Home আপডেট কোথায় কি সমস্যা এখনই জানান, পুলিশ প্রশাসনকে কড়া বার্তা নির্বাচন কমিশনের

কোথায় কি সমস্যা এখনই জানান, পুলিশ প্রশাসনকে কড়া বার্তা নির্বাচন কমিশনের

কোথায় কি সমস্যা এখনই জানান, পুলিশ প্রশাসনকে কড়া বার্তা নির্বাচন কমিশনের

[ad_1]

সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচনের লক্ষ্যে বাংলার পুলিশ প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। ভোটের আগে যাতে কোনওভাবেই বাংলায় বোমাবাজির শোনা না যায় সে বিষয়ে পুলিশকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে কমিশন। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ এসেছে। তার নেতৃত্বে রয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। সোমবার সব জেলার পুলিশ সুপার, জেলাশাসক এবং কমিশনারদের নিয়ে বৈঠক করে কমিশন। সেখানে ভোটের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে কমিশন।

আরও পড়ুন: যাবতীয় নির্দেশ পালন করার বার্তা কমিশনের ফুলবেঞ্চের, আজ দলগুলির সঙ্গে বৈঠক

কোন জেলায় কেমন পরিস্থিতি সে সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য আগে থেকেই রয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছ। তা সত্ত্বেও এদিন বৈঠকে পুলিশ কাছ থেকে পরিস্থিতি জানতে চায় কমিশন। সূত্রের খবর, হাওড়ার কমিশনারেটের কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠীর কাছে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চান নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। তখন প্রবীণ ত্রিপাঠী জানান, সবকিছু ঠিক আছে। হাওড়ার কমিশনারের সেই উত্তর শোনার পর কার্যত ক্ষুব্ধ হয়ে যান নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। তখন কমিশনের তরফে এক আধিকারিক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কী পরিস্থিতি রয়েছে তা সঠিকভাবে এখন না জানালে পরে আর তা জানানোর সুযোগ দেওয়া হবে না। শেষে হাওড়ার কমিশনার ৩-৪টি এলাকায় সমস্যার কথা বলেন।তবে তাতে সন্তুষ্ট হয়নি নির্বাচন কমিশন।

জানা গিয়েছে, এরপরে নির্বাচন কমিশন সব জেলার পুলিশ কর্তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে পরিস্থিতি খোলসা করতে বলে। সেক্ষেত্রে কমিশনের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনও কিছু গোপন থাকলে ভালো হবে না। এর পাশাপাশি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভোটের ডিউটি করতে দেখা গিয়েছে। লোকসভা ভোটে কোনওভাবেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের যাতে কাজে লাগানো না হয় সেবিষয়েও কড়া নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, রাজ্যে ১৭ লক্ষ ভুয়ো ভোটার রয়েছে। এ বিষয়েও নির্বাচন কমিশনের কর্তারা প্রশ্ন করেন। যদিও একযোগে সমস্ত জেলা শাসকরাই জানান যে সংখ্যাটা এত হওয়া সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে একটা ভুল হচ্ছে। তাতে অবশ্য একমত হন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। তবে একই সঙ্গে বিরোধী দলগুলিকে কেন প্রশাসন বোঝাতে পারছে না তা নিয়েও সমালোচনা করে নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে, আজ বিকেল পর্যন্ত বৈঠক চলে। মধ্যাহ্নভোজনের জন্য বিরতি ছিল। তারপর আবার বৈঠক শুরু হয়।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here