Home আপডেট ‘ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!’ বাংলার ১০টি শহর সবচেয়ে নোংরা, স্বচ্ছ সর্বেক্ষণ রিপোর্টে তোলপাড়

‘ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!’ বাংলার ১০টি শহর সবচেয়ে নোংরা, স্বচ্ছ সর্বেক্ষণ রিপোর্টে তোলপাড়

‘ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!’ বাংলার ১০টি শহর সবচেয়ে নোংরা, স্বচ্ছ সর্বেক্ষণ রিপোর্টে তোলপাড়

[ad_1]

বাংলা সম্পর্কে এবার খারাপ রিপোর্ট উঠে এল কেন্দ্রীয় রিপোর্টে। গোটা দেশের মধ্যে সবচেয়ে নোংরা ১০টি শহর আছে পশ্চিমবঙ্গে। এমনকী রয়েছে কলকাতাও। নোংরাতম শহরের তকমা পেল হাওড়া। কেন্দ্রীয় রিপোর্টে এমন ধামাকা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক ২০২৩ সালের ‘স্বচ্ছ সর্বেক্ষণ’ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে প্রকাশ্যে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধ করা, বাড়ি গিয়ে আবর্জনা সংগ্রহ, প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ, বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য শৌচাগার–সহ ৪৬টি মাপকাঠি ছিল। তাতে দেশের পুরসভাচালিত শহরগুলির বিচার করা হয়েছে। পরিচ্ছন্নতার নিরিখে শহরগুলির মধ্যে ইন্দোর এবার প্রথম। যৌথভাবে প্রথম স্থানে রয়েছে সুরাট। আর তৃতীয় স্থান পেয়েছে নবি মুম্বই।

এদিকে দেশের ১১০টি শহরের হাতে এই বছর স্বচ্ছ সর্বেক্ষণ পুরস্কার দিয়েছে কেন্দ্র। নয়াদিল্লির এই অনুষ্ঠানে পুরস্কার দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অসম পুরস্কৃত হলেও বাংলার কপালে কিছু জোটেনি। উল্টে একলক্ষের বেশি জনসংখ্যার শহরগুলির মধ্যে অপরিচ্ছন্নের তালিকায় রয়েছে এই রাজ্যেরই ১০টি শহর। হাওড়া, কলকাতা ছাড়া বাকিগুলি হল— কল্যাণী, মধ্যমগ্রাম, কৃষ্ণনগর, আসানসোল, রিষড়া, বিধাননগর, কাঁচরাপাড়া এবং ভাটপাড়া। নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের স্বচ্ছ সর্বেক্ষণ পোর্টালেই এই রিপোর্ট তুলে ধরা হয়েছে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, এক লক্ষের বেশি জনবহুল শহরগুলির মধ্যে প্রথম চারশোর মধ্যেও কলকাতা নেই। ৪৪৬টি শহরের মধ্যে কলকাতার স্থান ৪৩৮তম। শেষ স্থানে রয়েছে হাওড়া।

অন্যদিকে এই রিপোর্ট সামনে আসতেই রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পাল্টা অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় রিপোর্টেই বলা হয়েছিল, কলকাতা নিরাপদতম শহর। আর এখন কলকাতা তথা রাজ্যের শহরগুলিকে বদনাম করতেই এমন রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দাবি, এনসিআরবি’‌র সমীক্ষায় কলকাতা দেশের সুরক্ষিত শহর হিসেবে উঠে এসেছে। একাধিক ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে এক নম্বর স্থানে আছে বাংলা। লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলাকে কালিমালিপ্ত করতে সচেষ্ট হয়েছে মোদী সরকার। এই সমীক্ষা তারই ইঙ্গিত। ওরা এসে দেখে যাক রাজ্যের শহরগুলি। না দেখে সমীক্ষা হয় কী করে?

আরও পড়ুন:‌ আবাস যোজনা নতুন ফতোয়া জারি, শহরে প্রকল্পের অধীনে গৃহ নির্মাণ করতে মানতে হবে নির্দেশ

এখানেই শেষ নয়, এক লক্ষের কম জনসংখ্যার শহরের প্রতিযোগিতাতেও ৩,৯৭০টি শহরের মধ্যে ৩৫০০ শহরের পরে জায়গা পেয়েছে তারকেশ্বর, কাটোয়া। শেষ ১০০টি শহরের মধ্যে রয়েছে আলিপুরদুয়ার, আরামবাগ। ‘স্বচ্ছ সর্বেক্ষণ ২০২৩’ সালের রিপোর্ট বলছে, এক লক্ষের কম জনসংখ্যার শহরগুলির মধ্যে পরিচ্ছন্নতায় প্রথম স্থানে আছে মহারাষ্ট্রের সাসওড়। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে ছত্তিশগড়ের পাটন এবং মহারাষ্ট্রের লোনাভালা। আবার গঙ্গার তীরবর্তী ৮৮টি শহরের মধ্যে নোংরাতম শহর হিসেবে জায়গা পেয়েছে বিহারের ছাপড়া। শেষ দশের মধ্যে বাকি ৯টি—চুঁচুড়া, উলুবেড়িয়া, গয়েশপুর, ডায়মন্ডহারবার, হাওড়া, কামারহাটি, চাকদা, হলদিয়া এবং ধুলিয়ান। ৮৮টি শহরের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে চাঁপদানি। গঙ্গা তীরবর্তী পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে প্রথমে রয়েছে বারাণসী এবং প্রয়াগরাজ। এই বিষয় ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‌কলকাতার মতো গঙ্গার পাড় সৌন্দর্যায়নের কাজ আর কোথাও হয়েছে নাকি? শুধু নির্বাচনকে পাখির চোখ করে যোগীরাজ্যের গঙ্গাপাড়ের দুই শহরকে দেশের শ্রেষ্ঠ ঘোষণা করা হল। ব্যক্তিগতভাবে বহু বিদেশের মানুষ শহরে পা রেখে কলকাতার পরিচ্ছন্নতার প্রশংসা করেন।’‌

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here