[ad_1]
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণাবর্তের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি)। ঘূর্ণাবর্তটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে দেশের পূর্ব উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এই ঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মোকা’। আবহাওয়া দফতর সতর্ক করেছে যে মোকার কারণে ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে টানা তিন দিন (৭-৯ মে) বৃষ্টি চলবে। এ ছাড়াও ঝড়ের প্রভাবে পূর্ব উপকূলের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
ঝড়ের বিষয়ে অন্ধ্রপ্রদেশেও হাই-অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, “অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর এবং দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল, ইয়ানামের বেশ কিছু অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় বৃষ্টি হতে পারে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং দমকা বাতাসের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটারে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে”।
আন্দামানে সোমবার থেকেই ‘মোকা’র প্রভাব পড়তে পারে। ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে আন্দামানে। মঙ্গলবার ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। বুধবার ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় হতে পারে আন্দামানে। সঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধির পরিপ্রেক্ষিতে ওড়িশাকেও সতর্ক থাকতে বলেছে মৌসম ভবন। পুরী, ভদ্রক, বালেশ্বর, কটক, জাজপুর, কেন্দ্রপড়ায় হতে পারে বৃষ্টি। রাজ্যের ১৮টি জেলায় ঝড়ের প্রভাব অনুভূত হতে পারে। যে কারণে জনগণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসের পরে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক ঝড়ের বিষয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে একটি উচ্চ-পর্যায়ের পর্যালোচনা এবং প্রস্তুতির বৈঠক করেছেন।
ওড়িশার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এসডিআরএফ এবং এনডিআরএফ-কে রাজ্যে জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে মৎস্যজীবীদের জন্যও পরামর্শ জারি করা হয়েছে। তবে, ঘূর্ণিঝড় কোথায় আছড়ে পড়ছে, তা নিয়ে ধন্দ এখনও কাটেনি। আছড়ে পড়ার সময় তার গতি কত থাকবে, সেই নিয়েও হাওয়া অফিস এখন নিশ্চিত নয়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ কি কলকাতায় প্রভাব ফেলবে? কী বলছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস