রক্তাল্পতা (Anemia)
শরীরে ফলিক এসিড , আয়রন এবং ভিটামিন – B12 এর অভাবে রক্তাল্পতা হয় । এই রোগীর রক্তে লহিত কনিকার পরিমান কমে যায় । এই রোগীর রক্তে হিমগ্লবিনের অভাব দেখা দেয় এবং রোগী সবসময় দুর্বলতা অনুভব করে । এই রোগীর আয়রন যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত । ঠাণ্ডার দিনে এই রোগীর ঠাণ্ডা বেশি লাগে । এই রোগে আক্রান্ত রোগীর শরীরের রং হলুদ হয়ে যায় এবং মুখের উজ্জলতা একদম কমে যায় । এই রকম সমস্য দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন । ডাক্তারের ওষুধের পাশাপাশি কিছু পথ্য নিলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।
দুধ ও কলা
দুধ খুব উপকারী রক্তাল্পতা রোগীর জন্য। রোজ সকালে খালি পেটে এক কাপ দুধ ও একটি কলা খান ।কলায় আছে প্রোটিন ও আয়রন যা রক্তে হিমগ্লবিনের পরিমান বারাতে সাহায্য করে । এক মাস এইভাবে খেলে শরীরে রক্তের পরিমান বারবে ।
তিল
৩/৪ চামচ তিল নিন । ২/৩ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন । মিক্সিতে পেস্ট করে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন । দিনে দুই বার এই পেস্ট খান । রক্তে হমগ্লবিনের পরিমান বেরে যাবে ।
বেদানা
হিমগ্লবিনের অভাব দূর করার ব্রম্মাস্ত্র হল বেদানার রস । এতে প্রচুর পরিমানে আয়রন, প্রোটিন ,ক্যালসিয়াম ও ফাইবার আছে যা রক্তে হিমগ্লবিনের পরিমান খুব তাড়াতাড়ি বারিয়ে দেয় । দিনে দু গ্লাস বেদানার রস পান করবেন ।
চিনা বাদাম
রোজ সকালে খালি পেটে চিনা বাদাম ও গুর খেলে শরীরে রক্তের পরিমান বারে ।
আমলকী
রোজ এক গ্লাস আমলকী ও জামের রস সমান মাত্রায় মিশিয়ে খেলে খুব তাড়াতাড়ি রক্তে হিমগ্লবিনের পরিমান বারে ।
পাণি ফল
রক্তে হিমিগ্লবিনের মাত্রা শরীরে বারানর জন্য পাণি ফল ফল খুব উপকারী । এতে অনেক ভিটামিন আছে যা শরীরের দুর্বলতা দূর করে । এই ফল রোজ কাচা খেলে হিমগ্লবিনের পরিমান বারে ।
খেজুর ও মনাক্কা
রাত্রে শোবার আগে দুধে খেজুর / মনাক্কা ভিজিয়ে খেলে হিমগ্লবিনের পরিমান বারে ।
টমেটো , গাজর ও বিট গাজর
রোজ এক গ্লাস টমেটো ও বিট গাজরের রস খেলে হিমগ্লবিনের অভাব থাকবে না। গাজরে আছে প্রচুর পরিমানে আয়রন ও টমেটোতে আছে ভিটামিন- C, যা শরীরে রক্তের অভাব দূর করতে সাহায্য করে । সালাড বানিয়ে ও খেতে পারেন ।
আখরোট
আখরোটে প্রচুর পরিমানে আয়রন আছে । রক্তাল্পতা রোগীর জন্য খুবই উপকারী ।
আপেল
রোজ একটা আপেল অবশ্য খাবেন। আপেলের রস খেলে এক চামচ মধু মিশিয়ে খাবেন । রোজ একটা আপেল খেলে হিমগ্লবিনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং শরীরে দুর্বলতা দূর হয় ।
কারিপাতা
কারিপাতায় প্রচুর পরিমানে আয়রন আছে । রোজ ২/৩ কারিপাতা সকালেয় খালি পেট খাবেন।
লিখিত উপায় গুলি করবেন তার পাশা পাশি বিভিন্ন ধরণের শাক সবজী , ডিম , মাছ , পাঠার মেটে খাবেন। খাবার রান্নর সময় রসুন ব্যাবহার করবেন ।খাবার খাবার পর একটু গুর খাবেন । কিছুক্ষণ রদ্রে অবশ্যই বসবেন । যখন শরীরে হিমগ্লবিনের অভাব থাকে তখন চা কিংবা কফি খাবেন না , কারন শরীরে আয়রনের মাত্রা কমে যায়।