Home আপডেট ‘জয় শ্রী রাম’ বলায় নদিয়ায় হতদরিদ্র মহিলাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

‘জয় শ্রী রাম’ বলায় নদিয়ায় হতদরিদ্র মহিলাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

‘জয় শ্রী রাম’ বলায় নদিয়ায় হতদরিদ্র মহিলাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

[ad_1]

ছোটদের খেলায় আপত্তি জানানোয় এক মহিলাকে পিটিয়ে গায়ে কম্বল জড়িয়ে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। ঘটনা নদিয়ার রানাঘাট থানা এলাকায় পায়রাডাঙা মসজিদ পাড়ায়। রবিবার রাতের এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। নিহতের স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নৃশংস মারধরের অভিযোগ

নিহত অঞ্জলি কর্মকারের স্বামী সুবলবাবু জানিয়েছেন, ‘আমাদের টিনের ঘর। প্রতিবেশীর ছেলেকে টিনের ঘরের কাছে খেলতে নিষেধ করেছিলেন আমার স্ত্রী। সেজন্য বিশ্ব রায়, হ্যাপি দাস ও চুমকি হালদার নামে তিন প্রতিবেশী রবিবার রাতে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমার স্ত্রীকে ঘর থেকে বার করে গর্তে ফেলে লাঠি দিয়ে পেটায়। এর পর গলায় ফাঁস দিয়ে টেনে ধরে রাখে চুমকি হালদার। আমাকেও ব্যাপক মারধর করে। মারের চোটে আমি জ্ঞান হারাই। এর মধ্যে আমাদের ঘর ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় ওরা।’

তিনি জানান, আগেও তাঁদের ওপরে হামলা হয়েছিল। তখন রানাঘাট থানায় বিশ্ব রায়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী এক মহিলা জানান, বাচ্চাদের গালাগালি করায় অঞ্জলি দেবীকে মারধর শুরু করেন প্রতিবেশীরা। লাঠি, শাবল দিয়ে তাঁকে মারা হয়। এমনকী মারার জন্য শিশুরা তাদের ক্রিকেট খেলার ব্যাট এনে দেয় অভিভাবকদের। এর পর তারাই নিহতের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ সাংসদের

পুলিশের মদতেই ওই পরিবারের ওপর হামলা চলেছে বলে দাবি করে রানাঘাটের সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার এদিন আহত সুবল কর্মকারের সঙ্গে দেখা করেন। এর পর তিনি বলেন, ‘সবার আগে পুলিশ আধিকারিকদের অপসারণ দরকার। ওই পরিবার সপ্তাহখানেক আগে রানাঘাট থানায় গিয়ে তাদের ওপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। শুধু তাই নয়, আক্রান্তকে ধমক দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। তাই সবার আগে পুলিশ আধিকারিকদের অপসারণ চাই। রবিউল শেখ ও আলাউদ্দিনের লোকেরা ওদের মারধর করেছে। ওদের মাথায় একটু গোলমাল আছে এটা ঠিক কিন্তু ‘জয় শ্রী রাম’ বলায় ওদের যে ভাবে চক্রান্ত করে মারা হয়েছে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন।’

পালটা স্থানীয় তৃণমূল নেতা দীপক বসু বলেন, ‘ওই দম্পতির মানসিক সমস্যা ছিল। ওরা মাঝে মাঝেই গ্রামের লোককে অকথ্য গালিগালাজ করতে শুরু করে দিতেন। কিন্তু হতদরিদ্র পরিবারটির মানসিক চিকিৎসা করার সামর্থ্য ছিল না। এদিনও কাউকে কটূক্তি করা নিয়েই বিবাদের সূত্রপাত। এর সঙ্গে জয় শ্রী রাম বলার কোনও সম্পর্ক নেই। এতে বিজেপি যে ভাবে রাজনীতিকে জড়াচ্ছে তা কল্পনার অতীত।’

এই ঘটনায় রবিবার রাতেই ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here