Home আপডেট তদন্তের কেস ডায়েরি জমা দিতে হবে লালবাজারে, সমস্ত থানায় পৌঁছল কড়া নির্দেশ

তদন্তের কেস ডায়েরি জমা দিতে হবে লালবাজারে, সমস্ত থানায় পৌঁছল কড়া নির্দেশ

তদন্তের কেস ডায়েরি জমা দিতে হবে লালবাজারে, সমস্ত থানায় পৌঁছল কড়া নির্দেশ

[ad_1]

সম্প্রতি দেখা গিয়েছে থানায় থাকা কেস ডায়েরির খোঁজ মিলছে না। আদালত শুনানির জন্য তা চাইলে পাচ্ছে না বলে অভিযোগ। আর তার ফলে মামলার শুনানি আটকে যাচ্চে বলে অভিযোগ। এমনকী এই আবহ তৈরি হওয়ায় তা অভিযুক্ত পক্ষকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার পথকে প্রশস্ত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই এবার কে ডায়েরি নিয়ে কড়া নির্দেশ দিল লালবাজার। এই নির্দেশে বেশ চাপ তৈরি হয়েছে। সমস্ত থানার ওসিদের কাছে নির্দেশ পৌঁছেছে, চার্জশিট জমা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোর্ট ইন্সপেক্টরদের কাছে কেস ডায়েরি জমা করতে হবে।

এদিকে সব ঠিক থাকলে লোকসভা নির্বাচনের আগে সংসদে পাশ হয়ে যাবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির। তখন নতুন আইপিসি, সিআরপিসি এবং এভিডেন্স অ্যাক্ট চালু হয়ে যাবে। এই কারণে পুরনো ধারায় যেসব মামলা আছে তা দ্রুত শেষ করতে চায় লালবাজার। আবার এখন সমস্ত আদালতই তাদের কাছে জমে থাকা কেসের দ্রুত শুনানি শেষ করতে চাইছে। যাতে দোষীদের সাজা দেওয়া যায়। এখানেই দেখা যাচ্ছে, তদন্ত শেষ হয়ে নির্দিষ্ট সময়ে চার্জশিট জমা পড়ছে। কিন্তু সেই তদন্তের কেস ডায়েরি আসছে না থানা থেকে। ফলে ঝুলে থাকছে গোটা শুনানি পর্ব। নিয়ম হচ্ছে, আদালতের কাছে কেস ডায়েরি জমা থাকবে। সেখানে নিয়ম না মেনে তদন্তকারী অফিসাররা সেটা নিয়ে থানায় চলে যাচ্ছে।

অন্যদিকে নিয়ম অনুযায়ী, কেস ডায়েরির তিনটি কপি থাকে। একটি থাকে আদালতের কাছে। দ্বিতীয়টি পাবলিক প্রসিকিউটার আর তৃতীয় কপি তদন্তকারী অফিসারের কাছে থাকবে। এই নিয়ম কেউ মানছেন না বলে অভিযোগ। আর তার জেরে আদালত মামলার কেস ডায়েরি চাইলে সেটা জমা পড়তে বছর ঘুরে যাচ্ছে। একাধিকবার রিমাইন্ডার দিয়ে আদালত জানতে পারছে, পুরনো কেস ডায়েরি খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আআর অনেক সময় তদন্তকারী অফিসার অন্য থানায় বদলি হয়ে গেলে কেস ডায়েরি পুরনো থানায় থেকে যাচ্ছে। আর তার খোঁজ মিলছে না।

আরও পড়ুন:‌ বহরমপুর স্টেডিয়াম মিলছে না রাহুল গান্ধীর, তৃণমূলের সঙ্গে জোট নিয়ে জটিলতা চরমে

আর কী জানা যাচ্ছে? আদালতের কাছে ভর্ৎসনা শুনতে হয়েছে পুলিশকে। এই অবস্থা‌ নিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে গিয়েছেন লালবাজারের কর্তারা। তার প্রেক্ষিতেই সমস্ত কোর্টের ইন্সপেক্টরদের নিয়ে বৈঠক করেন পুলিশ কর্তারা। তাতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে চার্জশিটের কপির সঙ্গে কেস ডায়েরি কোর্ট ইন্সপেক্টরের কাছে জমা রাখতে হবে। তদন্তকারী অফিসার এই কাজের উদ্যোগ নেবেন। আর মামলার তারিখের দিন তদন্তকারী অফিসার এসে সেটি সংগ্রহ করে কোর্ট ইন্সপেক্টরদের কাছ থেকে নিয়ে যাবেন। এই পদ্ধতিতে এগোলে মামলা দ্রুত শুনানি হবে। আবার জমে থাকা মামলার সংখ্যা কমবে।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here