Home আপডেট জুয়ার ঠেকে হানা দিতেই পুলিশকে বেদম মারধর, আইনজীবীর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ

জুয়ার ঠেকে হানা দিতেই পুলিশকে বেদম মারধর, আইনজীবীর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ

জুয়ার ঠেকে হানা দিতেই পুলিশকে বেদম মারধর, আইনজীবীর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ

[ad_1]

জুয়ার ঠেকে হানা দিতেই আক্রান্ত হল দুই পুলিশকর্মী। বেদম মারধর করা হয় পুলিশ কর্মীদের বলে অভিযোগ। আর তার জেরে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এমন মারধর করা হয়েছে যে ওই দুই পুলিশকর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। এদের মধ্যে একজন এএসআই ও আরও দুই পুলিশ কর্মী রয়েছে। এই হামলার ঘটনায় দু’‌জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের পক্ষ নিয়ে পুলিশের উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে পেশায় আইনজীবী বিকাশ সিংয়ের বিরুদ্ধে। যদিও পুলিশের বিরুদ্ধে পাল্টা মারধরের অভিযোগ এনেছেন বিকাশ সিং।

এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাতে বালি থানা এলাকার সীতারাম সরণিতে জুয়ার আসর বসে। এই খবর আসে পুলিশের কাছে। আর এমন খবর পেয়েই বালি থানার এএসআই প্রসেনজিৎ ঘোষ কয়েকজন পুলিশকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে সাদা পোশাকে হানা দেয় ওই জুয়ার ঠেকে। এমনকী সেখানে কয়েকজনকে বমাল ধরে ফেলে। তখন সেখান থেকে বিনোদ সিং নামে একজন পালিয়ে যায়। তারপরেই পলাতক বিনোদ সিং তার দাদা বিকাশ সিং–সহ দলবলকে খবর দেয়। আর বিকাশ সিং সেই দলবলকে নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে মারমুখী হয়ে ওঠে। আটক দুষ্কৃতীদের ছাড়াতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশ আটক ব্যক্তিকে ছাড়েনি। তখন মারমুখী হয়ে ওঠে বিকাশ এবং সাঙ্গপাঙ্গরা। তাদের হামলায় এএসআই প্রসেনজিৎ ঘোষ এবং হোমগার্ড সায়ন বিশ্বাস মারাত্মক জখম হন।

অন্যদিকে এই হামলার পর দুই পুলিসকর্মীকে হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিন ধৃত দু’‌জনকে হাওড়া আদালতে তোলা হয়। আইনজীবী বিকাশ সিংকেও হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। আইনজীবীর পরিবারের দাবি, পুলিশ হেফাজতে মারধর করা হয়েছে তাঁকে। যদিও অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ উঠলেও জুয়ার ঠেক থেকে গ্রেফতার করা দু’‌জনকে আদালতে তোলা হয়েছে। এরা রোজ ওখানে জুয়ার আসর বসাত। আর সাধারণ মানুষের সমস্যা তৈরি করত। প্রতিবাদ করলে হুমকি দিত। সেই খবর পুলিশের কাছে পৌঁছেছিল। আবার জুয়ার আসর বসানোয় তা ভাঙতেই গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু তাদের উপর হামলা করা হয় বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন:‌ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিধ্বংসী আগুন, আতঙ্কে শিউরে ওঠেন রোগীরা

এছাড়া ওই আইনজীবীর পক্ষে দাঁড়িয়ে সরব হন হাওড়া আদালতের আইনজীবী তথা হাওড়া ক্রিমিনাল বার লাইব্রেরির সভাপতি সমীর বসু রায়চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‌জুয়ার ঠেকে পুলিশ অভিযান চালাতেই পারে। কিন্তু কাউকে মারধর করতে পারে না।’‌ সূত্রের খবর, পুলিশ আগে মারধর করেনি। দু’‌জনকে আটক করে। তাদেরকে ছাড়াতে হামলা করা হয় পুলিশের উপর। তখন পুলিশ সেটা আটকাতে যায়। এই নিয়ে দু’‌পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। তারপর দলবল নিয়ে এসে পুলিশের উপর বেধড়ক মারধর করা হয়।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here