই করছে দেশটা। এভাবেই বাড়াচ্ছে জোর, শক্ত করছে পায়ের তলার মাটি। সেটা আন্দাজ করতে পারছে গোটা বিশ্ব। তাই তো বিশ্ব ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশের এত কদর।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here