Home আপডেট জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ লোকসভার প্রার্থী, যুবনেতার উপর আস্থা রেখেছে তৃণমূল

জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ লোকসভার প্রার্থী, যুবনেতার উপর আস্থা রেখেছে তৃণমূল

জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ লোকসভার প্রার্থী, যুবনেতার উপর আস্থা রেখেছে তৃণমূল

[ad_1]

তরুণ প্রজন্মের নেতা–নেত্রীকে এবার প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভা ভোটে সাফল্য পেতে এই তাসই খেলেছে ঘাসফুল শিবির। দলের মধ্যে নবীন–প্রবীণ বিবাদকে সরিয়ে রেখে নবীন প্রার্থীদের উপর আস্থা রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রবীণ নেতারাও প্রার্থী হয়েছেন। তবে নবীনের সংখ্যা যেন বেশি। নবীন প্রার্থীদের উপরে এবার বাড়তি ভরসা রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। তার প্রতিফলন চোখে পড়বে প্রার্থী তালিকায় নজর করলে। তবে এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল— দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর কেন্দ্র থেকে এবার পঞ্চায়েত রাজনীতি থেকে উঠে আসা যুব নেতা বাপি হালদার প্রার্থী হয়েছেন। যাঁকে এলাকার মানুষ চেনে। ঘরের ছেলে বা পাশের বাড়ির ছেলে হিসাবেই পরিচিত। তার সঙ্গে উন্নয়নের কাজ করে যাওয়ায় রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন বাপিবাবু।

এদিকে নির্বাচনী এলাকায় প্রচার সারার মধ্যেও ভিন্ন চিত্র দেখা গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর এলাকায়। এখানে প্রচার কর্মসূচি থেকে এবার সাময়িক বিরতি নিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী বাপি হালদার। বদলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্রুত আরোগ্য কামনায় গঙ্গাসাগরে গঙ্গা আরতি করলেন তিনি। কারণ কদিন আগেই বাড়িতে পড়ে গিয়ে গুরুতর আঘাত পান মুখ্যমন্ত্রী। ঈশ্বরে বিশ্বাসী বাপি হালদার এদিন মুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী কচুবেড়িয়া ভেসেল ঘাটে পৌঁছে যান। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুস্থতা কামনায় প্রার্থনা করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী তথা গঙ্গাসাগরের বিধায়ক শ্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ চৌধুরী মোহন জাটুয়ার ছেড়ে যাওয়া আসনে এবার লড়াই করছেন বাপি হালদার। শুরু থেকেই প্রচারে ঝড় তুলেছেন তিনি। নাম ঘোষণা হতেই গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন যুবনেতা বাপি।

আরও পড়ুন:‌ টান মেরে সরিয়ে দেওয়া হল প্রধানমন্ত্রীর সেলফি বুথ–ছবি, মুম্বইয়ের রেল স্টেশনে কড়াকড়ি

অন্যদিকে বাপি হালদার কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হিসাবে কাজ করছিলেন। সেখান থেকে ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদ আসনে দাঁড়িয়ে জয়লাভ করেন এবং জেলা পরিষদের খাদ্য সরবরাহ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ হন। আবার জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতিও হন। এখন প্রচারের ফাঁকে গঙ্গা আরতি করার কারণ কী?‌ এই বিষয়ে বাপি হালদার বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের নেত্রী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এবং রাজনীতির মঞ্চে ফিরুন। তিনি আমাদের অভিভাবক। বাংলা সব মা–বোনেরা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে আছেন। শুধু এখানেই নয়, বাংলার মানুষের স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে আবার ময়দানে নামতে পারেন তাই প্রার্থনায় এই পুজো দেওয়া হচ্ছে।’‌

এছাড়া তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর এই আচরণ দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা মুগ্ধ। একজন তরুণ নেতাকে এভাবে তাঁর শিকড় ও সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে দেখে মানুষ খুব খুশি। সাদামাটা মৎস্যজীবী পরিবারের সন্তান ৩৮ বছরের বাপি হালদার এখন লোকসভার প্রার্থী। জিতে গ্রামের কথা সংসদে নিয়ে যাবেন, স্বপ্ন তাঁর। অগ্রজকেও সম্মান দিয়ে তাঁর আশীর্বাদ নিয়ে এসেছেন বাপি হালদার। চরম ব্যস্ততার মধ্যেও সময় বের করে মথুরাপুরের তিনবারের সাংসদ চৌধুরীমোহন জাটুয়ার সঙ্গে দেখা করলেন। ভোট যুদ্ধের জন্য প্রবীণ রাজনীতিকের আশীর্বাদ নিলেন পায়ে প্রণাম করে। প্রার্থী হয়ে বাপি হালদার বলেন, ‘‌মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বের জন্য দলের তরুণরা মানুষের জন্য কাজ করতে এত আগ্রহী। মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। তাই আমাদের লড়াইও সহজ। বিজেপি মানুষকে ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছে। আর ১০০ দিনের কাজের ন্যায্য পাওনা আটকে রেখেছে। আমফান বা ইয়াস ঘূর্ণিঝড় হোক কিংবা করোনাভাইরাসের অতিমারি, আমরা সবসময় মানুষের পাশে থেকেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে সমস্ত জনকল্যাণমুখী প্রকল্প রূপায়ন করেছে, তাতে মানুষ খুশি। তাই আমাদেরই ভোট দেবেন।’‌

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here