[ad_1]
জিনপিংয়ের জেদে চীনে রীতিমত বিভিষিকা ভারত কোনও ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে না গ্রাউন্ড রিপোর্ট চাপের চীনের অর্থনীতির এই ধসে গোটা বিশ্ব কেন ভুগবে? কমিউনিস্ট সরকারের মিথ্যা জাল ব্যাপকহারে এক্সপোর্ট কমাচ্ছে চীন চীনের ইকোনমিতে কী ঘটছে সেটা আপনার জানাটা দরকার। মূল্যস্ফীতি বা ইনফ্লেশন তো শুনেছেন বা হরদমই শুনছেন কিন্তু মূল্য সংকোচন বা ডিফ্লেশন শুনেছেন কোনওদিন? চীন বর্তমানে ঠিক সেই ট্র্যাপেই পড়েছে। বেজিংয়ের আবাসন খাতের অন্যতম বড় প্রতিষ্ঠান। এভারগ্রান্ড গ্রুপ নিজেদের অলরেডি দেউলিয়া ঘোষণা করে দিয়েছে তাহলে কী যে চীন একের পর এক দেশকে ঋণ দিততাদের ঋণের ট্র্যাপে ফেলে ছড়ি ঘোরাতো এবার সেই চীনের কপালেই ঘনিয়ে এল অশেষ দুঃখ।
রপ্তানি কমছে মাথায় হাত জিনপিংয়ের। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে হু হু করে ধস নামছে চীনের শুল্ক বিভাগ ঘোষণা করে দিচ্ছে। গত জুলাই মাসে দেশটিতে রপ্তানি কমেছে ১৪.৫ শতাংশ। আমদানি কমেছে ১২ .৪ শতাংশ রেকর্ড বলছে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পর এত হারে দেশটির আমদানি-রপ্তানি কমেনি। চীনের রপ্তানির শীর্ষ গন্তব্য হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন জুলাই মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চীনের রপ্তানি কমেছে ২৩.১ শতাংশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নে কমেছে ২০.৬ শতাংশ ডিফ্লেশনের জালে জড়িয়ে গেছে চীন। বিশ্বের অনেক দেশেই যখন মূল্যস্ফীতি মাথাব্যথার কারণ সেসময় চীনে দেখা যাচ্ছে এক উল্টো অবস্থা ডিফ্লেশন যখন চাহিদার কমতির কারণে পণ্যে দাম আগের চেয়ে পড়ে যায় তখন সেটাকে বলা হয় ডিফ্লেশন বা মূল্য-সংকোচন এর পেছনে অনেক ধরণের কারণ থাকে যেমন উপভোক্তার চাহিদা কমে যাওয়া কঠোর মুদ্রানীতির ফলে অর্থের যোগান কমে যাওয়া মানুষের ব্যয় কমিয়ে সঞ্চয়ে আগ্রহী হওয়া উৎপাদন খরচ কমে উৎপাদনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া।
সোজা ভাষায় – মানুষ সেখানে বেশি খরচ করতে চাচ্ছে না, তাদের চাহিদা কমে গেছে। কিন্তু এতে বিশ্বের ওপর কী প্রভাব? ভারতের ওপর কী প্রভাব? বিশ্বজুড়ে যেসব পণ্য বিক্রি হয় তার একটা বড় অংশ আসে চীন থেকে বিবিসির প্রতিবেদন বলছে চিনে মূল্য-সংকোচন দীর্ঘায়িত হলে সেটা অন্যান্য দেশের জন্য। সুফল এবং কুফল দুটাই বয়ে আনতে পারে। যেমন গুড নিউজ হল অন্যান্য দেশ তুলনামূলক কম দামে চীনের পণ্য কিনতে পারবে কিন্তু এটা হতেই থাকলে ভেবে দেখুন। বাজারে কম দামে চীনা পণ্য বিক্রি হলে স্থানীয় পণ্য বা ব্যবসায়ে তা আঘাত করতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা চীনের ওপর এতবড় সংকট সত্ত্বেও সেখানকার সরকার চুপ। ফাঁস হয়ে যাওয়া তথ্য বলছে জিনপিং সরকারের দাবি এখনও পরিস্থিতি তাদের কন্ট্রোলেই আছে অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে তারা এখন পর্যন্ত কোনও বড় পদক্ষেপ এড়িয়ে চলেছে। এবার দেখার দিন যত এগোয় পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে ঠেকে৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়