Home আপডেট ডিগ্রি পেতে কিছু স্যাক্রিফাইস করতে হয়, মহিলা গবেষকের শ্লীলতাহানি করলেন অধ্যাপক

ডিগ্রি পেতে কিছু স্যাক্রিফাইস করতে হয়, মহিলা গবেষকের শ্লীলতাহানি করলেন অধ্যাপক

ডিগ্রি পেতে কিছু স্যাক্রিফাইস করতে হয়, মহিলা গবেষকের শ্লীলতাহানি করলেন অধ্যাপক

[ad_1]

প্রথমে কুপ্রস্তাব। তারপর শরীরী ছোঁয়া এবং অবশেষে শ্লীলতাহানি। এভাবেই এক মহিলা গবেষকের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল অধ্যাপক তথা গাইডের বিরুদ্ধে। এবার পিএইচডি গবেষককে সরাসরি শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনায় বাঁকুড়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা গবেষক। এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

এদিকে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ওই মহিলা গবেষক শক্তিপদ রাজগুরুকে নিয়ে গবেষণা করছেন। ২০১৬ সালে বাঁকুড়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি’‌র জন্য ইন্টারভিউ দেন। তখনই ইনি প্রথম হয়েছিলেন। তারপর ২০১৭ সালে রেজিস্টার করেন। এরপর পিএইচডি’‌র গাইড হন বাঁকুড়ার খ্রিস্টান কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক জয়দেব মণ্ডল। এই জয়দেব প্রথম দিন থেকেই ওই মহিলা গবেষককে নানা কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। কিন্তু তাতে কর্ণপাত না করে গবেষণা চালিয়ে যান মহিলা গবেষক। কিন্তু বিষয়টি এখানে থেমে থাকেনি। ওই মহিলা গবেষক বাঁকুড়ার সারদামণি কলেজে অধ্যাপকের চাকরি পান। তাতে জয়দেব বুঝতে পারেন হাতের বাইরে চলে যেতে পারেন ওই মহিলা গবেষক।

অন্যদিকে তখন হুমকি দিতে শুরু করেন বাঁকুড়ার খ্রিস্টান কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক জয়দেব মণ্ডল। সরাসরি স্কলারশিপের টাকার ভাগ চেয়ে বসেন গাইড বলে অভিযোগ। এমনকী বলা হয় গবেষককে, ওই টাকা না দিলে পিএইচডি’‌র রিসার্চ পেপারে তিনি সই করবেন না। আর যদি তাঁর সঙ্গে রাত কাটাতে ইচ্ছুক হন গবেষক তাহলে এমনিতেই সই করে দেবেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতি মেনে নিতে না পেরে গাইড বদলানোর জন্য কয়েকবার আর্জি জানান ওই মহিলা গবেষক। সেই বদল ঘটাতে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি তৈরি করে। কিন্তু সেখানে উপস্থিত হননি অভিযুক্ত জয়দেব মণ্ডল। সুতরাং গাইড বদল করা সম্ভব হয়নি। এটারই সুযোগ নেন জয়দেব।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌আমাকে অপমান করুন, কিন্তু আমার পদ–সম্প্রদায়কে নয়’‌, কড়া বার্তা জগদীপ ধনখড়ের

এখানেই ঘটনার শেষ নয়। চলতি বছরের ৩০ অগস্ট গবেষকের এক্সটেনশনের শেষ দিন ছিল। আর ওই এক্সটেনশনের জন্য গাইডের সই অত্যন্ত দরকার ছিল। কিন্তু সেই সই জয়দেব মণ্ডল করেননি। এই সুযোগে মহিলা গবেষককে জয়দেব মণ্ডল বলেছিলেন, ডিগ্রি পেতে হলে কিছু স্যাক্রিফাইস করতে হয়। এই অভিযোগ তুলেছেন মহিলা গবেষক। মহিলা গবেষকের অভিযোগ, প্রথম থেকেই গাইড জয়দেব তাঁকে আপত্তিজনকভাবে স্পর্শ করতেন। শরীরের নানা জায়গায় আচমকা হাত দিয়ে দিতেন। তাতে তিনি বিরক্ত হলে বলতেন, ডিগ্রি পেতে হলে কিছু স্যাক্রিফাইস করতে হয়। এবার বিষয়টি আরও খারাপ পর্যায়ে পৌঁছলে অবশেষে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন মহিলা গবেষক।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here