Home আপডেট গঙ্গার গর্ভে যাচ্ছে একের পর এক বাড়ি, পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল বিধায়করা

গঙ্গার গর্ভে যাচ্ছে একের পর এক বাড়ি, পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল বিধায়করা

গঙ্গার গর্ভে যাচ্ছে একের পর এক বাড়ি, পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল বিধায়করা

[ad_1]

একের পর এক পাকা বাড়ি গঙ্গার গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদী ভাঙনের জেরে পাকা বাড়ি ভেঙে যাচ্ছে বাসিন্দাদের। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, চারিদিকে ধ্বংসের স্তুপ তৈরি হয়েছে। আর তার জেরে দিশেহারা মালদার রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের মহানন্দাটোলার বাসিন্দারা। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে গঙ্গা নদীর ভাঙন। ঘন্টা দুয়েক তীব্র ভাঙনের ফলে বাসিন্দাদের অবস্থা দুয়ারে গঙ্গা। রাতারাতি সহায়–সম্বলহীন হয়ে পড়ছেন মানুষজন। একের পর এক পাকা বাড়ি তলিয়ে যাচ্ছে গঙ্গায়।

এদিকে রতুয়া ১ নম্বর ব্লকে কান্থুটোলা এবং শ্রীকান্তিটোলা গ্রামের প্রায় দু’‌হাজারের বেশি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ল। কারণ আজ, বুধবার এই নদী ভাঙন মারাত্মক আকার নিয়েছে। অনেকে আবার এই পরিস্থিতি দেখে নিজের শেষ সম্বলটুকু নিয়ে গ্রাম ছেড়েছেন। তাতে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন রতুয়া বিধানসভার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। তবে এখনও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি গৃহহীনদের বলে অভিযোগ।

অন্যদিকে খোলা আকাশের নীচে দিনযাপন করছেন সাধারণ মানুষজন। বেশিরভাগ জিনিসপত্র চলে গিয়েছে নদীর গর্ভে। তাই সারারাত রতুয়ার নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন খোলা আকাশের নীচে কাটিয়েছেন। তার সঙ্গে আবার খাবার নেই। সুতরাং অভুক্ত অবস্থায় রাত জেগেই গঙ্গার দাপট থেকে শেষ সম্বলটুকু বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। আর মাথা গোঁজার ঠাঁই করছেন। এখানে ছোট ছোট সন্তানরাও দু’‌চোখে আতঙ্ক নিয়ে তাকিয়ে রয়েছে। তবে এখান থেকেই মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌আসুন কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তুলি’‌, নাম বদল নিয়ে তোপ অভিষেকের

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ এই আবহে রতুয়ায় ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল। আজ, বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলে ছিলেন রতুয়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়, মালতিপুরের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি এবং মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা বর্মণ ঘোষ। কানদুটোলা গ্রামে তাঁরা পৌঁছতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যার কথা বললেও এবং বিভিন্ন মহলে জানিও কোন লাভ হচ্ছে না। তবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here