Home আপডেট কৃষ্ণনগরের পুরপ্রধানের কাজ কার্যত সামলাচ্ছেন তাঁর ছেলে, ক্ষুব্ধ মহুয়া

কৃষ্ণনগরের পুরপ্রধানের কাজ কার্যত সামলাচ্ছেন তাঁর ছেলে, ক্ষুব্ধ মহুয়া

কৃষ্ণনগরের পুরপ্রধানের কাজ কার্যত সামলাচ্ছেন তাঁর ছেলে, ক্ষুব্ধ মহুয়া

[ad_1]

ক্যাশ ফর কোয়ারি বিতর্কের রেশ এখনও কাটেনি। তারই মধ্যে ফের বিতর্কে জড়ালেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কৃষ্ণনগর পুরসভার চেয়ারম্যানকে বকাঝকা করার অভিযোগ উঠেছে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় মহুয়ার বিরুদ্ধে দলের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রশাসনিক কাজকর্ম নিয়ে কৃষ্ণনগরের  পুরপ্রধান রীতা দাসকে ভর্ৎসনা করেছেন এলাকার সাংসদ মহুয়া। এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: মহুয়ার সাংসদপদ খারিজ হবে? সোমবার লোকসভায় জমা পড়ছে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট

দলের একাংশের অভিযোগ, পুরপ্রধনের সঙ্গে মহুয়া যেভাবে দুর্ব্যবহার করেছেন সেটা তাঁর এক্তিয়ারের বাইরে। যদিও দলের একাংশের মতে, পুরসভার কাজকর্মে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল সেই কারণেই মহুয়া তাঁকে ভর্ৎসনা করেছেন। অভিযোগ উঠেছে, রীতা দাস পুরসভার প্রধান হলেও প্রকৃতপক্ষে তাঁর হয়ে পুরসভার সমস্ত কাজ করে থাকেন তাঁর ছেলে দেবজ্যোতি দাস। তিনি পুরসভায় মায়ের কার্যালয়ে টেবিলের পাশে বসে থাকেন। কেউ কোনও কাজে গেলে তিনিই খতিয়ে দেখেন। বলতে গেলে তিনিই সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। এমনকী এক ঠিকাদার সব সময় পুর প্রধানের ঘরে বসে থাকেন বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগ পাওয়ার পরে মহুয়া স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনও আত্মীয় বা ঠিকাদার পুর প্রধানের ঘরে বসে থাকতে পারবে না। যদিও মহুয়া এমন কথা বলেছেন কিনা তা কার্যত অস্বীকার করেছেন পুর প্রধান। তাঁর বক্তব্য, তিনি কাউকে এরকম বলতে শোনেননি। জানা গিয়েছে, সরকারি কাজে দরপত্র নিয়েও কিছু অভিযোগ থাকায় মহুয়া তা নিয়েও সতর্ক করে দেন।

উল্লেখ্য, নতুন করে কৃষ্ণনগর জেলার তৃণমূলের সাংগঠনিক পদের দায়িত্ব পেয়েছেন মহুয়া। এর পরে তিনি লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। এই উদ্দেশ্যে বুধবার জেলা নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক করেন মহুয়া মৈত্র। সেখানে পুর প্রতিনিধিরা ছিলেন। সেই বৈঠকে পুরসভার বিভিন্ন কাজ নিয়ে তিনি উষ্ণ প্রকাশ করেন। দলের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরে তিনি পুর প্রধানকে সতর্ক করেন। 

এছাড়াও অভিযোগ অনেক ক্ষেত্রে প্রথমে পুরকর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল পরে তা কমিয়ে দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে দালাল চক্রের অভিযোগ উঠেছে কৃষ্ণনগর পুরসভায়। যদিও পুর প্রধান জানিয়েছেন, নির্দেশ মেনেই কাজ হচ্ছে। দরপত্র করেই সব কাজ করা হচ্ছে। এদিনের বৈঠকে বিদ্যুতের সংযোগ, ময়লা সংগ্রহের জন্য নাগরিকদের কাছ থেকে পুরসভার টাকা নেওয়ার বিষয়ে  অভিযোগ পেয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন মহুয়া মৈত্র । সেক্ষেত্রে অভিযোগ, বিদ্যুতের জন্য অবজেকশন সার্টিফিকেট নিতে গেলে পুরসভাকে টাকা দিতে হয়। তাই নিয়ে কার্যত পুরপ্রধানকে মহুয়া মৈত্র হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। যদিও দলের একাংশের মতে, পুর সভায় ভালো মন্দ দেখার দায়িত্ব সাংসদদেরও আছে। সুতরাং তিনি ঠিকই কাজ করেছেন।

 

 

 

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here