[ad_1]
কানাডা এক্সপোজড! খালিস্তানি জঙ্গি নিজ্জরের সঙ্গে কানাডিয়ান ইন্টেলিজেন্স এর লিঙ্ক? বম্ব ফাটালো নিজ্জরের পরিবার। ট্রুডোর কত বড় অ্যাসেট ছিল নিজ্জর? আন্দাজ নেই আপনাদের। এই জল কিন্তু অনেকদূর গড়াবে। সিচুয়েশন আউট অফ কন্ট্রোল হলে?কানাডা সামাল দিতে পারবে তো? ট্রুডোর ভারতকে দোষারোপ? ফল ভুগতে হচ্ছে-হবে নিজ্জর খুনে কানাডার মুখ খোলাই উচিত না। ভারতের দিকে আঙুল তোলা তো দূর কি বাত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের CIA ভারতকে নিয়ে তথ্য পেয়ে গেল। আর কানাডিয়ান ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির সঙ্গে নিজ্জরের কোনো লিংক পেল না? ভারত-কানাডার নড়বড়ে সম্পর্ক আরও বড় ধাক্কা।
খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর ১৮ জুন কানাডায় খুন হয়েছেন। এই নিয়ে ভারত-কানাডার দ্বন্দ্বের মাঝেই বিস্ফোরক দাবি নিজ্জরের ছেলে বলরাজের। নিজ্জর সপ্তাহে অন্তত এক থেকে দু’বার কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস মানে CSIS-এর কর্তাদের সঙ্গে দেখা করতেন। খুন হওয়ার দু’-একদিন আগেও তাঁদের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেছিলেন হরদীপ। দাঁড়ান এখনো বাকি আছে, জানলে অবাক হবেন। ১৮ তারিখের পর কানাডার গুপ্তচরদের সঙ্গে নিজ্জরের আরও একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সূত্র বলছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে CSIS এজেন্টদের সঙ্গে নিয়মিত দেখা ও বৈঠক করেছে নিজ্জর। আগামী দিনে আরও বেশি পরিমাণে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। নিজ্জরের ছেলে যা বলছে তাতে এটা স্পষ্ট, খালি স্থানি জঙ্গি খুনের জল গড়াবে অনেক দূর। পরিস্থিতি আরো জটিল হওয়ার চান্স বাড়ছে। ট্রুডো কিন্তু ফাঁসছেন।
নিজ্জর যে খুন হতে পারেন তা আন্দাজ করে তাঁকে সতর্ক করেছিলেন কানাডার গুপ্তচররা মানে CSIS, বলরাজ বলছেন, CSIS এজেন্টদের সঙ্গে হওয়া একটা বৈঠকে সে হাজির ছিল। তাঁরা তার বাবাকে বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করেছিল। কারণ জিজ্ঞেস করায় বলেছিল, নিজ্জরের লাইফ রিস্ক রয়েছে। বলরাজ এর দেওয়া এই তথ্য যদি সত্যি হয় সেক্ষেত্রে ট্রুডো সরকারের অস্বস্তি বাড়লো। প্রশ্ন উঠছে, ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত নিজ্জরের মতো একজন জঙ্গির সঙ্গে কেন CSIS-এর এজেন্টরা ঘনঘন বৈঠক করছিলেন? সন্ত্রাসবাদকে মদত দিতেই কি এই পদক্ষেপ? প্রশ্ন ট্রুডো বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। বলতেই হচ্ছে ভারতের হাতে চলে এলো আরো বড় হাতিয়ার। ইন্ডিয়া টুডের রিপোর্টে বলা হচ্ছে নিজ্জরকে হত্যার পরিকল্পনা অনেক দিন আগে থেকেই করছিল ISI,
গত ২ বছরে কানাডায় আসা গ্যাংস্টারদের পুরোপুরি সমর্থন করার জন্য নিজ্জরকে চাপ দিচ্ছিল ISI আর এবার সামনে এলো CSIS লিঙ্ক।
একটা কলমিস্ত্রি থেকে খলিস্তানি জঙ্গি, নিজ্জরের এই জার্নি আর মানাবে বলিউড সিনেমাকেও ট্রুডোর কি দিন, ভাবুন। নিজ্জরের কাকা ৭৯’র হিম্মত সিং নিজ্জর নিজেই কিনা বলছেন নিজ্জরের জন্য কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর এতটা ঝুঁকি নেওয়া উচিত হয়নি। তাঁর মতে এসব করতে গিয়ে ভারত-কানাডার মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে। আর সেটাই তো হচ্ছে। গত ২ বছর ধরে কানাডায় ভাড়াটে খুনি নিয়োগ করেছিল ISI। আর, নিজ্জরের হত্যার পর আইএসআই এখন বদলির জন্য লোক খুঁজছে। তারা কানাডায় খালিস্তানপন্থী সন্ত্রাসবাদীদের জড়ো করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঠিক এই সময় সামনে এলো খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ নিজ্জর কানাডার গুপ্তচর সংস্থার ‘অ্যাসেট’ ছিল। এখন প্রশ্ন হল যা যা তথ্য সামনে আসছে তাতে যেভাবে ট্রুডো আর পাকিস্তান জড়াচ্ছে, তার পরিণতি কী হবে? কানাডা ক্ষমা চাইবে তো
ভারতের কাছে? আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের ভাবমূর্তিতে কালি ছেটানোর জন্য? নজর থাকবে সেদিকেই।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়