[ad_1]
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন দু’দিন আগে। তখন হাসপাতালের ইন্টারকম থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা হয়েছে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে সুপারের ঘরে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করেন বলে দাবি শুভেন্দুর। ইডি’র হাতে গ্রেফতার হওয়া সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর খরব নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। যদিও শুভেন্দুর এই দাবি শুনে ‘দিশাহীন পাগল’ বলে কটাক্ষ করেন কুণাল ঘোষ। সুতরাং বর্ষশেষে সরগরম রইল রাজ্য–রাজনীতি।
এদিকে রুটিন চেক আপ করতে গিয়ে গত শুক্রবার এসএসকেএম হাসপাতালে ডান কাঁধে ছোট অস্ত্রোপচার হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তারপর তিনি হাসপাতাল থেকে হাসিমুখে সন্ধ্যায় বেরিয়ে যান। আর সকলকে আগাম নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান। তিনি নিজেই স্পষ্ট করেন, চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু এসএসকেএম হাসপাতালে দু’ঘণ্টা দুয়েক ধরে যে চেক আপ ও অস্ত্রোপচার হয়েছে সেটি নিয়ে পর্যন্ত কুৎসা শুরু করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, ‘মুখ্যমন্ত্রী এসএসকেএম হাসপাতালের সুপারের চেম্বারে বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে স্বাস্থ্যসচিব, পুলিশ কমিশনার ও হাসপাতালের সুপার ছিলেন। সন্ধ্যে ৭টা পর্যন্ত বৈঠক চলেছে। আমার কাছে স্পেসিফিক খবর আছে। বৈঠকে সুজযকৃষ্ণ ভদ্রের বিষয়ে কথা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হেফাজতে থাকা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে ইন্টারকমে কথা বলেছেন। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে দ্বিতীয় বৈঠক হয়। সেখানে ছিলেন ভাইপো, নতুন ডিজি রাজীর কুমার। সেখানে লোকসভা ভোট লুট করার কথা হয়েছে।’
অন্যদিকে হাসপাতাল সূত্রে খবর, এমন কোনও বৈঠক হয়েছে বলে তাঁদের জানা নেই। যাঁর অস্ত্রোপচার হবে তিনি বৈঠক করবেন কেমন করে? প্রশ্ন তুলেছেন এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকরা। শুধু তাই নয়, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারি আছে। সেটা এড়িয়ে এমন কাজ অসম্ভব। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী তাঁর স্পেসিফিক খবরের প্রমাণ দিক। সেটা দিতে না পারলে এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং মনগড়া। বাংলার মানুষ এই মিথ্যাচারের জবাব দেবে।
আরও পড়ুন: শহরে পুকুর সমীক্ষার উদ্যোগ নিল কলকাতা পুরসভা, বড় পদক্ষেপ করলেন মেয়র
তবে এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে জোর খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। গোটা দাবিকে নিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘যা মুখে আসছে বলে চলেছে একটা দিশাহীন পাগল। এটা একটা রুটিন চেক আপ এবং ছোট একটা চিকিৎসার বিষয় ছিল। মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে চিকিৎসা সেরেছেন এবং বাড়ি ফিরেছেন। সেটাকে কেন্দ্র করে এই ধরনের মিথ্যাচার! একসময় এই শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে লুটিয়ে পড়ে থেকে নিজের এবং নিজের পরিবারের লোকেদের একের পর এক রাজনৈতিক পদ প্রতিষ্ঠা করেছে। তারপর এই ধরনের মিথ্যাচার! এটা ভগবানও ক্ষমা করবেন না। এই অভিযোগ কাল্পনিক, ভিত্তিহীন, মিথ্যাচার। বাজে কথা বলাটা রুটিন বানিয়ে ফেলেছে।’