Home বিদেশ গোপনে যুদ্ধের প্রস্তুতি রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের? মার্কিন টোমাহক বনাম রুশ ক্যালিবার, বাড়াচ্ছে প্যালপিটিশন

গোপনে যুদ্ধের প্রস্তুতি রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের? মার্কিন টোমাহক বনাম রুশ ক্যালিবার, বাড়াচ্ছে প্যালপিটিশন

গোপনে যুদ্ধের প্রস্তুতি রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের? মার্কিন টোমাহক বনাম রুশ ক্যালিবার, বাড়াচ্ছে প্যালপিটিশন

[ad_1]

রাশিয়ার ক্যালিবার নাকি যুক্তরাষ্ট্রের টমাহক? রণাঙ্গনে শত্রুর রক্তচাপ বাড়াতে পারদর্শী কোন ক্রুজ মিসাইল? কে বেশি শক্তিশালী? ক্যালিবারের সঙ্গে টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা আছে কী টোমাহকের? কোন কোন যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে এই দুই ক্রুজ মিসাইল কে? কেন দুই দেশই এই দুই ক্রুজ মিসাইলের উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করে?

১৯৯৪ সাল থেকে ক্যালিবার ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করে আসছে রাশিয়া, এটি রাশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি দূরপাল্লার অস্ত্র। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় বহর থেকে ক্যালিবার ক্রুজ মিসাইল নিক্ষেপ করে রুশ বাহিনী। তবে, সিরিয়ায় স্থির লক্ষ্যে দেশটি তার এই যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করে যুদ্ধ জাহাজ আর সাবমেরিন থেকে। এটাই ছিল ক্যালিবার মিসাইলের প্রথম ব্যবহার। তাছাড়া, ২০১৫ সালে কাস্পিয়ান সাগর থেকে সিরিয়ায় সন্ত্রাসী সংগঠন আইএসএর লক্ষ্যে এই মিসাইল ছোড়া হয়। এরপরেও এই ক্রুজ মিসাইলের ব্যবহার হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। এটি এমন একটি ক্রুজ মিসাইল যার আনুমানিক পাল্লা ১৫০০ থেকে ২৫০০ কিলোমিটার। বর্তমানে রাশিয়ান কিলো, লাডা এবং ইয়াসিন ক্লাস সাবমেরিন এ ক্যালিবার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা আছে।

দেশটির ছোট যুদ্ধ জাহাজ গুলোতেও এই মিসাইল বহনের ব্যবস্থা আছে। সবগুলোই ৯৯০ পাউন্ড ওজনের ওয়ারহেড বহন করতে পারে, নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড ও বহন করতে পারে। গাইডেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হয় আইএনএস, জিপিএস আর ডিসম্যাক। অন্যদিকে, আমেরিকার ক্রুজ মিসাইল টমাহক, এক সময় গোটা পৃথিবীর সম্ভ্রম আদায় করে নিয়েছিল। ইরাকে সাদ্দাম জমানার বিরুদ্ধে মার্কিন হামলা বা আফগানিস্তানে তালিবান শাসন হঠানোর লড়াই, সব যুদ্ধক্ষেত্রেই মার্কিন বাহিনীর অন্যতম বড় ভরসা ছিল টোমাহক ক্রুজ মিসাইল। টমাহোক একটা লং রেঞ্জ অল ওয়েদার সাবসনিক ক্রুজ মিসাইল।

যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য, দুই দেশের নৌ বাহিনী ১৭০০ কিলোমিটার রেঞ্জের এই মিসাইলটি ব্যবহার করে। ঘন্টায় ৫৫০ মাইল উড়তে পারে এটি। ১৯৯১ সালে প্রথম ব্যবহার করা হয়। এই মিসাইলটি খুব কম উচ্চতায় উড়তে পারে। উড়তে থাকা অবস্থায় প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে এই মিসাইলের লক্ষ্য বদলে দেওয়া যায়। গাইডেন্স হিসেবে টমাহোকে ব্যবহার করা হয় জিপিএস, আইএনএস, টারকম, ডিএসম্যাক নেভিগেশন সিস্টেম। ছোড়ার আগে এতে ১৫ টি টার্গেট প্রি প্রোগ্রাম করা যায়। লক্ষ্যবস্তুর ছবি তুলে স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনের মাধ্যমে কন্ট্রোল সেন্টারে তথ্য সরবরাহ করতে পারে এই মিসাইল। প্রয়োজনে উড়ন্ত অবস্থাতেও একে রেখে দেওয়া যায়। কিন্তু এই দুয়ের মধ্যে প্রতিযোগিতার নিরিখে কোনটা বেশি শক্তিশালী সেটা বলতে গেলে অনেকেই রাশিয়ার ক্যালিবারকে বেশি প্রায়োরিটি দিয়ে থাকেন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here